Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Training Courses for Graduates

সংক্রামক ভাইরাসের শনাক্তকরণের পাঠ, হাতেকলমে প্রশিক্ষণ স্নাতকদের

কোয়ান্টিটেটিভ আরটি-পিসিআর, বায়োসেফটি সংক্রান্ত বিষয়গুলি জানা থাকলে পেশাগত পরিবেশে সেই জ্ঞান বিশেষ ভাবে প্রভাব ফেলবে। দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর কো-অর্ডিনেটর তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পিয়ালি মুখোপাধ্যায়ের।

Presidency University.

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৪:১৮
Share: Save:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে রোগীদের নমুনা থেকে করোনা-সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ভাইরাস খুঁজে বার করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ‘মলিকিউলার ডায়গনোস্টিকস’ শীর্ষক এই ট্রেনিং কোর্সটি স্নাতকদের জন্য। প্রশিক্ষণে কোয়ান্টিটেটিভ আরটি-পিসিআর, বায়োসেফটি সংক্রান্ত বিষয়গুলিও শেখানো হবে। মোট ১০ জনকে নিয়ে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেসে ক্লাস করানো হবে।

এই বিষয়ে বিশদ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর কো-অর্ডিনেটর তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পিয়ালি মুখোপাধ্যায়।

প্রশ্ন: কাদের জন্য এই কোর্স?

পিয়ালি: লাইফ সায়েন্সেস কিংবা সমতুল্য শাখায় যাঁরা স্নাতক হয়েছেন কিংবা স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতেই এই কোর্সটি চালু করা হয়েছে।

প্রশ্ন: এই বছরই কি প্রথম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?

পিয়ালি: অতিমারি পর্বে রোগের জীবাণু চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না অনেকেই। কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় সেই সময়ে বহু কর্মীকেই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই সময়েই ঠিক করা হয়, স্নাতক স্তর থেকে ডায়াগোনস্টিক সংক্রান্ত বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০২০ সাল থেকে এই কোর্সটি চালু করা হয়।

প্রশ্ন: কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে?

পিয়ালি: প্রশিক্ষণ চলাকালীন ক্যুইজ় বা অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। কোর্স যাঁরা সম্পূর্ণ করেন, তাঁদের একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার নিরিখে বেশ কয়েক জন পড়ুয়া বিভিন্ন ডায়াগোনস্টিক ল্যাবে চাকরি পেয়েছেন। কয়েক জন জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে গবেষণামূলক কাজের সুযোগও পেয়েছেন।

প্রশ্ন: সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১০ জনকেই কেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?

পিয়ালি: রোগের জীবাণু চিহ্নিতকরণ কিংবা আরটিপিসিআর টেস্টিং কী ভাবে করতে হয়, তা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের মতো আগ্রহীদের শেখালে চলবে না। বায়োসেফটি-র নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের সুরক্ষিত থেকে পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। তা ছাড়াও নির্দিষ্ট প্রোটোকলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করে গবেষণাগারে কাজ। অনেককে নিয়ে একসঙ্গে করলে বিভিন্ন রকম ঝুঁকিও থেকে যায়। সে কারণে কম সংখ্যক পড়ুয়াদেরই আমরা যথাযথ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।

প্রশ্ন: প্রশিক্ষণের জন্য সপ্তাহান্তেও ক্লাস করানো হবে?

পিয়ালি: যেমন ভাবে সোম থেকে শুক্র কলেজের ক্লাস চলে, সেই ভাবে এই প্রশিক্ষণের জন্য আগ্রহীদের সারা সপ্তাহ উপস্থিত থাকতে হবে। তবে কোন সময়ে তাঁরা আসবেন, সে বিষয়টি কোর্স চালু হওয়ার পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট ১২ হাজার টাকা কোর্স ফি হিসাবে জমা দিতে হবে। মোট চার সপ্তাহের প্রশিক্ষণ। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস শুরু হবে। তাই ২৪ জুলাই পর্যন্ত ইমেল মারফত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE