সংগৃহীত চিত্র।
কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রথম দফায় সশরীরে গিয়ে নথি যাচাই পর্ব আজ, বুধবার ৩১ জুলাই থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত চলবে কলেজগুলিতে। কোনও পড়ুয়া যদি এই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উপস্থিত না হয়, তার ভর্তি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষের হাতে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথি যাচাই সম্পন্ন না হলে বাতিল হবে ভর্তি প্রক্রিয়াও। এমনটাই জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে এই প্রক্রিয়া বাতিলের ক্ষেত্রে কলেজ অধ্যক্ষের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী। উচ্চশিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "আমরা চাই, যারা টাকা জমা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করেছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কলেজে এসে নিজেদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুক। যারা নাম নথিভুক্ত করেও নথি যাচাইয়ের জন্য আসবে না, তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য উৎসাহ দিতে অধ্যক্ষরা উদ্যোগী হবেন। এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী।"
ইতিমধ্যেই ৩ হাজার শিক্ষাবন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। দফতরের তরফ থেকেও চার লক্ষেরও বেশি পড়ুয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ এবং এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি যে পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়ারা নাম নথিভুক্তকরণ করেছে, সেখানেও তাদের নয়া পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, “কোনও পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল করার আগে আমরা যাচাই করে নেব যে, সে অন্য কোনও কলেজের জন্য আমাদের কলেজে ভর্তি হতে অরাজি কি না। সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব, যাতে ওই পড়ুয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ভর্তিতে কোন অসুবিধা না হয়। আমরা আশা করব, যারা নাম নথিভুক্ত করেছে, তারা সকলেই ভর্তি হবে।”
সশরীরে নথি যাচাইয়ে অংশগ্রহণ করেনি এমন পড়ুয়াদের ভর্তি আপনা থেকে বাতিল হবে। কোনও পড়ুয়ার ভর্তি বাতিলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির অধ্যক্ষদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা পোর্টালে লগ ইন করে পড়ুয়াদের ভর্তি বাতিল করবেন। তবে সে ক্ষেত্রে কেন ভর্তি বাতিল করা হল, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে অধ্যক্ষদের। পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশন বাবদ যে টাকা দিয়েছিল ভর্তির ক্ষেত্রে, তা যাতে তারা সহজে ফেরত পায়, সে জন্য ‘ক্যান্সেল সার্টিফিকেট’ও দিতে হবে প্রত্যেকটি কলেজকে। আবার একই ভাবে কোনও পড়ুয়া নিজে থেকে যদি নাম প্রত্যাহার করতে চায়, তা হলেও তাকে ‘ক্যানসেল সার্টিফিকেট’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy