প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের জেরে একাদশের দ্বিতীয় সেমেস্টারের খাতা দেখার কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।
চাকরি বাতিলের জেরে বিভিন্ন স্কুলে দ্বিতীয় সেমেস্টারের বিষয়ভিত্তিক খাতা দেখার শিক্ষক নেই। তাই খাতা দেখার কাজও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাসও শুরু করতে পারেনি বহু স্কুল। স্বাভাবিক ভাবেই সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকেরা।
অন্য দিকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের একটি অংশ। অশান্তির জেরে জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ। যার ফলে ওই জেলায় দ্বিতীয় সিমেস্টারের নম্বর অনলাইনে জমা দিতে স্কুলগুলিকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “কার্যত গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা স্কুলগুলিতে। এক দিকে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নেই। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদে বন্ধ ইন্টারনেট। এর সরাসরি প্রভাব স্কুলগুলিতে পড়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অবিলম্বে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ এবং সময়সীমা বৃদ্ধি করা উচিত।”
উল্লেখ্য, চলতি বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর অনলাইনে জমা দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে স্কুলগুলি। তবে সময়সীমা বৃদ্ধি করার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সাম্প্রতিক ঘটনার ফলে বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা পুরো বিষয়টি নজরে রাখছি।”