—প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব অটিজ়ম দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা। অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ শিশু-কিশোরের সমস্যা ছিল চলাফেরাতে। হুইলচেয়ার নিয়ে আসা হয়েছিল, কিন্তু অনুষ্ঠান ভবনটির ঢোকার মুখে, কিংবা অডিটোরিয়ামের ভিতরে মঞ্চে ওঠার জন্য কোথাও র্যাম্প-এর ব্যবস্থা নেই। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকারা অত্যন্ত কষ্ট করে তাদের সিঁড়ি দিয়ে তোলা, মঞ্চের উপর ওঠায় সহায়তা করলেন। একটি অস্থায়ী কাঠের র্যাম্পও ছিল না। বরং তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠান চলাকালীন শিশুদের হাতে কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হলে কর্মীরা আপত্তি করেন। প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে খাওয়া নিষিদ্ধ। নিয়মটি অন্যায্য নয়, কিন্তু এই শিশুদের সহজে যাওয়া-আসার কোনও ব্যবস্থাই যেখানে নেই, সেখানে একটু নমনীয়তা কি আশা করা যায় না?
অনুষ্ঠানে অন্যতম বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক তরুণ অধ্যাপক, যাঁর প্রতিবন্ধকতা আছে। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন যে, ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ তকমা এঁটে তাঁদের কার্যত কৃপাপ্রার্থী করে রাখা হয়েছে। দৃষ্টিহীন বা চলচ্ছক্তিহীনদের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক, ছাত্রের অধিকার নিয়ে আন্দোলন হয়, সেখানে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের প্রতি এতটা উপেক্ষা কেন? তাঁরা সহজে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন না বলেই কি তাঁদের অন্তর্ভুক্তি আলোচনায় আসে না? শিক্ষা-সংস্কৃতিতে উৎকর্ষের দাবি করা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই অমানবিকতা প্রত্যাশিত নয়। ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে এখনই র্যাম্প তৈরি হোক।
বিপ্রদাস ভট্টাচার্য, কলকাতা-৯৯
টাকা লুট
গত ফেব্রুয়ারির গোড়ায় আমি সাইবার ক্রাইমের একটি অনভিপ্রেত ও ভীতিপ্রদ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম। ওই দিন সন্ধ্যাবেলায় একটি অজানা মোবাইল নম্বর থেকে একটি মেসেজ পাই। সেখানে বলা হয়, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাপের পয়েন্ট রিডিম করার জন্য এই লিঙ্কটি পাঠানো হল। আমি যে-হেতু অ্যাপটি ব্যবহার করি এবং কিছু পয়েন্ট রিডিম করার মতো ছিলও, তাই একটু বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। লিঙ্কটিতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপটি খুলে যায়। আমি তাতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করার পর ফোনে একটি ওটিপি আসে। আশ্চর্যজনক ভাবে, ওটিপি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪১,৩৯৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়। আমি কিছু ক্ষণের জন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেও, ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবায় ফোন করে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করি। এবং ওই দিনই ব্যাঙ্কটির দুই শাখায় মেল মারফত সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জানাই। পরের দিন ব্যাঙ্কটির একটি শাখায় দেখা করে সব জানাই এবং তাদের উপদেশ অনুসারে ওই দিনই পুলিশে অভিযোগ করি। তাদের নির্দেশমতো সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ নথিভুক্ত করি। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির ওম্বুডসমান দফতর ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগ জানাই। ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে ব্যাঙ্ক থেকে একটি ফোন পাই এবং এসওপি ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র সে দিনই ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দিই। দীর্ঘ এক মাস অপেক্ষা করার পর ব্যাঙ্ক বা পুলিশ প্রশাসন— কোনও তরফেই কোনও সদুত্তর না পেয়ে মার্চের মাঝামাঝি রাজ্যপালের কাছে বিস্তারিত জানিয়ে মেল করি ও একটি প্রাপ্তিস্বীকার পাই। এর কিছু দিন পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র ওম্বুডসমান দফতরে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করি। এ দিকে, মার্চের শেষের দিকে রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে উত্তর আসে, অভিযোগপত্র নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুনেছি, পুলিশ প্রশাসন চাইলে ফোন নম্বর থেকে সিম কার্ডের তথ্য বার করে সন্দেহজনক ব্যক্তির ঠিকানা জোগাড় করতে পারে। আবার ইউটিআর নম্বর থেকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ চাইলে কোন অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে, তা সহজেই জানতে পারে। সেই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে বা অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি থেকে ঠিকানা বার করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে প্রশাসন। তবে তা নির্ভর করে ইচ্ছার উপরে। এ-হেন অপরাধের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা না করলে কিন্তু দেশে অন্যায় বাড়তেই থাকবে। আর ফল ভুগবে জনসাধারণ।
সিদ্ধার্থ ভৌমিক, ইছাপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
কাগজ কেন
সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজ়িট (এফডি) করতে গিয়ে জানতে পারলাম যে, এখন আর আগের মতো সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না। স্টেশনারি খরচ কমাতে নাকি ব্যাঙ্ক এখন এই পদক্ষেপ করেছে। ব্যাঙ্কে মানুষ এফডি করেন সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য। কাজেই এর সার্টিফিকেট একটি মূল্যবান নথি। অতীতে এফডি সার্টিফিকেট একটি খামে গ্ৰাহককে দেওয়া হত, যাতে দীর্ঘ দিন তা রাখা যায়। এখন যত অঙ্কের এফডি-ই কেউ করুন না কেন, মিলবে সাদা কাগজের একটি প্রিন্ট। মেয়াদ শেষে কেউ পুনরায় এফডি রিনিউ করতে চাইলে এখন সাদা কাগজের ওই সার্টিফিকেটের অপর পাতায় হাতে লিখে তা গ্ৰাহককে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে কোনও খামও দেওয়া হয় না। মানছি, খরচ কমাতে এখন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এই পন্থা অবলম্বন করছে। তাই বলে এফডি সার্টিফিকেটের বদলে সাদা কাগজে প্রিন্ট? প্রশ্ন হল, দীর্ঘ দিন যে মূল্যবান নথিটি এক জন গ্রাহক সংরক্ষণ করবেন, একটা সাদা কাগজের পরিবর্তে কমপক্ষে একটু শক্ত কাগজ ও একটি খাম দিলে কি ব্যাঙ্কের খরচের অঙ্ক খুব বাড়বে?
উৎপল মুখোপাধ্যায়, চন্দননগর, হুগলি
মন্থর রাস্তা
গড়িয়ার ৬ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের ভিতরে ব্রহ্মপুরের রাস্তা আজ তিন-চার মাস যাবৎ খোঁড়া হয়েই চলেছে। রাস্তায় কয়েক মাস ধরে নাকি জল নিকাশির পাইপলাইন বসছে। কিন্তু এ ভাবে ধীর গতিতে কাজ চলায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা খুঁড়ে তার নীচে পাইপ বসিয়ে ঠিকমতো মাটি, ইট দিয়ে রাস্তা সমান না করার ফলে রাস্তার একাংশ উঁচু হয়ে গিয়েছে। এমন অসমান রাস্তার মধ্যে দিয়েই চলছে অটো, বাইক, রিকশা। দুর্ঘটনার ভয়ে সবাইকেই ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে, যার ফলে অফিস-স্কুল-কলেজে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। অটো স্ট্যান্ডগুলোতে অটো কম থাকছে, ফলে লম্বা লাইন পড়ছে। আবার রাস্তা জোড়ার কাজ চলছে কয়েক জায়গায়। সে সব কাজের গতিও মন্থর।
অর্পিতা মজুমদার, কলকাতা-১৫৪
জলসঙ্কট
দীর্ঘ দিন ধরেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত সুভাষনগরে ছ’নম্বর ওয়র্ডে চলছে তীব্র জলসঙ্কট। অথচ, বাগজোলা খাল তীরবর্তী বড় কাঠপোল সংলগ্ন খালের দু’প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত পানীয় জল সরবরাহের বড় পাইপলাইনটি থেকে প্রতি দিনই তীব্র বেগে বেশ কয়েক গ্যালন জল বেরিয়ে নষ্ট হচ্ছে। নজর দেওয়ার কেউ নেই। এখন প্রবল দাবদাহের সময়, এমন সঙ্কটের সময়ে নিশ্চয় জলের দাম আরও বেশি! এই কারণে পানীয় জলের অহেতুক অপচয় রোধ করার ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
সমীর কুমার ঘোষ, কলকাতা-৬৫
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy