চিকিৎসাবিদ্যায় রোগ বুঝতে গেলে রোগীকেও বুঝতে হয়। ফাইল ছবি।
শ্যামল চক্রবর্তীর “হারিয়ে যাচ্ছে ‘ডাক্তারি চোখ’” (১৭-৪) প্রসঙ্গে কিছু কথা। চিকিৎসাবিদ্যায় রোগ বুঝতে গেলে রোগীকেও বুঝতে হয়। রোগীর কথা শুনতে হয়। রোগীর সঙ্গে কথা বলে, তাঁকে নানা ভাবে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করেন চিকিৎসক। এ ভাবেই তৈরি হয় রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে একটি আত্মিক বন্ধন, যা রোগীকে ভরসা জোগায়, মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে তোলে।
বর্তমানে অধিকাংশ চিকিৎসকের ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়’ বা ‘ডাক্তারি চোখ’ কাজ করে না, পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে সময় প্রয়োজন, তা তাঁরা দিতে পারেন না। কারণ, তখনই হয়তো অন্য চেম্বারে ছুটতে হবে, অথবা দ্রুত সব রোগী দেখে বাড়ি ফিরতে হবে। আবার চিকিৎসকের মনেও উদ্বেগ কাজ করে— সামনে চিকিৎসাপ্রার্থী যে মানুষটিকে অতি ভদ্র ও বিনয়ী মনে হচ্ছে, কেবলমাত্র ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বা অভিজ্ঞতার জোরে রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে ভুল হলে তিনিই আইনি সমস্যায় ফেলবেন না তো? কিংবা দলবল নিয়ে এসে শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করবেন না তো? তাই পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন অনেক চিকিৎসক। তাতে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকে।
আসল কথা, রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের বন্ধন ক্রমশ আলগা হয়ে যাচ্ছে। এ এক জটিল সমস্যা। যখন কেউ ডাক্তারি পড়তে আসেন, তখন অধিকাংশ শিক্ষকই দরদ দিয়ে ভাল ভাবে শেখান। সব শিক্ষার্থী যে সমান মানসিকতা নিয়ে শিখবেন, বা শিখলেও তাঁর অধীত বিদ্যা হৃদয় দিয়ে প্রয়োগ করবেন, এমন আশা করা যেন ‘বাড়াবাড়ি’ বলে মনে হয় এখন। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা নিশ্চয়ই করাতে হবে, তবে তা হবে অতি সীমিত ও একান্ত প্রয়োজনীয়। ডাক্তার রোগী দেখে প্রাথমিক ভাবে রোগ নির্ণয় করেছেন (প্রভিশনাল ডায়াগনসিস), চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (কনফার্মড ডায়াগনিস) নেওয়ার জন্য সামান্য কিছু পরীক্ষা করলেই হয়। তা হলে দরিদ্রের কাছে চিকিৎসা আর একটা সমস্যা মনে হবে না। সে রকম দিন যদি আবার আসে, তখন আবার ডাক্তার-রোগী সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভরসা ফিরবে।
অনুপ রায়, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা
বদলি
পশ্চিমবঙ্গের সরকার পোষিত কলেজের অধ্যাপকদের নানাবিধ অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় আইন পাশ করে। সেই মোতাবেক উচ্চশিক্ষা বিভাগ সরকার পোষিত কলেজগুলোতে অধ্যাপকদের সাধারণ বদলি ও আপস বদলির বিজ্ঞপ্তিও দেয় (৩১ অক্টোবর, ২০১৭)। তার পর থেকে ২০২১-এর জুলাই-অগস্ট পর্যন্ত বেশ কিছু কলেজ অধ্যাপক আবেদনের ভিত্তিতে নিজেদের সুবিধামতো কলেজে বদলি হতে পেরেছেন। কিন্তু ২০২১-এর সেপ্টেম্বর থেকে চিত্রটা বদলে গিয়েছে। আপস বদলি হাতেগোনা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ বদলি একেবারে বন্ধ। অধ্যাপকদের বদলি নতুন চাকরি নয়, অর্থ বিভাগের অনুমোদনও লাগে না। ও দিকে কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ চলছে। জুলাই-অগস্ট নাগাদ নিয়োগের সম্ভাবনা। তার আগেই কর্মরত অধ্যাপকদের বদলি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে বহু অধ্যাপক একটা বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারতেন। অধ্যাপকদের সাধারণ বদলিতে লিয়েন হয় না। কোনও অধ্যাপকের কলেজ ছেড়ে যাওয়ার দিনই সংশ্লিষ্ট কলেজ উচ্চশিক্ষার পোর্টালে শূন্য পদ আপলোড করতে পারে। কলেজ সার্ভিস কমিশন সেই তথ্য অনুসারে নতুন নিয়োগ করতে পারে। যাতে অবিলম্বে কলেজ অধ্যাপকদের সাধারণ বদলিতে গতি আসে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অমলেশ পাত্র, সুতাহাটা, পূর্ব মেদিনীপুর
অ-সচেতন
সে দিন অফিস থেকে ফেরার সময় দেখি এক জায়গায় একটা বড় পোস্টারে লেখা— ‘আইন মানুন। নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ বর্জন করুন’। ঠিক তারই নীচে প্লাস্টিকে পেঁয়াজ ভরে বিক্রি করছেন কিছু বিক্রেতা। শুধু তা-ই নয়, সারা বাজারের সবাই এই ক্যারিব্যাগেই বিক্রীত জিনিস ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এবং ক্রেতারাও তা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন নিজেদের গন্তব্যে। শুধু আইন করে এই পলিব্যাগ বা পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যে সম্ভব নয়, তা প্রমাণিত। কারণ, মাসকয়েক আগে সোনারপুর-সহ সমস্ত বাজার চত্বরে পলিথিনের দূষণ বন্ধ করার জন্য বিস্তর শব্দদূষণ করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলেছিল। তা ছাড়া সমস্ত সংবাদপত্রেও পলিথিন নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছু হয়নি, পোস্টারের নীচে অঢেল প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারই তার প্রমাণ।
এ ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, পলিথিন ব্যবহার বন্ধ না করে যদি পলিথিন তৈরিই বন্ধ করা যায়, তা হলে হয়তো কিছুটা সুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হওয়া কতটা সম্ভব, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েই যায়। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীরাই। তা ছাড়া, যাঁরা ক্যারিব্যাগে পণ্যসামগ্রী দিচ্ছেন ক্রেতাদের, তাঁদের থেকেও ব্যবহারকারীরা এর অপকারিতা সম্পর্কে প্রায় সকলেই ওয়াকিবহাল। তা সত্ত্বেও সচেতনতার এমন হাল। একমাত্র সর্বস্তরের মানুষের কাছে যদি এই ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের কুপ্রভাব তুলে ধরা যায়, তা হলে হয়তো পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন আশা করা যাবে।
অনিন্দিতা দেবনাথ, কালিকাপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
অপচয়
খড়দহ পুরসভা অঞ্চলে পানীয় জলের অপব্যবহার দীর্ঘ দিন ধরে চোখে পড়ছে। এখন এই প্রচণ্ড দাবদাহে আরও পানীয় জলের অপব্যবহার হচ্ছে। কেউ কেউ এই জলে নিজের পোষ্যকে স্নান করাচ্ছেন, কেউ নিজের গাড়ি বা স্কুলের গাড়ি পরিষ্কার করছেন, আবার বাড়ি তৈরির কাজেও এই জল ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। পুরসভার সদস্যদের অনুরোধ জানাচ্ছি, এই দিকটি নজরে রাখুন। না হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন পুর এলাকায় জল সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-১১৮
ভাঙাচোরা পথ
আগরপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্মে ওঠার প্রশস্ত রাস্তাটি অত্যন্ত নিচু এবং দীর্ঘ দিন ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে, যেটা আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডের সঙ্গে সংযুক্ত। সামান্য বৃষ্টিপাতে গোটা রাস্তাটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন ও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। এখান থেকে আগরপাড়া বিটি রোডে যাওয়ার টোটো, অটো ছাড়ে। কিন্তু বৃষ্টি হলে বিটি রোডে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁদের দুর্দশার অন্ত থাকে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করে, তা হলে নিত্যযাত্রীদের কিছুটা সুরাহা হয়।
স্বপনকুমার নাথ, কলকাতা-১০৯
আলো নেই
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে-তে এয়ারপোর্ট সিটির সামনে যে ফ্লাইওভার আছে, সেখানে বেশ কিছু দিন ধরে সব আলো জ্বলছে না। একটা হাই-মাস্ট আছে, সেখানে মাত্র একটি আলো জ্বলে। রাস্তার পোস্টগুলোতেও অনেক জায়গায় আলো জ্বলে না। ফলে, জায়গাটিতে আলো-আঁধারি খেলা করে। ফ্লাইওভার-এ ওঠার মুখে ব্যারিকেড আছে, যাতে ভারী গাড়ি না উঠতে পারে (দুর্বল সেতু)। ফলে, অন্ধকারের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনুরোধ, অবিলম্বে পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করে দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা করা হোক।
সমীরবরণ সাহা, কলকাতা-৮১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy