সংগৃহীত চিত্র।
আদালতের রায়ে বাতিল ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। নষ্ট হয়েছে ২৩ লক্ষেরও বেশি ওএমআর শিট। এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ওএমআর শিট থাকলে আইনি জটিলতা কম হত। এর ফলে যোগ্যদের চাকরিও সুরক্ষিত থাকত, একই সঙ্গে অযোগ্যদের তথ্যও মিলত। সূত্র, তাই এ বার পুরোনো ভুল শুধরে নিতে ওএমআর শিট সংরক্ষণের পদ্ধতিতেই পরিবর্তন করার পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য।
এ বার শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের নয়া নিয়োগ পরীক্ষার পর আগামী ১০ বছর পর্যন্ত সমস্ত ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা হবে। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মতোই নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রশ্নপত্রের কার্বন কপিও পরীক্ষার্থীদের কাছে থাকবে। এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় কমিশন।
ওএমআর শিট বিতর্ক নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে, এরপর থেকে নিয়োগের যা পরীক্ষা হবে সেখানে ওএমআর শিট ১০ বছর সংরক্ষণ করে রাখা হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের পরীক্ষার নিয়মে পরিবর্তন করা হয়। পরীক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম বারের জন্য ওএমআর শিট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক বছর পর্যন্ত ওই শিট সংরক্ষণ করা হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে খাতায় লিখে পরীক্ষা দিতে হত শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী পদে চাকরিপ্রার্থীদের। সেই খাতা সংরক্ষণের সময়সীমা ছিল তিন বছর। কমিশন সূত্রে খবর, যাবতীয় কারচুপি ও দুর্নীতি ২০১৬ সালের চালু হওয়া নতুন নিয়মকে হাতিয়ার করেই করা হয়েছে, যার ফলেই এই আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আদালতের রায়ের পর এই বিষয়ে কমিশনের আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।
সেই বৈঠকের পরই কমিশনের প্রশ্ন, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এ ক্ষেত্রে কমিশনের আরও সংযোজন, রাজ্য সরকার নিয়ম শিথিল করলে, হয়ত নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করা গেলেও যেতে পারে। তবে, এ বার সরকার কী করবে, সেটা বিবেচনার বিষয়। সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাই নজর থাকবে।
এই নিয়ম শিথিল করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে অনেক প্রশ্ন উঠছে। সকলের চাকরি যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্যই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এতে নিশ্চিত ভাবে কোনও সুরাহা মিলবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy