Advertisement
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
UGC

পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ আরও বৃদ্ধির জন্য নয়া পদক্ষেপ, নির্দেশিকা জারি ইউজিসির

শিল্পক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে দেশের যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আগেই উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

UGC

ইউজিসি। সংগৃহীত ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৫
Share: Save:

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ ট্রেনিং স্কিম (ন্যাটস) বা জাতীয় শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আরও একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এ বার পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে 'ন্যাটস ২.০' নামক এই নয়া পোর্টালে সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নাম নথিভুক্তকরণের নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি এই বিষয়ক নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে ইউজিসির ওয়েবসাইটে। প্রশিক্ষণ শেষে পড়ুয়াদের শিক্ষানবিশির শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই নয়া পদক্ষেপ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পড়ুয়াদের পেশা প্রবেশের পথ সুগম করবে। পাশাপাশি, পোর্টালটির মাধ্যমে বর্তমানে কোন চাকরির সুযোগ বা পেশার চাহিদা বেশি, তা-ও জানা সম্ভব হবে।

শিল্পক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে দেশের যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আগেই উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ২০০৬ সালেই চালু করা হয় ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ ট্রেনিং স্কিম (ন্যাটস)-এর পোর্টাল। যেখানে ১৯৬১ এবং ১৯৭৩-এর শিক্ষানবিশি আইন মেনে স্নাতক, ডিপ্লোমা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। এই সমস্ত শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মেয়াদ ছ’মাস থেকে এক বছর।

এ বার নবীন প্রজন্মের জন্য চাকরির প্রশিক্ষণের সুযোগ আরও বৃদ্ধি করতে ন্যাটস ২.০ পোর্টাল চালু করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ডিগ্রি শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার উপর যে জোর দেওয়া হয়, তার জন্যই আরও একটি পোর্টাল চালুর ভাবনা। নয়া পোর্টালটির মাধ্যমে পড়ুয়া ও উপযুক্ত কোনও সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, একটি মাত্র পোর্টালের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ, আবেদন প্রক্রিয়া, চাকরির বিজ্ঞপ্তি, চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি স্বাক্ষর, প্রশিক্ষণের শংসাপত্র প্রাপ্তি, বৃত্তি-সহ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

পোর্টালটির মাধ্যমে পড়ুয়াদের পাশাপাশি লাভবান হবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। কেন না, পোর্টালের মাধ্যমেই পড়ুয়ারা নিজেরাই বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের উপর প্রশাসনিক কাজকর্মের চাপ যেমন কমবে, তেমনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের ফলে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE