ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩ কোটি ডলারের মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার পাল্টা হিসাবে ইরানের উপর সামরিক হামলা চালানোর যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী। কিন্তু হামলার ঠিক ১০ মিনিট আগে পিছিয়ে এল। শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মত দেননি। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন, এই হামলা হলে কম করে ১৫০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
শত্রু দেশের শ’দেড়েকের মতো সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্ৰস্ত হবেন, এই কারণে কোনও রাষ্ট্রনায়ক সেই দেশকে উচিত শিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন— তা নিশ্চয়ই বিশ্বের সাম্প্রতিক রাজনীতির বাতাবরণে ব্যতিক্রম। বোমা নিক্ষেপের এমন মওকা পেয়েও ট্রাম্পের এ ভাবে পিছিয়ে আসায় এমনকি আমাদের দেশেও অনেকেই হতাশ হয়েছেন। বিশেষ করে যাঁরা নিরাপদ দূরত্বে বসে চা, সিগারেট বা অন্য মৌতাত-সহ টিভি বা মোবাইলে গনগনে যুদ্ধ দেখা থেকে বঞ্চিত হলেন। তাঁদের মতে, এ সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টসুলভ নয়। এই মুহূর্তে আমাদের ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি, রাষ্ট্রনায়কদের এমন সিদ্ধান্তকে চওড়া বুকের ছাতির সঙ্গে মানানসই নয় বলেই ধরে নেয়।
আমরা মনে করি, কঠিন ও কঠোর মিলিটারি পদক্ষেপ, হঠাৎ করে নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্ত, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমিয়ে দেওয়া, এ সব হল চওড়া বুকের ছাতির পরিচয়। অবশ্য শান্তিপ্রিয় যুদ্ধবিরোধী অনেকে বলছেন ট্রাম্প ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। তাঁর এই কাজ অনুসরণীয়।
প্রণব রাহা
দুর্গাপুর
রুমা ও নির্মলা
‘তাঁর গানের সম্ভার’ (৯-৬) শীর্ষক চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আশিতে আসিও না’ ছবিতে মান্না দে ও রুমা দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছিলেন ‘তুমি আকাশ এখন যদি হতে’। কিন্তু গানটি রেকর্ডে প্রকাশিত হলে, নির্মলা মিশ্র গানটি গাইলেন মান্নার সঙ্গে।
প্রকৃত ঘটনাটি এই রকম: সে দিন খুব সকালে প্রায় ছুটতে ছুটতে ঝামেলাদি (নির্মলা মিশ্রের ডাকনাম) এলেন আমাদের বাড়িতে। বাবাকে (সাহিত্যিক শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, ‘‘দারুণ মজার একটা গান পেয়েছি। শুনুন।’’ আমরা তো শুনে হেসে গড়াগড়ি। ক’দিন পরেই গানটির রেকর্ডিং হল।
ইতিমধ্যে ছবির নায়িকা মনোনীত হয়েছেন রুমা গুহঠাকুরতা। উনি বললেন, ‘‘আমার লিপে যে গান তা আমিই গাইব।’’ পরিচালক রাজি হলেন। নতুন করে রেকর্ড করা হল গানটি। তাই রেকর্ডে রয়ে গেল নির্মলা মিশ্রের কণ্ঠ, ছায়াছবিতে রয়ে গেল রুমা গুহঠাকুরতার কণ্ঠ।
শুভেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-২৭
হেমন্তের প্রথম
‘কথা বললেই গান হয়ে যায়’ (কলকাতার কড়চা, ১৭-৬) প্রসঙ্গে কিছু সংযোজন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের আকাশবাণীর প্রথম প্রোগ্রাম ১৯৩৫ সালে। বন্ধু কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা গান ‘আমার গানেতে এলে নবরূপে’ এবং ‘আকাশের আরশিতে ভাই’ (ভাটিয়ালি)। প্রথম বেসিক রেকর্ড ১৯৩৭ সালে। নরেশ্বর ভট্টাচার্যের কথায় ও শৈলেশ দত্তগুপ্তের সুরে দু’টি বাংলা আধুনিক গান ‘জানিতে যদি গো তুমি’ ও ‘বলো গো মোরে বলো’। ১৯৪০ সালে প্রথম বাংলা ছবিতে কণ্ঠদান (‘নিমাই সন্ন্যাস’)। সুরকার হরিপ্রসন্ন দাশ। লিপ দিয়েছিলেন ছবি বিশ্বাস। প্রথম হিন্দি গান ১৯৪১ সালে কমল দাশগুপ্তের সুরে ও ফৈয়াজ হাসমির কথায় ‘ও প্রীত নিভানেওয়ালি’। ১৯৪৪ সালে প্রথম হিন্দি ছবি (‘ইরাদা’)-তে কণ্ঠদান। সুরকার পণ্ডিত অমরনাথ। ওই ছবিতেই প্রথম দ্বৈতকণ্ঠে গান গেয়েছিলেন। সহশিল্পী রাধারানি।
হীরালাল শীল
কলকাতা-১২
শুরু অন্য রকম
‘সুরকার হেমন্ত’ (১৬-৬) চিঠিতে লেখিকা বলেছেন, লতা মঙ্গেশকরকে বাংলা গানের জগতে নিয়ে আসার কৃতিত্ব হেমন্তেরই। শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে।
কিন্তু বেসিক রেকর্ডে লতার প্রথম বাংলা গান প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে ‘আকাশপ্রদীপ জ্বলে’ এবং ‘কত নিশি গেছে নিদহারা’। সতীনাথ জানিয়েছেন, উৎপলা সেনের পরামর্শেই লতাকে দিয়ে গাওয়ান। সুতরাং এই কৃতিত্ব তাঁদেরই।
এর পর ১৯৫৭ সালে লতা তাঁর প্রথম বাংলা গানের পুজোর রেকর্ড করেন, ভূপেন হাজরিকার সুরে ‘রঙিলা বাঁশিতে কে ডাকে’ এবং ‘মনে রেখো’। গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, উদ্যোগ ছিল তাঁরই। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে লতার ‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে’ প্রকাশিত হয় পরের বছর, ১৯৫৮ সালে। উল্টো পিঠে ছিল ‘ও পলাশ ও শিমুল’। আর লতার প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত, হেমন্তের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে, প্রকাশিত হয় অনেক পরে, ১৯৬৩ সালে, ‘মধুগন্ধে ভরা’ এবং ‘তোমার হল শুরু’।
তবে বাংলা গানে লতার কণ্ঠদান আরও আগে ছায়াছবিতে, অমর ভূপালি (১৯৫২), একদিন রাতে (১৯৫৬, সলিল চৌধুরীর সুরে ‘জাগো মোহন প্রীতম’), অসমাপ্ত (১৯৫৬) ইত্যাদি। সুতরাং হেমন্ত লতাকে বাংলা গানের জগতে এনেছেন, তা ঠিক নয়।
চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৩০
ধুলোয় প্রসাদ
রথের দিন অনেক রথ শহর পরিক্রমায় বেরোয়। রথ থেকে প্রসাদ (সাধারণত বাতাসা) ছোড়া হয়। বেশির ভাগই পথের উপর পড়ে। ধুলোকাদা মাখা সেই বাতাসা অনেকে পরম ভক্তিভরে মুখে দেন। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। হয় প্রসাদ হাতে হাতে দিন, নয় মোড়কে ভরে ছুড়ুন।
দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-৩৭
রহিম, পরান
রহিম ও পরান ক্রিকেট বিশ্বকাপে যে কোনও দেশের ভাল খেলাই খুব উপভোগ করে। তবুও ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে তারা ভারতের অন্ধ সমর্থক। ফলে তাদের ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা কেউ বলতে পারে না। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না, ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান হলে কার পক্ষ নেবে! ইংল্যান্ডের পক্ষ নিলে অনেকে হয়তো বলে বসবে, তোমরা এশিয়া ছেড়ে ইউরোপে চলে যাও!
নিখিল কবিরাজ
রামনগর, হাওড়া
নোটিস ধন্দ
এ বছর নিট পরীক্ষা-পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ের নোটিস জারি হয় ২১ জুন। জানানো হয়, যারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিট পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করেছে শুধু তারাই পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষার কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ পাবে। এর পর ২৭ জুন আবার পশ্চিমবঙ্গ কাউন্সেলিং পর্ষদ জানায়, যারা অন্য রাজ্যের হয়ে ফর্ম ফিল-আপ করেছে তাদের এনটিএ-র কাছে দরখাস্ত করতে হবে। যদি এনটিএ তাদের ‘ডোমিসাইল’ পরিবর্তন করে, তবে তারা রাজ্যের কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর পর ২৯ জুন নোটিস দিয়ে জানানো হয়, যে-কোনও রাজ্যের ছাত্রই এই রাজ্যের কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে, কিন্তু তাদের বন্ড দিতে হবে যে তারা অন্য কোনও রাজ্যে কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এই রাজ্যের ছাত্রেরা বিভ্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ‘ডোমিসাইল’-বি তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, এবং সরকারি নোটিস জারি হয়েছে, সেখানে কী ভাবে একের পর এক এই রকম নোটিস বার হয়?
গৌরব গোস্বামী
হরিদাসপুর, মুর্শিদাবাদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy