Advertisement
E-Paper

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে তালা বিক্ষোভকারীদের, ছাত্রদের দাবিতে সহমত শিক্ষামন্ত্রী

যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ধরনের উপাচার্যরা সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী।

স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ১৭:১১
Share
Save

সিন্ডিকেট বৈঠক ‘বেআইনি’? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তালাবন্দি করে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রেখেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিক্ষোভকারী ছাত্রদের আনা অভিযোগ সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে পদে থাকা এবং আইন বহির্ভূত ভাবে সিন্ডিকেট মিটিং করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যার পাল্টা জবাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দাবি করেছিলেন, যাঁরা এখানে এসে জড়ো হয়েছেন এবং তাঁদের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু ছাত্র নন। ‌

এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের ক্যাম্পাসে ঢোকাই উচিত নয়। উনি এখনও নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করছেন?” উপাচার্যের নাম না করেও ব্রাত্য বসু আর‌ও বলেন, "যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ধরনের উপাচার্যরা সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এঁদের বিরুদ্ধে আদালত নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"

শুক্রবার আচার্য তথা রাজ্যপালের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত উপাচার্যের ঘরে তালাও ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উপাচার্য একের পর এক বেআইনি সিন্ডিকেট মিটিং করছেন। এই বৈঠকে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের কোন‌ও অনুমতি নেই। ইতিমধ্যে অবসর নিলেও কী ভাবে তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পাশ করাচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়।

উপাচার্যের পাল্টা বক্তব্য, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের অবসরের বয়স ৭০ বছর। আমাদের রাজ্য সরকার বা ইউজিসি নিয়মে উপাচার্য পদে অবসরের বয়স ৭০ বছর। আমি কিন্তু আচার্যের নির্দেশেই উপাচার্যের পদে আছি।"

Bratya Basu Calcutta University

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।