সংগৃহীত চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অনাড়ম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হল শিক্ষাঙ্গন থেকে শিক্ষা দফতরে। তবে সর্বত্রই ছিল প্রতিবাদের স্বর।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আর জি করে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। দুঃখজনক ভাবে আমরা আমাদের বাড়ির মেয়েকে খুব খারাপ ভাবে হারিয়েছি। তাই কেন্দ্রীয় ভাবে সাড়ম্বরে নয়, অনাড়ম্বর ভাবে দিনটি পালন করা হয়েছে।”
প্রত্যেক বছর শিক্ষক দিবস কেন্দ্রীয় ভাবে মহা সমারোহে পালিত হয়ে থাকে। এ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি ভাবে শিক্ষারত্ন সম্মান, 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের ট্যাবের টাকা দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। এ বার তা স্থগিত রাখা হয়। যার ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে যেহেতু বড় করে অনুষ্ঠান করছি না, তাই শিক্ষারত্ন সম্মান, 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের ট্যাবের টাকা পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানগুলি বাতিল করা হয়নি। এগুলি দেওয়া হবে না বলে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব। শীঘ্রই নতুন দিন জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এ বছর রাজ্যের সমস্ত স্কুল এবং কলেজে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সামিল হন। কোথাও নির্যাতিতার স্মৃতিতে মোমবাতি জ্বালানো হয়, কোথাও আবার কালো ব্যাজ পড়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষক ও পড়ুয়ারা।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা আর জি কর-এর নৃশংস ঘটনার প্রকৃত বিচারের দাবিতে, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বুকে ব্যাজ পরে সোচ্চার হয়েছেন। লেখা রয়েছে, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস ফর আরজি কর'। যত বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে, ততই এই আন্দোলনের ঢেউ সর্বত্র আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে।”
শহর ও শহরতলির বেশির ভাগ স্কুলই শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখে। বদলে ছাত্রছাত্রীরা নীরবে নির্যাতিতার পাশে থাকার অঙ্গীকার নেয়। পার্ক ইনস্টিটিউশনের ছাত্র-ছাত্রীরা কালো প্যান্ডেল করে অনুষ্ঠানের জায়গায়। নিজেরাও কালো ব্যাজ পরে শিক্ষক দিবস পালন করে। বেথুন স্কুলের ছাত্রীরাও নীরবতা পালন করেন প্রতিবাদ জানিয়ে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কালো ব্যাজ পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। সেই ব্যাজে লেখা ছিল, অভয়ার খুনিদের চরম শাস্তি দিতে হবে। সঠিক বিচার যত দিন না হচ্ছে, তত দিন আমাদের প্রতিবাদ চলতে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy