—প্রতীকী চিত্র।
‘পুরনো ওষুধ’ (৩-৭) শীর্ষক চিঠিতে পত্রলেখক কমল চৌধুরী মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া ওষুধ বিক্রির ঘটনা লিখেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত ও গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা ঠিক, সাধারণ মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঝামেলা এড়াতে চান। তার ফলে ক্রেতা সুরক্ষা বা আইনানুগ ব্যবস্থা করা হয় না। এই দুর্নীতি চলতেই থাকে।
এ হল মুদ্রার এক পিঠ। অন্য পিঠে আছে ওটিসি বা সরাসরি ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি হওয়া ওষুধ। এই সব ওষুধের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যাচাই করার কোনও উপায় নেই। কারণ, অধিকাংশই ডিরেক্টরেট অব ড্রাগ কন্ট্রোল-এর অনুমোদিত নয়। অথচ, এই সব ওষুধের নির্মাতারা প্রচুর টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ করেন। বাতের ব্যথা থেকে চুলপড়া রোধের বিভিন্ন মলম, তেল ইত্যাদি মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হয়। এখন তো রেডিয়ো বা চলচ্চিত্রের মাঝে চলচ্চিত্র তারকাদের দ্বারা বিজ্ঞাপন করে এই সব ওষুধ, বিশেষত যাকে আমরা লাইফস্টাইল ডিজ়িজ় বলে থাকি, নির্বিচারে বিক্রি হয়।
প্রায় সব ওষুধেরই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই বিজ্ঞাপনের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে এই সব ওষুধ না ব্যবহার করাই ভাল। সম্ভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পার্থ সরকার, কলকাতা-৩৩
পুলিশ চাই
বিধাননগর-করুণাময়ী আর কেষ্টপুরের মাঝে কেষ্টপুর খালের উপর সংযোগকারী রাস্তা জনসাধারণ ও পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়ার ফলে বহু মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। কেষ্টপুর খালের ধার বরাবর রাস্তা অপরিসর হওয়ায় যানবাহনের গতি বিঘ্নিত হচ্ছে এবং গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সব বয়সি মানুষের রাস্তা পেরিয়ে সল্ট লেকে যাওয়া কষ্টসাধ্য হচ্ছে। বিশেষত যেখানে ফুটব্রিজ রয়েছে। সকালবেলায় চরম ব্যস্ততার সময়ে শিক্ষার্থী আর অফিসযাত্রীদের আর সন্ধেবেলায় কর্মস্থল থেকে ঘর অভিমুখী মানুষদের রাস্তা পারাপার করা খুব কষ্টের আর আতঙ্কেরও বটে। ২০৬ ফুটব্রিজ এর অন্যতম। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, দিনের ওই সময় যদি ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়, তবে সকলে অনায়াসে রাস্তা পারাপার করতে পারেন।
এ ছাড়া ৮ নম্বর ট্যাঙ্ক আইল্যান্ডে অবিলম্বে ট্র্যাফিক সিগন্যাল দরকার। চিংড়িঘাটা-নিউ টাউন, করুণাময়ী, বৈশাখী, কেষ্টপুর হয়ে বিমানবন্দরগামী গাড়িগুলোর সুনিয়ন্ত্রিত গতির জন্য অবিলম্বে জরুরি ওই সিগন্যাল।
পার্থ দত্ত, কলকাতা-১০২
ট্রেন বাতিল
কিছু দিন আগে খড়্গপুর যাওয়ার উদ্দেশে বিকেলের ১২৮১৩ স্টিল এক্সপ্রেস ধরার জন্য দুপুরে ব্যারাকপুর থেকে স্ত্রী-পুত্র’সহ রওনা হই। হাওড়া পৌঁছে বিস্মিত হয়ে বোর্ডে দেখি, স্টিল এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ মোবাইলে মেসেজ ঘেঁটে জানতে পারি স্টিল এক্সপ্রেস বাতিলের কথা যত ক্ষণে জানানো হয়েছে, তত ক্ষণে আমরা বাড়ি থেকে রওনা হয়ে গিয়েছি। নিরুপায় হয়ে বিকেলেরই খড়্গপুর লোকাল ধরার সিদ্ধান্ত নিলাম। ট্রেনটি সঠিক সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে। তবে, অসম্ভব ভিড়ে তিন জনের বসার জায়গা পাওয়ার আশা ছিল না, পাইওনি। ট্রেনটি ধুঁকতে ধুঁকতে খড়্গপুর পৌঁছল রাতে।
যে-হেতু বিভিন্ন কারণে ট্রেন লেট করা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, তাই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার কয়েকটি আবেদন আছে। এক, কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হলে অন্তত এক দিন আগে এসএমএস-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যেন জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুই, যাত্রী-সংরক্ষিত টিকিট বাতিল করলে যেমন জরিমানা-সহ টাকা ফেরত দেওয়া হয়, তেমনই রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন বাতিল করলে সংরক্ষিত টিকিটে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ-সহ টাকা ফেরত দেওয়া হোক। তিন, দূরপাল্লার লোকাল ট্রেন যেগুলির গন্তব্য অন্তত দু’ঘণ্টার বেশি, তাতে অথবা সব লোকাল ট্রেনে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হোক। আর চার, লাইন বা সিগন্যালের ত্রুটি মেরামতের কাজ রাত বারোটার পর করলে ভাল হয়। আশা করি, রেল কর্তৃপক্ষ সহানুভূতির সঙ্গে প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।
তপন কুমার দাস, কলকাতা-১২২
বৈদ্যুতিক খুঁটি
আমার বাড়ির ঢোকার রাস্তায় একটা বৈদ্যুতিক খুঁটি আজ প্রায় দু’মাস ধরে পড়ে রয়েছে। সেটি তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসকে বারংবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। আমার বাড়িতে এক জন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা এবং ৯ মাসের শিশু আছে। বেসরকারি কর্মী বলে সারা দিন বাড়িতে থাকা সম্ভব হয় না। অ্যাম্বুল্যান্স, গাড়ি ঢোকার জায়গাটুকুও নেই বাড়ির সামনে। অতি সত্বর খুঁটিটি তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
পরাশর চট্টোপাধ্যায়, দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা
অটো দৌরাত্ম্য
বালি ব্রিজ থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার বাঁকে অটোচালকরা অটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠান বা নামান। এমনকি সিগন্যাল থাকা অবস্থাতেও অটোচালকদের কোনও ভ্রুক্ষেপ থাকে না। বাঁ-দিকে ইউ-টার্ন নেওয়ার জায়গাটা খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ। সিগন্যাল থাকা অবস্থাতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে অটো চালকরা যাত্রী তুলছেন বা নামাচ্ছেন দেখেও ট্র্যাফিক পুলিশ কিছু বলেন না। এই বিষয়ে কিছু বলতে গেলে বচসা বেধে যায়। দাদাগিরির ভঙ্গিতে অটোচালকরা কথা বলেন। ব্যস্ত রাস্তার ইউ-টার্নের মুখে এই দাদাগিরি বন্ধ করার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অপূর্বলাল নস্কর, ভান্ডারদহ, হাওড়া
অতিরিক্ত কর
সৌমিত্র সেনগুপ্তর চিঠি ‘অগ্রিম আয়কর’ (১০-৭) থেকে জানলাম, আমার মতো আরও কয়েক জন পেনশনভোগীকে আয়কর বিভাগ অতিরিক্ত কর দিতে বাধ্য করেছে তাদের খুশিমতো হিসাব করে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বারো মাসে আমার পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৬,৯২,৪৭৮ টাকা। ব্যাঙ্কপ্রদত্ত পেনশন সার্টিফিকেটে তা-ই দেখানো হয়েছে। কিন্তু আয়কর বিভাগ তাদের উদ্ভট হিসাবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত প্রায় ৫২০০০ টাকা যোগ করে আমার কর নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, আমি একই অর্থবর্ষে তেরো মাসের আয়ের উপর আয়কর দিতে বাধ্য হলাম। এ জন্য মোট ৭,২০০ টাকা আমায় অতিরিক্ত কর দিতে হল।
ইউকো ব্যাঙ্কের পূর্ণ দাস রোড শাখার ম্যানেজারের মাধ্যমে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি তথ্যপ্রমাণের প্রতিলিপি-সহ। কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেল, তবু আয়কর বিভাগ বা পেনশন সেল থেকে কোনও খবর পেলাম না।
অরুণোদয় ভট্টাচার্য, কলকাতা-২৯
ভ্যাটের যন্ত্রণা
ভদ্রেশ্বর লাইব্রেরি রোড নিবাসী চাঁপদানি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়র্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে এক নারকীয় পরিবেশে বসবাস করছি। আমাদের গৃহসংলগ্ন রাস্তায় পুরসভার আবর্জনা ফেলার ভ্যাট স্থাপন করা হয়েছে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে। বার বার পুর-প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পুরসভার কাছে পুনরায় আবেদন, ভ্যাটটি অন্যত্র সরানো হোক।
সিদ্ধার্থ কুমার সরকার, ভদ্রেশ্বর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy