সংগৃহীত চিত্র।
সর্বভারতীয় স্তরে কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় গত বছরের তুলনায় কয়েক ধাপ পিছোল রাজ্যের দুই প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর এবং কলকাতা। এর জন্য সরাসরি রাজ্যপাল তথা আচার্যকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে সার্বিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাপকাঠিতে কলকাতা এবং যাদবপুর প্রথম সারিতেই ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে বারবার নানা ক্ষেত্রে খবরদারি করেছেন। তার ফলেই রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই অবনমন।”
দেশের সার্বিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা-- এই তিনটি ক্ষেত্রেই মান ও স্থান ধরে রাখতে পারেনি কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণার ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর ছিল ১৯ নম্বর স্থানে। এ বছর ২১ নম্বর স্থান দখল করেছে। একই ভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও ৩৫ থেকে ৩৬তম স্থান পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবেও গত বারের তুলনায় দু'ধাপ র্যাঙ্কিং কমেছে যাদবপুরের। দশম স্থান থেকে এ বছরে পৌঁছেছে দ্বাদশ স্থানে।
সোমবার প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৪- সালের ফলাফল। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতা গতবার ছিল দ্বাদশ স্থানে। এ বছর তারা অষ্টাদশ স্থান দখল করেছে। একই ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর ছিল চতুর্থ স্থানে। এ বছর নবম স্থান দখল করেছে।
ব্রাত্য আরও বলেন, “ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করি, আগামী বছরই বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হৃতগৌরব ফিরে পাবে।”
যাদবপুর বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থান দখল করলেও এ বছরও তালিকায় প্রথম একশোয় জায়গা করতে পারেনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের নিয়োগ করা অভ্যন্তরীণ উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এ বছর সর্বভারতীয় র্যাঙ্কিং-এ ফল করতে পারেনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ও। গত বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় ৮৬ নম্বর স্থানে ছিল এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এ।
প্রসঙ্গত, এ বছর থেকে র্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। নতুন বিভাগ যোগ করা হয়েছে-- স্কিল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেও দেখা যাচ্ছে প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যাদবপুর দ্বিতীয়, কলকাতা চতুর্থ ও ৩৬তম স্থানে রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্যের নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর বিশ্বভারতী প্রথম ১০০-য় ছিল। এ বছর এই প্রতিষ্ঠান তালিকায় স্থান পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy