— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু তারা কর্মসূচির বর্ধিত সময়সীমা শেষের মুখেও সেই লক্ষ্য পূরণ থেকে অনেকটাই দূরে। দলীয় সূত্রের খবর, এর কারণ হিসেবে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্য বিজেপির কেউ কেউ বলেছেন, ‘দলবদলুরা’ ভোটে টিকিট পাওয়ায় নিচুতলায় সাংগঠনিক কাজে সমস্যা হচ্ছে। যদিও এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছেন বলেই খবর।
সূত্রের দাবি, বৈঠকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে আরও ‘সক্রিয়’ ও ‘উদ্যমী’ হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তখনই দলের একাংশের তরফে তাঁকে বলা হয়, বছরভর পরিশ্রম করলেও নির্বাচনের সময়ে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বা অন্য দল থেকে বিজেপিতে আসা লোকজন টিকিট পাচ্ছেন। তাই অনেক জায়গায় সদস্য সংগ্রহের কাজে মাঠে নামানো যাচ্ছে না নিচুতলার কর্মীদের। সূত্রের দাবি, বনসল রাজ্য নেতৃত্বকে পাল্টা জানান, তাঁরা চান না অন্য দল থেকে নেতা ভাঙিয়ে এনে টিকিট দিতে। কিন্তু দলের নেতাদের তেমন সক্রিয়তা না থাকলে বা এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা তৈরি না হলে বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করতে হয়। বিজেপিরই একাংশ অবশ্য মনে করাচ্ছেন, তৃণমূল থেকে এসে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হয়েছেন এবং এই মুহূর্তে রাজ্যে দলে তিনিই সবচেয়ে ‘সক্রিয়’ নেতা। তাই এক বন্ধনীতে সবাইকে ফেলা যায় না।
কেন প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা থেকে সংগ্রহ করা গেল না অন্তত দেড় লক্ষ সদস্য, প্রশ্ন বনসলের। এই সূত্রেই দলের সাংসদ, বিধায়কেরা যথেষ্ট উদ্যোগী হননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিছু দিন আগে বিজেপির পুরনো রাজ্য দফতরে বিধায়ক দলের বৈঠকে বিধায়কদের একাংশ দাবি করেন, তাঁদের না জানিয়ে সাংগঠনিক নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংগঠনিক কাজে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বনসলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “নতুন লোকেরা দলে না-এলে দল বাড়বে কী করে! আবার বিজেপির পুরনো নেতারা গ্রামে চাটাই পেতে না-রাখলে নতুনেরা বসার জায়গা পেতেন কি?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy