বিদ্যুতের পরিবর্তনশীল দর।
বর্তমানে আমাদের রাজ্যে স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের আওতায় গৃহস্থ গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের যে পরিবর্তনশীল দাম নেওয়া হয়, তার প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না। যেমন, এখন শহরাঞ্চলে প্রথম ১০২ ইউনিটের জন্য প্রতি ইউনিট ৫.৫৩ টাকা, পরের ৭৮ ইউনিটের জন্য ৬.২০ টাকা, তার পরের ১২০ ইউনিটের জন্য ৭.২০ টাকা এবং এর পরের ইউনিটের জন্য ৭.৫৪ টাকা— এই ভাবে দাম বাড়তে থাকে। মোট বিদ্যুৎ বিল থেকে কিঞ্চিৎ ছাড় (সাবসিডি) দেওয়া হলেও তা অতি সামান্য। ফলে যাঁদের একটু বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাঁদের ঘাড়ে বিশাল অঙ্কের বোঝা চাপে। কয়েকটি রাজ্যে বিদ্যুতের দাম এ রাজ্যের থেকে বেশি হলেও কিছু রাজ্যে কমও আছে।
আমার প্রশ্ন বিদ্যুতের এই পরিবর্তনশীল দর নিয়ে। সাধারণ যুক্তিতে এর পিছনে কারণ দেখানো হয় গৃহস্থকে যত দূর সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচে উৎসাহিত করা ও অপচয় বন্ধ করা। কিন্তু আজকাল আধুনিক বিদ্যুৎনির্ভর উপকরণের কল্যাণে বেশির ভাগ ঘরেই বিদ্যুৎ খরচ একটু বেশিই হয়, চেষ্টা করেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে যখন আমাদের রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল, তখন এর বেশি প্রয়োজনীয়তা ছিল। এখন যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে, ফলে ঘাটতি নেই। তা হলে কেন এই ব্যবস্থা থাকবে? তা ছাড়া এই পদ্ধতি অর্থনীতির সাধারণ নিয়মেরও পরিপন্থী। সাধারণ ভাবে কোনও জিনিস বেশি কিনলে দামে ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু বিদ্যুতের বেলায় উল্টো নিয়ম কেন?
আরও একটি কথা। গৃহস্থের মিটারের জন্য প্রতি কোয়ার্টারে তিরিশ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। এটি কত দিন নেওয়া হবে বা কত দিনে মিটারের দাম মিটবে, তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। এটা একেবারেই যুক্তিসম্মত নয়। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে এই বিষয়গুলি নিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
চণ্ডীচরণ দাস , সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
পেনশন সমস্যা
২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে রাজ্যের তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের মতো পেনশন পেতে শুরু করেছেন। এত দিন তাঁরা কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)-এর আওতায় ছিলেন। কর্মচারীদের পেনশন চালু হওয়ার পর ব্যাঙ্ক তার নিজের দেওয়া অংশ সুদ-সহ ফেরত নিয়ে নিচ্ছে। সেই টাকা তারা কর্মচারীদের অবসরকালীন অন্যান্য প্রাপ্য টাকা থেকেও কেটে নিচ্ছে। এ দিকে ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পর এখন সমস্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন (ইপিএফও)-এর আওতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যে দেশের সমস্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্কেই প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন— দুটো করে ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কেও দু’টি ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এই তিনটি ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি ব্যাঙ্কের হেড অফিস বহরমপুর শহরে থাকায় এই ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের জঙ্গিপুর পিএফ অফিসের আওতায় থাকতে হয়েছে। দীর্ঘ দিন ইপিএফও থেকে ‘এক্সেম্পটেড’ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত বহরমপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস থেকে ব্যাঙ্কের ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে কর্মচারীদের টাকা ট্রান্সফার হয়নি। তবু এত দিন ব্যাঙ্কের পাওনা টাকা কেটে নিয়ে কর্মচারীদের ‘এগজ়িট’ দেখিয়ে দিলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা অনলাইনে টাকা পেয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহরমপুর পিএফ অফিস থেকে ‘ফান্ড ট্রান্সফার আন্ডার প্রসেস’ দেখিয়ে ফাইল ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পিএফ সদস্যরা অনলাইনে ইপিএফও-তে ঢুকলে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে এই ক’মাসে রাজ্যের বারোটি জেলার শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী তাঁদের ন্যায্য পাওনা টাকা পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই অসুবিধা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে অবসরপ্রাপ্তদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিলে অবসর জীবনে সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।
দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
অসহিষ্ণু কর্মী
দু’-তিন মাস পর-পরই বন্ধুর বাড়ি ঝাড়গ্রামে যাই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথে আন্দুল স্টেশন থেকে ঘাটশিলা লোকালে চড়ে ঝাড়গ্রামে নামি। করোনার আগে ঘাটশিলা লোকালের ভাড়া ছিল ৩৫ টাকা। করোনাকালে বন্ধ থাকার পর ঘাটশিলা লোকাল, এক্সপ্রেস নাম দিয়ে এক লাফে ভাড়া করে দেয় ৬৫ টাকা। আবার, গত ১৯ সেপ্টেম্বর আন্দুল থেকে টিকিট কাটতে গিয়ে জানলাম, ট্রেনটি আবার লোকাল ট্রেন হয়ে গিয়েছে। সে কারণে ভাড়া আগের মতোই ৩৫ টাকায় নেমে গিয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ফেরার সময়, ঝাড়গ্রাম থেকে টিকিট কাটতে গিয়ে আবার সেই ৬৫ টাকার টিকিট ধরানো হল। প্রশ্ন করতে টিকিট কাউন্টারের কর্মী জোরের সঙ্গে জানান, ৬৫ টাকার টিকিটই লাগবে। আন্দুল থেকে কাটা ৩৫ টাকার টিকিটটি দেখানো সত্ত্বেও তিনি আমার কথা কিছুতেই শুনলেন না। আমি এক জন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা। আমার সঙ্গে সহযোগিতা তো দূর, রেলের কর্মচারীরা সামান্য সৌজন্যটুকুও দেখালেন না। কিছু অসহিষ্ণু কর্মচারীর রেলযাত্রীদের প্রতি দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মণিকা ঘোষ, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া
ফুটপাত দখল
দীর্ঘ এগারো বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়ল কলকাতা শহরে ফুটপাতের বেশির ভাগ অংশই হকারদের দখলে। এত দিন এই দৃশ্য তাঁর চোখে পড়েনি কেন, সেটাই আশ্চর্যের। অথচ শ্যামবাজার, নাগেরবাজার, ধর্মতলা, গড়িয়া প্রভৃতি অঞ্চলে ফুটপাত বলতে আজ আর এমন একটু অংশ অবশিষ্ট নেই, যেখান দিয়ে পথচারীরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন। ফুটপাতের দু’পাশে সাজিয়ে রাখা পসরার ঠেলায় পথচারীরা সরীসৃপের মতো এঁকেবেঁকে চলতে বাধ্য হন, এই দৃশ্য কি কারও অজানা? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, “প্রশাসন অনেক সময় জেনেও ব্যবস্থা নেয় না।” কেন নেয় না, এর প্রশ্ন তো তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকেই করতে পারতেন। কবে একটা বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে, তবে প্রশাসন কয়েক দিনের জন্য একটু নড়েচড়ে বসবে, এমন ঘটনা মেনে নিতেই বর্তমান নাগরিকরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই চান কলকাতার ফুটপাতগুলি মানুষ চলাচলের উপযোগী হোক, তা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা করে অবিলম্বে এগুলি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিন।
সমীর কুমার ঘোষ , কলকাতা-৬৫
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য?
সম্প্রতি পূর্ব রেলের তরফে একটি তথ্যে জানানো হয়েছে যে, বিধাননগর রোড স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম শেড, ফুট ওভারব্রিজ সমস্ত ধরনের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বন্দোবস্ত রয়েছে। তথ্যটি যে কতটা অসার, তা নিত্যযাত্রীরা হাড়ে হাড়ে টের পান। শিয়ালদহ নর্থ ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রেলস্টেশন বিধাননগর রোড জংশন। অথচ, প্ল্যাটফর্মের বেশির ভাগ অংশই উন্মুক্ত। এত বছরেও পর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্ম শেডের ব্যবস্থা করা যায়নি কেন? রোদ, ঝড়, জলে যাত্রীদের শোচনীয় অবস্থা হয়। এ ছাড়া ট্রেনের ঘোষণাও ঠিকমতো হয় না, যার জন্য বহু মানুষ ভুল ট্রেনে উঠে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন।
তার উপরে এই রকম ব্যস্ত স্টেশনে অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ভূগর্ভ পথের প্রবেশপথটি অফিস টাইমের চাপ নিতে অপারগ। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ রুজি-রোজগারের সূত্রে এই স্টেশন ব্যবহার করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জয়ী চৌধুরী , সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy