লন্ডন ডায়েরি। ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন সম্প্রচারিত হওয়ার আগেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ভারত সরকার তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার পরে সাধারণ মানুষের কৌতূহল আরও বেড়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছবিটি প্রদর্শন করা নিয়ে হাঙ্গামাও নেহাত কম হয়নি। কিন্তু কত জন জানেন এই তথ্যচিত্রের পরিচালকের নাম? দ্য মোদী কোয়েশ্চেন পরিচালনা করেছেন সাধনা সুব্রহ্মণ্যম। ব্রিটেনে জন্ম সাধনার। ভারতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র বানিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়া’জ় ফরবিডন লাভ: অ্যান অনার কিলিং অন ট্রায়াল। এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল এই ছবিটি। ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন এক তরুণী বধূ, যাঁর স্বামীকে ‘পরিবারের সম্মানার্থে’ খুন করা হয়। স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন সেই তরুণী। এই ছবিটি বানানোর সময়ে সাধনা জানিয়েছিলেন, জাত ও ধর্ম কী ভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আরও ছবি বানাতে চান তিনি। পরে বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু নিয়েও একটি তথ্যচিত্র পরিচালনা করেন সাধনা, নাম ডেথ ইন বলিউড। পুলিশের তদন্তে জিয়ার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও জিয়ার পরিচিত মহলে এখনও অনেকে তা মানতে চান না। সাধনা বিশ্বাস করেন যে, সমাজ পাল্টানোর অস্ত্র হিসাবে সিনেমার গল্প বলার ধরন অতি গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির প্যাঁচে জড়িয়ে পড়া সাধারণ মানুষের জীবন তাঁর আগ্রহের বিষয়।
কলম তবু সচল
দীর্ঘ দিনের সঙ্গিনী ইসাবেলা দা’মিকোকে বিয়ে করতে চলেছেন ৬৮ বছরের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাহিত্যিক হানিফ কুরেশি। দ্য বুদ্ধ অব সাবার্বিয়া-র লেখক বড়দিনের ছুটিতে রোমে গিয়ে পড়ে যান। ঘাড়ে চোট পেয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন। হাঁটা-চলার ক্ষমতা নেই, হাতও প্রায় অকেজো। তবে তাঁর লেখা বন্ধ হয়নি। এখন মুখে মুখে তিনি বলে যান, তাঁর ছেলে কার্লো কুরেশি ও সঙ্গিনী ইসাবেলা অনুলিখন করেন। কুরেশির এই ব্লগ দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। ব্লগে থাকে তাঁর দৈনন্দিন জীবনযাপনের কথা। দুর্ঘটনার পরে তিনি কী ভাবে সারা দিন কাটান, তা হালকা চালে বর্ণনা করেন কুরেশি। তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে উঠে আসে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা, কী ভাবে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করছেন, সেই সব প্রসঙ্গ। রসিকতা করে বলেন, এ ভাবে পড়ে থাকার ভাল দিকও রয়েছে। যেমন, তাঁর যদি কেক খেতে ইচ্ছে করে, ইসাবেলা তখনই কেক কিনে এনে তাঁকে খাইয়ে দেন। কুরেশির আশা, এক দিন নিজেই কম্পিউটারের সামনে বসে লিখতে পারবেন। কুরেশি জানিয়েছেন, লেখক সলমন রুশদির সঙ্গে নিয়মিত বার্তালাপ হয় তাঁর। দুষ্কৃতীর ছুরির ঘায়ে রুশদিও একটি হাত ও একটি চোখ খুইয়েছেন।
আমন্ত্রিত
মে মাসে রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, রাজকুমার হ্যারি যাতে নির্বিঘ্নে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তার জন্য দুই রাজকুমারের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবিকে। রাজা তৃতীয় চার্লসের মতে, হ্যারি যদি ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে অভিষেকের অনুষ্ঠানে না আসেন, তা হলে বিষয়টি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু হবে। যদিও চার্লসের বড় ছেলে, যুবরাজ উইলিয়ামের দাবি, হ্যারি অভিষেক অনুষ্ঠানে এসে নতুন কোনও বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারেন— এমন কিছু করতে পারেন, যাতে অভিষেকের দিনও চার্লসের থেকে আলো কেড়ে নেবেন হ্যারি। রাজপরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হ্যারি যাতে নিজের ‘ডিউক অব সাসেক্স’ উপাধিটি ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন চার্লস। তা ছাড়া, অ্যাবিতে সে দিন হ্যারির জন্য একটি বিশেষ আসনও বরাদ্দ করা হবে। বাবার অভিষেক অনুষ্ঠানে তা হলে কি উপস্থিত থাকবেন চার্লস-ডায়ানার ছোট ছেলে? ঘনিষ্ঠ মহলে হ্যারি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধু রাজপরিবারই।
বেস্টসেলার
এ দিকে, সানডে টাইমস বেস্টসেলার তালিকায় এখনও এক নম্বরেই রয়েছে হ্যারির লেখা বই স্পেয়ার। ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত বইটির ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষেরও বেশি কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। প্রথম সপ্তাহে ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৮৫টি কপি বিক্রি হয়। পরের সপ্তাহে বিক্রির সংখ্যা ৮২ হাজার ৫৪০টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy