Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: নিজস্বী অঞ্চল

নিশ্চিত ভাবে আসন্ন দুর্গাপুজোয় এই রাজ্যে এই অসুবিধা চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে। পুজোর উদ্যোক্তারা যেন অবশ্যই আলাদা নিজস্বী তোলার অঞ্চল রাখেন।

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

অবিলম্বে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায়— পার্ক, সিনেমা হল, শপিং মল, হাসপাতাল, স্টেশন, স্কুল, কলেজ, অফিস, রাস্তার মোড়, শ্মশান— ‘সেলফি-জ়োন’ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। তা না হলে যেখানে-সেখানে হঠাৎ থমকে, হেলে, বেঁকে, বসে, শুয়ে পড়ার (এবং নিজের ছবি তোলার) প্রবণতা এখন চরমে! স্বাভাবিক মানুষেরা, মানে যাঁরা সেলফি না তুলেই বেশ কিছু ক্ষণ জীবন যাপন করতে পারেন, ভাল করে হাঁটতে পারছেন না। নিশ্চিত ভাবে আসন্ন দুর্গাপুজোয় এই রাজ্যে এই অসুবিধা চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে। পুজোর উদ্যোক্তারা যেন অবশ্যই আলাদা নিজস্বী তোলার অঞ্চল রাখেন।

বিশ্বজিৎ কর

সুভাষপল্লি, খড়্গপুর

দাবদাহ

আমার বাড়ি পুরুলিয়ার মানবাজারে। এই চিঠি লেখা পর্যন্ত আমাদের জেলায় বর্ষা আসেনি। প্রচণ্ড দাবদাহে সব কিছু জ্বলছে। আমার ছেলেমেয়েকে এই প্রচণ্ড গরমে স্কুলে যেতে হচ্ছে। কারণ ১০ জুন স্কুল খুলে গিয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ছিল। কিছু শহুরে শিক্ষকের আন্দোলনে সরকার মত পরিবর্তন করল। আগে মোট ছুটি ৯০ দিন ছিল। বাম সরকার এক ধাপে ৬৫ দিন করে দিল। তাই প্রতি বছর একই সমস্যা।

লক্ষ্মণ কিস্কু

মানবাজার, পুরুলিয়া

পতাকা ও আলো

‘পতাকা’ (২৪-৬) শীর্ষক চিঠিতে লেখক বলেছেন, সূর্যাস্তের পরে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত অবস্থায় রাখা যায় না। কিন্তু মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশানুসারে, যে কোনও ভারতীয় নাগরিক নিজের বাড়ির ছাদে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা ৩৬৫ দিন রাখতে পারেন। তবে সূর্যাস্তের পরে পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে দূর থেকে জাতীয় পতাকাকে চেনা যায়।

সৌম্য হালদার

কলকাতা-২

ধোঁয়া পরীক্ষা

যদিও পলিউশন সার্টিফিকেটে লেখা আছে— গাড়ি দূষণ ঘটাচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করার মূল্য ৮০ টাকা, কয়েকটি পেট্রল পাম্পে দেখা যাচ্ছে, দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা এবং চার চাকার ক্ষেত্রে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ জানালে বলা হচ্ছে, জিএসটির জন্য অতিরিক্ত ১৫ টাকা, এবং যে কর্মী ধোঁয়া পরীক্ষাটি করছেন তাঁর জন্য ৫ টাকা। আমি জিএসটি সহকারে বিলটি চাইলে কয়েকটি খালি বিলের বই আমাকে দেখানো হল এবং বলা হল, এই বিলগুলি গ্রাহকদের দেওয়া যাবে না, এটি শুধুমাত্র পাম্পের জন্যই।

শ্রীমন্ত দে

কলকাতা-৯৪

কোনটা প্রথম

‘হেমন্তের প্রথম’ (৩-৭) শীর্ষক চিঠিতে লেখা হয়েছে, ১৯৪৪ সালে হিন্দি ছবি ‘ইরাদা’-তে প্রথম হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠদান। কিন্তু হিন্দি ছবিতে হেমন্তের গান সর্বপ্রথম শোনা যায় ১৯৪২ সালে পঙ্কজকুমার মল্লিক সুরারোপিত ‘মীনাক্ষী’ ছবিতে। হেমন্ত একক কণ্ঠে গেয়েছিলেন ‘আঁখো কি ওট যো রহতা থা’ আর দ্বৈতকণ্ঠে সুপ্রভা সরকারের সঙ্গে ‘অব প্রীত কি জিত মানায়ে সাজন’। গান দু’টি লিখেছিলেন পণ্ডিত ভূষণ। হেমন্ত গান দু’টি প্লেব্যাক করেছিলেন নাজমল হুসেন-এর লিপে।

বিশ্বনাথ বিশ্বাস

কলকাতা-১০৫

বোতলে জল

আয়লার সময় রাত ১০টায় ত্রাণ বিতরণ করে ফেরার পথে, নদীর পাড়ে হাঁটুভেজা জলে দাঁড়িয়ে টর্চের আলোর সঙ্কেত ও হৃদয় বিদীর্ণ করা ‘জল দাও, জল দাও’ ডাক শুনেছি। আয়লা-পরবর্তী সময়ের মতো এখন সেই গোসাবা-সহ চারিদিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। টিউবওয়েলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

এখন এসেছে প্লাস্টিক বোতলের যুগ বা জল অপচয়ের যুগ। এক জন ছাত্র স্কুলে থাকাকালীন টিউবওয়েল থেকে ৩ থেকে ৫ বার বোতল ভরে। এক বোতল জল ভরতে গিয়ে নষ্ট হয় অনেক জল। প্রতি দিন এ ভাবে কোটি কোটি বোতল টিউবওয়েলের নীচে ধরে জল ভরা হচ্ছে। সোনারপুরে একটা ক্লাবের সামনে টিউবওয়েলে একটা ফানেল লাগানো থাকত। যাতে বোতল ভরার সময় জল বাইরে না পড়ে। আর এক জায়গায় লেখা ছিল: টিউবওয়েলের জলে বোতল ভরা নিষেধ। অযথা পানীয় জল অপচয় বন্ধের জন্য সমস্ত স্কুল ও ক্লাবকে দায়িত্ব নিতে হবে।

প্রভুদান হালদার

বাসন্তী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

টাকাটা তো...

সম্প্রতি এই বঙ্গের সাত জন চিকিৎসককে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ এবং ৩০ জন চিকিৎসককে বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান প্রদান করে সংবর্ধনা জানাল রাজ্য সরকার। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট প্রাপকেরা পেলেন দু’লক্ষ, বিশিষ্ট সম্মান প্রাপকেরা এক লক্ষ টাকা।

কতিপয় চিকিৎসককে সম্মান জানাতেই আনুষঙ্গিক খরচ-খরচা বাদেও রাজ্য সরকারকে ব্যয় করতে হল ৪৪ লক্ষ টাকা। অথচ এই অর্থ চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতিতে ব্যয় করে, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মারক, উত্তরীয় ও মানপত্র দিয়েও সংবর্ধনা জানানো যেত।

সমীর কুমার ঘোষ

কলকাতা-৬৫

পিছিয়ে পড়ছে

আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর এতটাই বেশি, পিছিয়ে যেতে হচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য চলছে তুমুল লড়াই। এর ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কী অসম্ভব মানসিক চাপ হচ্ছে! যাদের প্রাপ্ত নম্বর ৮০ শতাংশের কম, তাদের কথা কি ভেবে দেখা হবে না?

সোহিনী দত্ত

কলকাতা-৭৪

সংরক্ষণ বিল

সম্প্রতি পার্লামেন্টে ১০৩তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির (EWS) জন্য সংরক্ষণ বিল পাশ হল, তা পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হচ্ছে না। অন্যান্য রাজ্যে ইডব্লিউএস সার্টিফিকেট দেওয়া চালু হয়ে গিয়েছে, এখানে হয়নি। ফলে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ও সর্বভারতীয় স্তরে পিছিয়ে পড়ছেন।

সঞ্জীবন দে

বারুইপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

ডাক বিভাগ

একটি অঘটন ঘটেছে! প্রায় মাসখানেক আগে শিলিগুড়ির ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম, সেটি যথাস্থানে পৌঁছেছে! এর আগে ছ’মাসে আট-দশটি চিঠি ডাকবাক্সে ফেলেছি। একটাও পৌঁছয়নি। আর, পোস্ট অফিসে একটি পোস্টকার্ড কিনতে গিয়েছি, দেবে না। দুটো নিতে হবে। আমার একটি প্রয়োজন, দুটো নেব কেন? কারণ ৫০ পয়সা বাজারে অচল। প্রশ্ন হল, ৫০ পয়সা কি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অচল ঘোষণা করেছে?

মুস্তফী অমর নাথ

কলকাতা-৮৪

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

অন্য বিষয়গুলি:

Selfi Durga Puja 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy