হাইওয়েতে একটা ভুল মানে গাড়ি ও তার চালক উভয়েরই বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। ফাইল চিত্র।
প্রতি শনি ও রবিবার দু’নম্বর জাতীয় সড়ক এক ভয়ঙ্কর ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দু’চাকা ও চার চাকার গাড়ির মালিকদের সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ আছে। আর এই সব গ্রুপ থেকেই কোনও না কোনও শনি বা রবিবার মিটিং হয় এই জাতীয় সড়কগুলির ধারের ধাবাগুলোতে। গাড়ি হলে সংখ্যাটা প্রায় ১৫০ থেকে ২০০, আর মোটর সাইকেল হলে সেটা ২০০ থেকে ৫০০-য় গিয়ে দাঁড়ায়। আর এই মোটর সাইকেলগুলো রাস্তায় এত জোরে ও তীব্র আওয়াজ তুলে ছোটে যে, অন্য গাড়ি চালকদের খুবই অসুবিধা হয়। শহরের রাস্তায় গাড়ি চালানোয় কোনও ছোটখাটো ভুল করলে গাড়ির ক্ষতিটাই শুধু হয়। কিন্তু হাইওয়েতে একটা ভুল মানে গাড়ি ও তার চালক উভয়েরই বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। বর্তমানে, চার চাকার ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক দ্বারা বিজ্ঞাপিত সর্বোচ্চ গতিসীমা হল জাতীয় মহাসড়কে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং এক্সপ্রেসওয়ে-তে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আর, মোটর সাইকেল বা দু’চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে তা মহাসড়কে এবং এক্সপ্রেসওয়েতেও ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অথচ, এই আইন অনেক চার চাকা বা দু’চাকা চালকরা মানেন না। মনে হয়, প্রশাসন এই বিষয় চোখে কালো কাপড় বেঁধে বসে আছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের আইন রয়েছে, কিন্তু তা দেখভালের কোনও ব্যবস্থা নেই। ক্যামেরা বসিয়েও লাভ হয়নি। দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-র আগে এই মোটর সাইকেল চালকদের জমায়েত দেখেও প্রশাসন উদাসীন। এই ভয়ঙ্কর শৌখিনতা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে প্রশাসন থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা ও প্রচারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
পার্থময় চট্টোপাধ্যায় , কলকাতা-৮৪
বাস চাই
সেক্টর ফাইভের উপর দিয়ে ডানকুনি হাউজ়িং থেকে পার্ক সার্কাস ও করুণাময়ী যাওয়ার পরিবহণ ব্যবস্থা হল যথাক্রমে সরকারি বাস সি২৩ ও বেসরকারি বাস ডিএন৪৬। বর্তমানে ডিএন৪৬ বাসটির গায়ে ডানকুনি হাউজ়িং এস্টেট লেখা থাকলেও বাসগুলি ডানকুনি হাউজ়িং-এর পরিবর্তে বালি হল্ট স্টেশন থেকে করুণাময়ী যাতায়াত করে ও নিজেদের মর্জিমাফিক অতিরিক্ত ভাড়াও নেয়। সরকারি বাস সি২৩, যার ভাড়া কম, সেই বাসটিও কম সংখ্যক ও অনিয়মিত যাতায়াত করে ডানকুনি হাউজ়িং থেকে। যখন প্রথম সরকারি বাস রুটটি চালু হয়, তখন সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত বাসটি ডানকুনি হাউজ়িং থেকে আধ ঘণ্টা অন্তর ছাড়ত। সেক্টর ফাইভ, সল্ট লেক, নিউ টাউন, চিনার পার্ক ও এয়ারপোর্ট প্রভৃতি জায়গায় নানা অফিস থাকায় বর্তমানে এই রুটে যাত্রী-সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তার পরও সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত মাত্র দু’টি সরকারি বাস অনিয়মিত ভাবে চলাচল করে। কলকাতা থেকে ফেরার সময়ও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রতি দিন। আমাদের মতো সেক্টর ফাইভ ও উপরোক্ত জায়গায় যাওয়ার নিত্যযাত্রী, যাঁদের মধ্যে অনেক বয়স্ক ও মহিলাও আছেন, খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়েন। চিঠির মাধ্যমে বাস সিন্ডিকেট ও সরকারি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে আগামী দিনে এই রুটে নিয়মিত বাস পরিষেবা চালু করা হয় যাত্রী-সুবিধার জন্য।
তমাল মুখোপাধ্যায়, ডানকুনি, হুগলি
সঙ্কটে রেড ক্রস
ভারতীয় রেড ক্রস-এর রাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২০ সালে রেড ক্রসের বেঙ্গল ব্রাঞ্চ অ্যাক্ট নম্বর ৮-এর মাধ্যমে। ১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই শাখার চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলে এসেছেন এ রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস, আইপিএস, ডাক্তার বা অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই চেয়ারম্যান পদের নিয়োগপত্র দেন স্বয়ং রাজ্যপাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সহ বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকে এই প্রতিষ্ঠান। ত্রাণ বিতরণ থেকে স্বাস্থ্য শিবিরের মতো বিভিন্ন কাজ করে এই শাখা।
কিন্তু এ বছরের জানুয়ারি থেকে চেয়ারম্যান পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে শাখার যাবতীয় কাজকর্ম যথা— ওপিডি পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, ফার্স্ট-এড প্রশিক্ষণ, জরুরিকালীন ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা ও রক্তদান শিবির ইত্যাদি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া, জেলা, জাতীয় স্তর ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগও একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, সমস্ত কর্মীর বেতন এবং অফিসের প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোন, ওষুধ ইত্যাদির বিল জানুয়ারি থেকে বকেয়া রয়েছে।
এই সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি এই ভাবে অকেজো হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি, যাঁরা বিপদের দিনে নানা ভাবে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে রেড ক্রসের রাজ্য শাখার চেয়ারম্যান পদে এক জন উপযুক্ত ও দায়িত্ববান ব্যক্তিকে নিয়োগ করে এই শাখাকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক।
শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য, ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি
অবসরের বয়স
‘পুর স্বাস্থ্য কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হল’ (১৬-৩) শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই, ২০১১ সালে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে বহু সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেছে, যা মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। মানুষ যাতে হাসপাতালে দ্রুত পরিষেবা পান, তা মাথায় রেখে সরকারি চিকিৎসক ও নার্সদের অবসরের বয়স ৬২ বছর করা হয়েছে, সরকারি চিকিৎসক-শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করা হয়েছে। এমনকি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবসরের বয়স বাড়িয়েও করা হয়েছে ৬৫ বছর। আশাকর্মীদের অবসরের বয়স আগেই ৬৫ করে দেওয়া হয়েছে। তা হলে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে এমন হবে না কেন? শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পঠনপাঠনে প্রাথমিক শিক্ষকরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শুধু তা-ই নয়, আনুষঙ্গিক কাজ হিসাবে ভোটের ডিউটি, চাইল্ড রেজিস্টার ইত্যাদি কাজও করে থাকেন। বহু জায়গায় বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষকরাই সমাজ গড়ার মূল কারিগর। তা ছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষকরা ৬০ বছরে অবসর নিলে, তাতে সরকারের উপর পেনশনের বিপুল পরিমাণ বোঝা বাড়বে।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ, প্রাথমিক শিক্ষকদের অবসরের বয়স যদি ৬০ থেকে ৬২ করেন, তা হলে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক উপকৃত হবেন। কারণ, এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের এক জনের সামান্য আয়ে সংসার প্রতিপালন খুবই কষ্টসাধ্য। সে কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা হোক।
অর্পিতা সেন রক্ষিত, কলকাতা-১২৯
অহেতুক বন্ধ
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দাদের কাছে রবীন্দ্র সরোবর এমন এক জায়গা, যেখানে গেলে এলাকার অনেকেই দু’-দণ্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। অনেকের কাছে জায়গাটা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমি নিজে সরোবরের ‘ওপেন জিম’-এ শরীরচর্চা করছি। কিন্তু ইদানীং লক্ষ করছি, সরোবর কর্তৃপক্ষ নানা ছোটখাটো পার্বণ উপলক্ষে নোটিস দিয়ে সরোবর বন্ধ রাখছেন। মনে পড়ে, আগে বছরে কেবল দোল উৎসব উপলক্ষে সরোবর বন্ধ ছিল। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এ ভাবে অকারণে সরোবর বন্ধ রাখবেন না।
সুরজিৎ ঘোষ, কলকাতা-৩১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy