—প্রতীকী ছবি।
‘ভুল বুঝিয়ে বিক্রি, ক্ষুব্ধ ব্যাঙ্ক গ্রাহকেরা’ (২৪-৩) খবরের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞতা জানাতে চাই। ২০২১ সালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তিন লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত করতে যাই সরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় বেশি সুদ পাওয়ার আশায়। কিন্তু সেখানে ব্যাঙ্ককর্মীরা আমাকে একটি খ্যাতনামা বেসরকারি কোম্পানির বিমার প্রলোভন দেখান, যেটি নাকি ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত অপেক্ষা বেশি লাভজনক বলে দাবি করেন তাঁরা। দুঃখের বিষয়, আমার মতো অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ওঁদের কথায় প্রলুব্ধ হই। পরিণামে আমি বছরে ৬১,৫৬৫ টাকা প্রিমিয়ামে বারো বছরের একটি বিমা করতে সম্মত হই।
সমস্যা হল, পরবর্তী কালে যখন টাকার প্রয়োজন হল তখন প্রথমে বলা হল, বিমার মেয়াদ অন্তত দু’বছর না হলে কিছু করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত সর্বদা গ্রাহকের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয় ও তা ইচ্ছামতো তোলা যায়। এবং তাতে নিয়মানুযায়ী সুদও পাওয়া যায়। এই বছর আমি যখন পুনরায় পলিসিটি বন্ধ করে এ পর্যন্ত জমা দেওয়া টাকা ফেরত দিতে অনুরোধ করি, তখন এজেন্ট আমাকে বোঝান যে, আমাকে প্রথমে বার্ষিক প্রিমিয়াম বন্ধ করতে হবে ও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বারো বছর (ম্যাচিয়োরিটি পর্যন্ত) অপেক্ষা করতে হবে। নতুবা, বিশাল টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক কর্মীরা নিজেদের স্বার্থে আমার মতো প্রবীণ গ্রাহককে বিপথে চালিত করেছেন। টাকার যখন প্রয়োজন, তখন সেটা যদি পাওয়া না যায়, তবে গ্রাহকের এমন পলিসি করে লাভ কী? অসহায় প্রবীণদের ফাঁদে ফেলা বন্ধ করতে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা করুক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
তপন কুমার দাস, কলকাতা-১২২
হয়রানি কেন
লাইফ সার্টিফিকেট জীবিত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ যে নয়, তার প্রমাণ সম্প্রতি পেলেন আমার এক বর্ষীয়ান আত্মীয়। তিনি যথাস্থানে, যথাসময়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পেশ করে নিশ্চিন্ত ছিলেন। যদিও সার্টিফিকেটে একটা ডিসক্লেমার অর্থাৎ দায়মুক্তিসূচক বিবৃতি দেওয়া থাকে যে, পেনশন প্রস্তুত যাঁরা করেন, তাঁদের মেনে নেওয়ার উপর এই সার্টিফিকেটের যথাযোগ্যতা নির্ভর করে। কয়েক মাস নিরুপদ্রবে কাটার পরে সহসা গত ফেব্রুয়ারি মাসের পেনশন, যা মার্চ মাসের প্রথমেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসার কথা, এল না। ব্যাঙ্কে খোঁজ নেওয়ার পরে জানা গেল, আমার আত্মীয়ের আধার নম্বরটি ট্রেজারিতে নথিভুক্ত না থাকার ফলে পেশ-করা লাইফ সার্টিফিকেট ট্রেজারি গ্রহণ করেনি। ফলে, পেনশন গিয়েছে আটকে।
হয়রানি কেন
লাইফ সার্টিফিকেট জীবিত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ যে নয়, তার প্রমাণ সম্প্রতি পেলেন আমার এক বর্ষীয়ান আত্মীয়। তিনি যথাস্থানে, যথাসময়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পেশ করে নিশ্চিন্ত ছিলেন। যদিও সার্টিফিকেটে একটা ডিসক্লেমার অর্থাৎ দায়মুক্তিসূচক বিবৃতি দেওয়া থাকে যে, পেনশন প্রস্তুত যাঁরা করেন, তাঁদের মেনে নেওয়ার উপর এই সার্টিফিকেটের যথাযোগ্যতা নির্ভর করে। কয়েক মাস নিরুপদ্রবে কাটার পরে সহসা গত ফেব্রুয়ারি মাসের পেনশন, যা মার্চ মাসের প্রথমেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসার কথা, এল না। ব্যাঙ্কে খোঁজ নেওয়ার পরে জানা গেল, আমার আত্মীয়ের আধার নম্বরটি ট্রেজারিতে নথিভুক্ত না থাকার ফলে পেশ-করা লাইফ সার্টিফিকেট ট্রেজারি গ্রহণ করেনি। ফলে, পেনশন গিয়েছে আটকে।
এ ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এক, পেনশন-প্রাপক যে সময়ে অবসর গ্রহণ করেছেন সেই সময়ে আধারের অস্তিত্ব ছিল না। ট্রেজারি এই সমস্যার কথা পেনশন-প্রাপককে জানায়নি কেন? দুই, পুরনো বছরগুলোতে পেনশন-প্রাপক বরাবর ব্যাঙ্কে হাজির হয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম জমা দিয়েছেন, যেখানে প্রায়শই আধার নম্বর উল্লেখ করা থাকে। কখনও সমস্যা হয়নি। তবে এখন কেন হল? তিন, লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য আধার নম্বর অপরিহার্য। এটি পেশ করা হলে আধারের সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। সারকথা একটাই।
ট্রেজারির উচিত পেনশন সম্পর্কিত সমস্যা পেনশন-প্রাপককে অবিলম্বে জানানো। অন্যথায়, এক জন বর্ষীয়ান মানুষ অযথা হয়রানি আর উদ্বেগে পীড়িত হন।
ইন্দ্রনীল মিত্র, ঘোলা বাজার, উত্তর ২৪ পরগনা
ফিরুক হাল
পশ্চিমবঙ্গবাসীদের কোনও না কোনও প্রয়োজনে হাওড়া রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর যদি কেউ হাওড়া থেকে বেরিয়ে ফেরিঘাট ব্যবহার করতে চান, তা হলে তাঁর একমাত্র সুরক্ষিত পথ হল, ফেরিঘাট যাওয়ার আন্ডারপাস। এক সময় এই আন্ডারপাসের মধ্যে টিকিট কাউন্টার, বায়ুচলাচল ব্যবস্থা— সবই ছিল। কালের প্রবাহে সেই সব এখন অতীত। এখন চারিদিকে শুধু আবর্জনার স্তূপ আর দুর্গন্ধ। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে আন্ডারপাসটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে ওঠে। তা ছাড়া, এটা এখন দুর্বৃত্তদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রেল দফতর এই বিষয়ে অদ্ভুত ভাবে উদাসীন। তবুও রেল কর্তৃপক্ষের কাছেই সবিনয়ে অনুরোধ, উপযুক্ত ব্যবস্থা করে আন্ডারপাসটির হাল ফেরান।
সন্দীপ মণ্ডল, কোন্নগর, হুগলি
বেহাল রাস্তা
কলকাতা পুরসভার ১২৩-১২৪ নম্বর ওয়র্ডের অন্তর্গত রাস্তার অবস্থা বেহাল। মানুষের হাঁটার অযোগ্য হয়ে রয়েছে, বাইক বা সাইকেল আরোহীদের প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি ঢুকতে পারছে না, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্সও আসতে পারছে না। একই রকম অবস্থা চলছে গত বেশ কয়েক মাস ধরে। প্রসঙ্গত, গত দু’-তিন বছর ধরে ড্রেনের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কিন্তু এখনও তা শেষ হওয়ার নামগন্ধ নেই। প্রশ্ন হল, মানুষের অসুবিধা দেখেও প্রশাসন আর কত দিন নির্বিকার থাকবে?
কাজল কুমার মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৮
অবরুদ্ধ ফুটপাত
টালিগঞ্জ স্টেশনের রেলব্রিজের ঠিক নীচেই পুরনো লোহালক্করের খাঁচা সাজিয়ে রাখার ফলে অবরুদ্ধ হয়েছে ফুটপাত। আপাতভাবে মনে হয় রেলব্রিজকে ঠেকা দেওয়ার জন্য রাখা আছে ফ্রেমটি। ফুটপাতটি এমনিতেই খুব সঙ্কীর্ণ। তার উপরে সেটা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পথচলতি মানুষের দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সুগত কর্মকার, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বাসে শৌচালয়
বিভিন্ন গন্তব্যে দীর্ঘ রুটে রাত্রিকালীন বাস পরিষেবাগুলিতে অনবোর্ড ওয়াশরুমের সুবিধা থাকলে বহু যাত্রী উপকৃত হবেন। এ জন্য মনে হয় অনেকে বর্ধিত টিকিটের মূল্য দিতেও দ্বিধা বোধ করবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই বাসগুলি ভ্রমণের সময় সর্বাধিক দু’টি বা তিনটি স্টপ দিয়ে থাকে। এতে প্রবীণরা তো বটেই মহিলা এবং শিশুরাও অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। আশা করি, বাস কর্তৃপক্ষরা এই আবেদন বিবেচনা করবেন।
অরূপ দাস, কলকাতা-৬১
অমূল্য সম্পদ
শুভাশিস চক্রবর্তীর ‘তাঁর শ্রাদ্ধের চিঠি নিজেই লিখে যেতে চেয়েছিলেন’ (রবিবাসরীয়, ১৭-৩) প্রবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। পঞ্চাশ বছর আগে, সে দিনের প্রথম ডাকে বুদ্ধদেব বসুর নামে আসে একটি শ্রাদ্ধের কার্ড। কার্ড দেখে বিরক্ত বুদ্ধদেব বলেছিলেন, “যা দেখছি আমার শ্রাদ্ধের চিঠিটা আমাকেই লিখে যেতে হবে।” হয়তো বা কাকতালীয়, সেই দিন রাতেই, বা রাত ১২টাকে পরের দিন ধরলে ১৮ মার্চ ঘটে যায় ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন যুগন্ধর পুরুষ বুদ্ধদেব।
বুদ্ধদেবের ওই উক্তিতে বিরক্তি ছিল, ছিল কৌতুকও। তিনি মোটেই জানতেন না, তাঁর উক্তিটিই পরে অদ্ভুত সত্য হয়ে দেখা দেবে। স্বামী বুদ্ধদেবের স্মরণসভার সবিনয় নিবেদনে স্বাক্ষর ছিল পত্নী প্রতিভা বসুর। ২৩x১৭ সেন্টিমিটারের ভারী সাদা কাগজ। মাঝখানে ভাঁজ। ফলে, চার পৃষ্ঠা। প্রথম পৃষ্ঠার ডান দিকে, নীচে চিত্রাঙ্কন, তৃতীয় পৃষ্ঠায় আমন্ত্রণ। চতুর্থ পাতায় প্রাপকের নাম, পরিচয়। চিঠি পাঠানো হয় ৩৬৪/১৯, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড-স্থিত কবিতা ভবন থেকে। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে, দূরবাসী এই অভাজন পেয়েছিলেন এমনই চিরস্মরণীয় এক চিঠি।
উষারঞ্জন ভট্টাচার্য, উলুবাড়ি, গুয়াহাটি
এ ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এক, পেনশন-প্রাপক যে সময়ে অবসর গ্রহণ করেছেন সেই সময়ে আধারের অস্তিত্ব ছিল না। ট্রেজারি এই সমস্যার কথা পেনশন-প্রাপককে জানায়নি কেন? দুই, পুরনো বছরগুলোতে পেনশন-প্রাপক বরাবর ব্যাঙ্কে হাজির হয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম জমা দিয়েছেন, যেখানে প্রায়শই আধার নম্বর উল্লেখ করা থাকে। কখনও সমস্যা হয়নি। তবে এখন কেন হল? তিন, লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য আধার নম্বর অপরিহার্য। এটি পেশ করা হলে আধারের সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। সারকথা একটাই।
ট্রেজারির উচিত পেনশন সম্পর্কিত সমস্যা পেনশন-প্রাপককে অবিলম্বে জানানো। অন্যথায়, এক জন বর্ষীয়ান মানুষ অযথা হয়রানি আর উদ্বেগে পীড়িত হন।
ইন্দ্রনীল মিত্র, ঘোলা বাজার, উত্তর ২৪ পরগনা
ফিরুক হাল
পশ্চিমবঙ্গবাসীদের কোনও না কোনও প্রয়োজনে হাওড়া রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর যদি কেউ হাওড়া থেকে বেরিয়ে ফেরিঘাট ব্যবহার করতে চান, তা হলে তাঁর একমাত্র সুরক্ষিত পথ হল, ফেরিঘাট যাওয়ার আন্ডারপাস। এক সময় এই আন্ডারপাসের মধ্যে টিকিট কাউন্টার, বায়ুচলাচল ব্যবস্থা— সবই ছিল। কালের প্রবাহে সেই সব এখন অতীত। এখন চারিদিকে শুধু আবর্জনার স্তূপ আর দুর্গন্ধ। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে আন্ডারপাসটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে ওঠে। তা ছাড়া, এটা এখন দুর্বৃত্তদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রেল দফতর এই বিষয়ে অদ্ভুত ভাবে উদাসীন। তবুও রেল কর্তৃপক্ষের কাছেই সবিনয়ে অনুরোধ, উপযুক্ত ব্যবস্থা করে আন্ডারপাসটির হাল ফেরান।
সন্দীপ মণ্ডল, কোন্নগর, হুগলি
বেহাল রাস্তা
কলকাতা পুরসভার ১২৩-১২৪ নম্বর ওয়র্ডের অন্তর্গত রাস্তার অবস্থা বেহাল। মানুষের হাঁটার অযোগ্য হয়ে রয়েছে, বাইক বা সাইকেল আরোহীদের প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি ঢুকতে পারছে না, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্সও আসতে পারছে না। একই রকম অবস্থা চলছে গত বেশ কয়েক মাস ধরে। প্রসঙ্গত, গত দু’-তিন বছর ধরে ড্রেনের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কিন্তু এখনও তা শেষ হওয়ার নামগন্ধ নেই। প্রশ্ন হল, মানুষের অসুবিধা দেখেও প্রশাসন আর কত দিন নির্বিকার থাকবে?
কাজল কুমার মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৮
অবরুদ্ধ ফুটপাত
টালিগঞ্জ স্টেশনের রেলব্রিজের ঠিক নীচেই পুরনো লোহালক্করের খাঁচা সাজিয়ে রাখার ফলে অবরুদ্ধ হয়েছে ফুটপাত। আপাতভাবে মনে হয় রেলব্রিজকে ঠেকা দেওয়ার জন্য রাখা আছে ফ্রেমটি। ফুটপাতটি এমনিতেই খুব সঙ্কীর্ণ। তার উপরে সেটা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পথচলতি মানুষের দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সুগত কর্মকার, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বাসে শৌচালয়
বিভিন্ন গন্তব্যে দীর্ঘ রুটে রাত্রিকালীন বাস পরিষেবাগুলিতে অনবোর্ড ওয়াশরুমের সুবিধা থাকলে বহু যাত্রী উপকৃত হবেন। এ জন্য মনে হয় অনেকে বর্ধিত টিকিটের মূল্য দিতেও দ্বিধা বোধ করবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই বাসগুলি ভ্রমণের সময় সর্বাধিক দু’টি বা তিনটি স্টপ দিয়ে থাকে। এতে প্রবীণরা তো বটেই মহিলা এবং শিশুরাও অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। আশা করি, বাস কর্তৃপক্ষরা এই আবেদন বিবেচনা করবেন।
অরূপ দাস, কলকাতা-৬১
অমূল্য সম্পদ
শুভাশিস চক্রবর্তীর ‘তাঁর শ্রাদ্ধের চিঠি নিজেই লিখে যেতে চেয়েছিলেন’ (রবিবাসরীয়, ১৭-৩) প্রবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। পঞ্চাশ বছর আগে, সে দিনের প্রথম ডাকে বুদ্ধদেব বসুর নামে আসে একটি শ্রাদ্ধের কার্ড। কার্ড দেখে বিরক্ত বুদ্ধদেব বলেছিলেন, “যা দেখছি আমার শ্রাদ্ধের চিঠিটা আমাকেই লিখে যেতে হবে।” হয়তো বা কাকতালীয়, সেই দিন রাতেই, বা রাত ১২টাকে পরের দিন ধরলে ১৮ মার্চ ঘটে যায় ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন যুগন্ধর পুরুষ বুদ্ধদেব।
বুদ্ধদেবের ওই উক্তিতে বিরক্তি ছিল, ছিল কৌতুকও। তিনি মোটেই জানতেন না, তাঁর উক্তিটিই পরে অদ্ভুত সত্য হয়ে দেখা দেবে। স্বামী বুদ্ধদেবের স্মরণসভার সবিনয় নিবেদনে স্বাক্ষর ছিল পত্নী প্রতিভা বসুর। ২৩x১৭ সেন্টিমিটারের ভারী সাদা কাগজ। মাঝখানে ভাঁজ। ফলে, চার পৃষ্ঠা। প্রথম পৃষ্ঠার ডান দিকে, নীচে চিত্রাঙ্কন, তৃতীয় পৃষ্ঠায় আমন্ত্রণ। চতুর্থ পাতায় প্রাপকের নাম, পরিচয়। চিঠি পাঠানো হয় ৩৬৪/১৯, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড-স্থিত কবিতা ভবন থেকে। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে, দূরবাসী এই অভাজন পেয়েছিলেন এমনই চিরস্মরণীয় এক চিঠি।
উষারঞ্জন ভট্টাচার্য, উলুবাড়ি, গুয়াহাটি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy