আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সমস্ত কলেজে শুরু হচ্ছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ক্লাস। তার আগে র্যাগিং নিয়ে সতর্ক করলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিনিয়র ও জুনিয়রদের মিলেমিশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “র্যাগিং একটি বিচ্ছিন্ন ব্যাধি। সিনিয়রদের বলব, জুনিয়রদের ভালবাসো। আর জুনিয়ারদের বলব সিনিয়রদের সম্মান করো ও ভালবাসো।”
প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সশরীরে কলেজে গিয়ে ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই থেকে। যা চলবে ৬ অগস্ট পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডে টাকা জমা দিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪ জন পড়ুয়া। চার দিন ধরে এই ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে কলেজগুলিতে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২ লক্ষ ৪৫ হাজার পড়ুয়া ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব প্রথম এবং দ্বিতীয় পছন্দের কলেজে নাম নথিভূক্তকরণ ও ভেরিফিকেশনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে।
আরও পড়ুন:
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, শনিবার রাত পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ পড়ুয়া এই ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন করবে।
গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও তার জেরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল। তাই এ বার প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর আগেই সতর্ক শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
যাদবপুরের গত বছরের ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বর্তমান অস্থায়ী উপাচার্য র্যাগিং আটকাতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এবং বিভিন্ন সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা-ও তিনি অবগত করছেন। আশা করছি, এই উদ্যোগের ফলে এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে অনেকটাই কমবে।”
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত করতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখার পাশাপাশি ইউজিসির নির্দেশে অ্যান্টি র্যাগিং মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এছাড়াও হস্টেলের করিডরে ক্যামেরা বসানোরও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ । তার পরেও শিক্ষক মহলের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে র্যাগিং পুরোপুরি নির্মূল হবে কি?