প্রতীকী চিত্র।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতে রয়েছে আর কয়েকটা দিন। তবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলি নিয়ে অনেক পড়ুয়ারই নাজেহাল অবস্থা। তাই তাঁদের জন্য জীবনবিজ্ঞানের কোন অংশগুলি এই বছরের পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল কেমন হওয়া উচিত-সহ নানা বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের বিষয় শিক্ষিকা তথা সহ প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী।
প্রশ্নের ধরন: মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নপত্রে ‘ক, খ, গ ও ঘ’ এই চারটি বিভাগ থাকে। ‘ক’ বিভাগে ১৫টি এমসিকিউ থাকে, যার সবক’টির উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। ‘খ’ বিভাগে শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা, স্তম্ভ মেলানো ও একটি শব্দ/ বাক্যে উত্তর ভিত্তিক ২৬টি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থেকে ২১টির উত্তর করতে হয়। এতে মোট ১৫+ ২১=৩৬ নম্বর থাকে। বিভাগ ‘গ’-তে ১৭টি প্রশ্ন থেকে ১২টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। প্রতি প্রশ্নে থাকে ২ নম্বর। বিভাগ ‘ঘ’-তে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, প্রতি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর ৫। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন হল অঙ্কনধর্মী ।
সময় বিভাজন: প্রথম ১৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই তা খুব মন দিয়ে পড়ে নিতে হবে এবং কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দেবে তা নির্বাচন করে নিতে হবে। পার্ট প্রশ্ন যেন চোখ এড়িয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ‘ক’-বিভাগের ১৫টি এমসিকিউ ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করে দেওয়া ভাল। ‘খ’-বিভাগের জন্য ২৫ মিনিট ও ‘গ’-বিভাগের জন্য ৩৫ মিনিট হাতে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে, ‘খ’ ও ‘গ’ বিভাগ থেকে একটি/ দু’টি অতিরিক্ত উত্তর লিখতে পারলে ভাল হয় । ‘ঘ’-বিভাগের জন্য ৯০ মিনিট সময় দেওয়া যেতে পারে। এর পর হাতে থাকবে আর ১৫ মিনিট। এই সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে রিভিশন করে নিতে হবে।
যে ভাবে পড়বে: পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন টেস্ট পেপার এবং বিগত বছরের মাধ্যমিকের প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। প্রস্তুতি পর্বের এই শেষ কিছুদিনে প্রতি দিন অন্তত এক থেকে দু’ঘণ্টা জীবনবিজ্ঞান পড়তে পারলে ভাল। তবে, সারা বছর বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষিকা যে ভাবে পড়িয়েছেন, যে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন, তা মাথায় রেখেই পড়াশুনা করতে হবে।
গুরুত্ব যেখানে:
১) পরীক্ষার খাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, অযথা কাটাকুটি না করাই ভাল।
২) উত্তর ক্রমানুসারে লিখবে।
৩) ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগের শেষে এবং ‘গ’ ও ‘ঘ’ বিভাগের প্রতি প্রশ্নের উত্তরের শেষে ‘এন্ডিং লাইন’ দিলে ভাল হয়।
৪) ছবি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে আঁকতে হবে। বাড়িতে ছবি আঁকা অভ্যাস করার সময় সবক’টি অংশ চিহ্নিত করা শিখতে হবে। কিন্তু পরীক্ষার সময় যে চারটি অংশ চিহ্নিত করতে বলা হবে, কেবল সেগুলোই চিহ্নিত করতে হবে। নিজেদের ইচ্ছেমতো কোনও অংশ চিহ্নিত করা চলবে না।
৫) খাতার বাঁদিক ঘেষে ছবি এঁকে ডানদিকে চিহ্নিত করলে ভাল।
৬) বিগত পাঁচ বছরে যে সকল অঙ্কনধৰ্মী প্ৰশ্ন এসেছে,সবগুলোই বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে হবে। তবে, নিউরোন, উদ্ভিদ বা প্রাণী কোশবিভাজন এর বিভিন্ন দশা, ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোম, প্রতিবর্ত চাপ এই চিত্রগুলো ভাল করে অভ্যাস করে অভ্যেস করতে হবে।
৭) যদি কোন শব্দের ‘ফুল ফর্ম’ লিখতে বলা হয়, তা হলে তা ইংরেজিতে লিখলেই ভাল।
৮) বংশগতি থেকে চেকার বোর্ড করতে বললে বা রোগ সম্পর্কে প্রশ্ন এলে প্রতিটি জনু, গ্যামেট, বিভিন্ন চিহ্নকে সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশ করতে হবে।
৯) অভিযোজনের প্রশ্নে উদ্ভিদ বা প্রাণীর অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লিখতে বললে তার সাথে অভিযোজনগত গুরুত্বও লিখতে হবে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি: জীবনবিজ্ঞানের পাঁচটি অধ্যায়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। অনেকেই সহজ বলে পঞ্চম অধ্যায়কে অবহেলা করে, তবে মনে রাখতে হবে যে, এই অধ্যায় থেকেই সবথেকে বেশি প্রশ্ন আসে। কোনও উত্তরের সঙ্গে প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক ছবি আঁকার কথাও মাথায় রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy