সংগৃহীত চিত্র।
স্কুল স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সচল করতে ও দুর্নীতি ঠেকাতে সপ্তাহভিত্তিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ স্কুল জেলা পরিদর্শকদের। বছরভর অনলাইন মাধ্যমে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে শিক্ষা দফতরের কাছে। তার জন্য চালু করা হল অনলাইন অ্যাপ। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এম পরিদর্শন’ অ্যাপ।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট জমা দিতে হবে স্কুল জেলা পরিদর্শকদের। এখানে যে রিপোর্ট আপলোড করা হবে, তা দেখা যাবে বাংলা শিক্ষা পোর্টালেও। স্কুল জেলা পরিদর্শকদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে স্কুলস্তরে কী উন্নয়ন হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিরীক্ষণ করবে স্কুল শিক্ষা দফতর।
শিক্ষক মহলের একাংশ মনে করছেন, বিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত পরিদর্শন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী বা মিড-ডে মিল কেন্দ্রিক সরকারি প্রকল্পগুলির পরিদর্শন বা রিপোর্ট দেওয়া হত। স্কুলের সুবিধা-অসুবিধা বিষয়ে কোনও পরিদর্শন হত না। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কি এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? বিদ্যালয়গুলির সামগ্রিক আধুনিক পরিকাঠামো ব্যবস্থা-সহ পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ না করলে এই ধরনের পরিদর্শনে কোনও লাভ নেই।”
শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, কম্পিউটার শিক্ষক-সহ উন্নত বেসরকারি স্কুলগুলির মতো আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে স্কুলগুলিতে। তা না হলে শুধু অনুসন্ধান ও তার রিপোর্ট নিয়ে কোনও লাভ হবে না। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “বাম আমলে নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন হত। পরিদর্শকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে স্কুল উন্নয়ন সম্পর্কে পরিকল্পনা করা হত। কিন্তু গত ১৩ বছরে এই পরিদর্শন প্রায় উঠেই গিয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা মনে করি আরও বেশি করে স্কুল পরিদর্শন করা উচিত। তার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট জমা দিলেও স্কুল স্তরে সপ্তাহভিত্তিক পরিদর্শন কারা কী ভাবে করবেন, তা-ও সবিস্তার উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, শিক্ষা বন্ধুরা প্রাথমিক স্কুলে সপ্তাহে দু’দিন করে পরিদর্শন করবেন। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে এসআই-রা সপ্তাহে দু’দিন যাবেন স্কুলে পরিদর্শনে। মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্কুলগুলির রিপোর্ট সপ্তাহে দু’দিন করে জমা দেবেন। এএস আই দু’টি করে স্কুল প্রতি মাসে পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া ডিআইরা প্রত্যেক মাসে একটি করে স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন। জেলাভিত্তিক আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আগামী ১৩ এবং ২০ সেপ্টেম্বর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy