পেট্রল পাম্পগুলিতে গাড়ির জন্য তেল নিতে গিয়ে গ্রাহকেরা একাধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন, বেশ কিছু পাম্পে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে। আবার অনেক পাম্পে গাড়ির চাকার হাওয়া চেক করার জন্য মেশিন বসানো থাকে। দুঃখের বিষয়, প্রায় সব পাম্পেই মেশিনটি অকেজো অবস্থায় থাকে, বা চালানোর মতো কোনও ব্যক্তি থাকে না। কখনও বলা হয়, সেটি খারাপ।
মেদিনীপুর শহরে একাধিক পাম্প আছে। প্রায় সব ক’টিতেই হাওয়া চেক করার মেশিনও আছে। কিন্তু তা সারা বছরই অকেজো থাকে। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একই উত্তর। ‘কয়েক দিন একটু ডিস্টার্ব করছে’, ‘এখন অপারেট করার লোক নেই’, ‘সারানো হয়নি’ ইত্যাদি। আসলে মেশিনগুলি সারা বছরই একই অবস্থায় থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গাড়ির হাওয়া চেক করতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এতে অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। যে পরিষেবা বিনা খরচে পাওয়ার কথা, তার জন্যও টাকা গুনতে হচ্ছে।
গ্রাহকদের প্রকৃত পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওই সমস্ত মেশিন খারাপ হলে তা দ্রুত সারাতে হবে এবং তার জন্য উপযুক্ত লোক মজুত রাখতে হবে। প্রত্যেক গ্রাহককেও সচেতন হতে হবে। পরিষেবা না পেলে প্রয়োজনে পাম্প মালিকের কাছে অভিযোগ করতে হবে। তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
লক্ষ্মীকান্ত মান্না
কর্নেল গোলা, পশ্চিম মেদিনীপুর
কাজ হয়
সম্পাদকীয় নিবন্ধ ‘আশার আলো’য় (১৯-১১) যে আশঙ্কার উল্লেখ আছে, তা অমূলক নয়। কালীপুজো, দীপাবলি ও ছটপুজোয় শান্ত ও শব্দদূষণহীন থাকার যে ছবি শহর, শহরতলি ও জেলাগুলিতে চোখে পড়ল, তার কৃতিত্ব হাইকোর্ট ও প্রশাসনের পাওয়া উচিত। হাইকোর্টের এই নির্দেশ ছিল করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে। তবে, এমন নির্দেশ আদালত আগেও জনস্বার্থে দিয়েছে। তখন তাতে কাজ বিশেষ হয়নি। কিন্তু এ বার নাগরিক সমাজের শৃঙ্খলা, সংযম ও সচেতনতার কৃতিত্ব বেশি। করোনা ভয় কাজ করেছে।
যেটুকু নিয়মহীনতা লক্ষ করা গিয়েছে, তা একটা ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে। এরা কোনও নিয়মশৃঙ্খলার ধার ধারে না, কোনও নির্দেশের তোয়াক্কা করে না, আপন খেয়ালে মেতে থাকে। আতশবাজি ও শব্দবাজি যে পরিবেশ ও শব্দদূষণ ছড়ায়, তাতে হৃদ্রোগী বা করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, পশুপাখি ত্রস্ত হয়ে পড়ে— এ জ্ঞান সবারই আছে। বহু বছরের চর্চিত বিষয় হলেও এত দিন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। দায়িত্বজ্ঞান ও দায়বদ্ধতার যে পরিচয় পাওয়া গেল এ বার, তা যে অন্য সময়ও আমরা চাইলেই করতে পারি, এর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ফুটে উঠেছে। এটা শতাংশের হিসেবে পুরোটাই ঘরে তোলা যেত, যদি প্রশাসন থানা-স্তর অবধি সক্রিয়তা দেখিয়ে থেমে না যেত। সরকার এত ক্লাব বা সংস্থাকে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা দেয়, তাদের উপরেও নিয়ম মানানোর দায়িত্ব দিলে ছুটকোছাটকা যেটুকু বাজি ফাটানো হয়েছে, তা-ও আটকানো যেত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করি, আমার বাড়ির সামনে দু’-চারটে শব্দবাজি ফাটানোর শব্দ শুনে ঘরের বাইরে আসি। বলি, সরকার বাজি ফাটাতে বারণ করেছে করোনা রোগীদের কথা ভেবে। এই ধোঁয়া তাঁদের শ্বাসনালিতে ঢুকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না, আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ব। কাজ হল। আর একটাও বাজি ফাটেনি।
সৌম্যেন্দ্র নাথ জানা
কলকাতা-১৫৪
টেস্ট হোক
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২০২১-এর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা এই বছর অতিমারির কারণে হবে না। সবাই প্রোমোশন পেয়ে মূল পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র পাবে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের পুরো সিলেবাসের উপর পরীক্ষার মহড়া খুব প্রয়োজন। আনলক পর্বে রাজ্য জুড়ে সব খুলে গিয়েছে। ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মিটিং-মিছিল, বাজারহাট, ধর্মীয় উৎসব চলছে। তা হলে বেঞ্চ প্রতি দু’জন করে বসে পরীক্ষা দিলে অসুবিধা কোথায়? অটো-প্রোমোশনের পাশাপাশি ঐচ্ছিক পদ্ধতিও রাখা হোক, যার মাধ্যমে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করে নিতে পারবে।
অভিজিৎ ঘোষ
কমলপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
ভর্তি-দুর্নীতি
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এ বছর রাজ্যের কোনও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন ফাঁকা রাখা যাবে না। কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় আসন খালি রাখছে কি না, বা আসন খালি হলে মেধা তালিকায় থাকা পরবর্তী প্রার্থীকে জানানো হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি কে করবে?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অধিকাংশ কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। নথিপত্র যাচাই না হলেও রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে কিছু কলেজ কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। নতুন মেধা তালিকাও প্রকাশ হয়নি সেই সব কলেজের ওয়েবসাইটে, ভর্তি সংক্রান্ত কোনও উদ্যোগও করা হয়নি। উল্লেখ্য যে, এই সব কলেজের বিরুদ্ধে ভর্তি-সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ উঠেছে আগে। এ বছর অনলাইন ভর্তি হলেও, তা যে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত, সেই ভরসার জায়গা কোথায়?
সুজাতা মাঝি
মন্দিরতলা, হাওড়া
ডাকেই ভোট
ডাকবাক্সে ভোট দিন’ (সম্পাদক সমীপেষু, ১৭-১১) পত্রে সমিরুল ইসলাম ঠিক কথা বলেছেন। আমাদের দেশে এ ভাবে ভোট দেওয়া সব দিক দিয়েই মঙ্গলজনক। এত বড় অতিমারি চলল, কিন্তু ভোটব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হল না। অথচ, আমেরিকা দেখিয়ে দিল বাড়িতে বসে ডাকবাক্সে ভোট দেওয়ার কত সুন্দর ব্যবস্থা। ডাকে ভোট দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে কোনও হ্যাপা পোহাতে হবে না। অনেক জটিলতা হ্রাস পাবে। তার উপর রাজনৈতিক হানাহানি এবং খরচও অনেকাংশেই কমে যাবে।
বিবেকানন্দ চৌধুরী
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান
ব্যাঙ্কে লাইন
সম্প্রতি যে কোনও কাজের দিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেন গেটের বাইরে বিশাল লাইন পড়ছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ বেশি মানুষকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কি গেটের বাইরে দাঁড়ানো গ্রাহকদের খেয়াল করে দেখেছেন? চড়া রোদ-বৃষ্টির মধ্যে তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনের টাকা তোলার জন্য। কোনও জায়গায় দ্বার-রক্ষক কিছু ক্ষণ পর গেট খুলে মানুষ ঢোকাচ্ছেন ও বেরোতে দিচ্ছেন। তখন দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে ঠেলাঠেলি লেগে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে একটি শাখায় এক বৃদ্ধ লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে কাতর ভাবে দেখালেন হাতের কব্জি ও কনুইয়ের মধ্যবর্তী অংশে সদ্য লাল দাগড়া, অপ্রশস্ত ভাবে খুলে রাখা কোলাপসিবল গেট দিয়ে ঢোকার সময় ধাক্কা খাওয়ার ফল। আধিকারিক জানালেন, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম কর্মী দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। অসহায় তাঁরা।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এঁদের প্রতি একটু মানবিক আচরণ করুন। গেটের বাইরে শেড লাগানো প্রয়োজন। অনেক সময় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লাইনে থাকতে হচ্ছে। অপেক্ষাস্থলে যেন বসার বেঞ্চ থাকে। এটিএম কাউন্টারেও যেন একশো ও পাঁচশোর নোট-সহ পর্যাপ্ত টাকা থাকে। তাতে শাখাগুলিতে ভিড় কমতে বাধ্য।
বিশ্বনাথ পাকড়াশি
শ্রীরামপুর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy