এ রাজ্যের আশাকর্মীরা দীর্ঘ দিন সরকারি বেতন পরিকাঠামোর বঞ্চনার শিকার। অথচ অতিমারি মোকাবিলায় তৃণমূল স্তরে লড়ছেন তাঁরা। এক-এক জন আশাকর্মী দিনে ৮-১২ ঘণ্টা রোগীদের পরিচর্যা করার পর কেউ কেউ আবার পরিস্থিতি অনুসারে প্রসূতি এবং গর্ভবতী মা ও সদ্যোজাত শিশুদের সেবা এবং দেখভাল করার জন্য সারা রাত জেগে কাটিয়ে দেন। কেউ কেউ সকাল থেকে দুপুর অবধি রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে নিজেদের এলাকা অনুযায়ী ঘরে ঘরে ‘করোনা’ রোগী থেকে শুরু করে গর্ভবতী, প্রসূতি, বাচ্চা এবং বিভিন্ন রোগীর উপসর্গ, তথ্য ও পরিসংখ্যান যাচাই করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে জমা দিয়ে ছুটি পান। এ ছাড়া বাচ্চাদের টিকাকরণ ও পালস পোলিয়ো থেকে শুরু করে রাত-বিরেতে দুর্যোগে যে কোনও সময় আসন্নপ্রসবাদের নিয়ে ‘নিশ্চয় যান’ গাড়িতে করে ব্লক হাসপাতালে যাওয়ার মতো প্রায় প্রতি দিনের কাজ তো রয়েইছে। পারিশ্রমিক হিসাবে জোটে মাসিক তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং তফসিলি জাতি, জনজাতি ও সংখ্যালঘু এলাকা অনুসারে সর্বাধিক ছয় থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা, যা এক জন দিনমজুরের রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে দৈনন্দিন মজুরি ২৯৯ টাকার চেয়েও কম।
আশাকর্মীদের ঝুঁকির পরিমাণ ও সরকারি নিয়মে যোগ্যতা অনুযায়ী পদ অনুসারে মাসিক বেতন চালু করতে হবে।
তপনকুমার বিদ, বেগুনকোদর, পুরুলিয়া
আবর্জনা সরান
পুরসভার কাছে আবেদন, সপ্তাহের অন্তত দুটো দিন প্রতিটি বাড়ির দরজা থেকে রোজকার আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে যান। আমরা এখনও লকডাউনে আছি। ময়লা ফেলতে বাড়ির বাইরে কোথায় কত দূরে যাব? বাড়ির ময়লা রাস্তার ধারে জমছে, সেখান থেকে ড্রেনে পড়ে ড্রেন ব্লক হয়ে বর্ষার জল নিকাশ হচ্ছে না। এলাকায় অসুখ ছড়াচ্ছে।
আলোক রায়, কলকাতা-১১০
তেলের দাম
বাসমালিক অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য। অথচ মূল সমস্যা অন্য জায়গায়। কেন্দ্রীয় সরকার সমানে তেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এই বাড়তি তেলের দাম মিটিয়ে কোনও দিনই বাস চালানো সম্ভব নয়।
সঞ্জয় চৌধুরী, ইন্দা, খড়গপুর
বাস চালু হোক
আমাদের এলাকা সরকারি বাস পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ঝাড়গ্রাম ডিপো চালু হওয়ার পর আমাদের এলাকায় দুটি সরকারি বাস চালু হয়, তাও আবার অনিয়মিত ভাবে। রাজ্যজুড়ে লকডাউনের মাঝে রোহিনী-কলকাতা সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, কয়েক দিন চলার পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। এই বাসটি নিয়মিত চললে সাঁকরাইল ব্লকের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হবে।
অভিনন্দন রানা, কুলটিকরি, ঝাড়গ্রাম
চিন্তাশক্তি কমবে
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষাদানে অনেক ছাত্রছাত্রীর উপকার হচ্ছে। অপকারও হচ্ছে। দীর্ঘ ক্ষণ মনিটর বা মোবাইলে চোখ রাখলে স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি, মনঃসংযোগ কমে যায়। অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধিও দেখা দিতে পারে, যা উপযুক্ত মানসিক পরিণতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
দেবজ্যোতি ঘোষ, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
নতুন নিয়ম নয়
‘লকডাউনে দেরি, তাই চালু অস্থায়ী পেনশন’ (১৭-৬) শীর্ষক খবর পড়ে অবাক হলাম। অন্তত ৫০ বছর আগে থেকেই ৯০% প্রভিশনাল পেনশন দেওয়ার সংস্থান ছিল পেনশন নিয়মে। এমনকি সত্তরের দশকে আমারই প্রস্তাবে প্রভিশনাল ফ্যামিলি পেনশন দেওয়ার সংস্থানও করা হয়েছিল পেনশন নিয়মে সংযোজন করে। সংযোজনটির সাবক্লজ়ের খসড়াও করেছিলাম আমি। এটি কোনও নতুন নিয়ম নয়।
অশোক কুমার দাস, অবসরপ্রাপ্ত সহমহাধক্ষ, বাণিজ্যকর বিভাগ
বিদ্যুৎহীন
হাওড়া জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয় আমতা পীতাম্বর হাই স্কুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন কমিটির প্রচেষ্টায় জেলায় প্রথম সৌর-বিদ্যুৎ সংস্থাপিত হয়। সারা মাসে বিদ্যুৎ খরচ করেও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দফতরকে সরবরাহ করা হত। কিন্তু আমপানের দাপটে সৌর-বিদ্যুতের মূল্যবান ইনভার্টারটি ব্রেকডাউন হওয়ার কারণে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানোর পরেও ইনভার্টারটি মেরামত হয়নি।
তুষার কান্তি মণ্ডল, বাউড়িয়া, হাওড়া
দুর্নীতি হবেই
‘ত্রাণে বঞ্চিত হলে থানায় জানানোর দাওয়াই মমতার’ (১৮-০৬) শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বলি, এটা বলা যত সহজ, করে দেখানো ততই কঠিন। কারণ ত্রাণ বিতরণ থেকে সরকারি পরিষেবা প্রাপকের তালিকা তৈরি— সবেতেই শাসক দলের নেতা-কর্মীদের কমবেশি হাত থাকে। প্রথমত, সেখানে দুর্নীতি হলে থানায় শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো খুব সহজ কাজ নয়। দ্বিতীয়ত, অভিযোগ হলেও পুলিশ ঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে, এমন আশাও দুরাশামাত্র।
কৃষ্ণা কারফা, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া
সিবিএস নেই
বর্তমানে সারা ভারতের এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজারেরও বেশি ডাকঘরের সামান্য কয়েকটি অফিস বাদে আর সবই অত্যাধুনিক কোর-ব্যাঙ্কের সুফল ভোগ করছে। দুর্ভাগা গুটিকয় অফিসের মধ্যে আমাদের এই মছলন্দপুর এবং দক্ষিণ চাতরা অফিস দু’টি আছে। বছরের পর বছর ধরে শুনেই যাচ্ছি— ‘এই বার সিবিএস চালু হবে।’ কিন্তু, কোথায় কী! এই ডাকঘরের বহু গ্রাহক চাকরি, ব্যবসা, পড়াশুনা ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে এলাকা, এমনকি অন্য রাজ্যে থাকতে বাধ্য হন। পেনশন-প্রাপকদের অনেকেই অন্যত্র বসবাসরত ছেলে-মেয়েদের কাছে কিছু কাল কাটাতে যান চিকিৎসা বা অন্য কারণে। কোর-ব্যাঙ্কের সুবিধা থাকলে এই সব গ্রাহকরা অনায়াসেই তাঁদের টাকা-লেনদেনের সুবিধা অন্যান্য ডাকঘরের মাধ্যমে পেতে পারেন।
দীপক ঘোষ, মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
লিঙ্ক নেই
হুগলি জেলার জেলাসদর চুঁচুড়ার প্রধান ডাকঘরটিতে বেশ কিছু দিন যাবৎ কাজকর্ম বন্ধ। প্রতি দিন সকালে গ্রাহকরা গেটের বাইরে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু ১১টার আগে কাজই শুরু হয় না। তার পর লাইন থেকে দু’তিন জন করে ভেতরে ঢোকানো হয়। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এ ভাবেই চলে আসছে। কিন্তু গত কয়েক দিন এ ভাবে তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর অফিস খুললে জানানো হচ্ছে লিঙ্ক নেই। গ্রাহকরা বেশির ভাগই বরিষ্ঠ নাগরিক। মহিলার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা সকলেই উদাসীন। আর ফল ভোগ করছেন গ্রাহকরা। চুঁচুড়ার এই প্রধান ডাকঘরটি কিন্তু ছোটখাটো ডাকঘর নয়।
তপন কুমার ভট্টাচার্য, ওলাইচণ্ডীতলা, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy