ভোট এলেই সিবিআই, ইডি, এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ময়দানে নামিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তোলা নতুন কিছু নয়। ২০২১ সালের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে গরু পাচার নিয়ে সিবিআই-এর অতি সক্রিয়তা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে সারদা কাণ্ড, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের সময় নারদা কেলেঙ্কারি, অথবা অতি সম্প্রতি বিহার বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু রহস্য ও বলিউডের মাদকযোগ-সহ একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা প্রকাশ্যে এসেছে। অথচ, ভোট মিটতেই সব শীতঘুমে। কোনও মামলারই নিষ্পত্তি এখনও পর্যন্ত হয়নি। সুবিচার পাওয়া তো দূরের কথা, চিটফান্ডে টাকা খোয়ানো মানুষ উদ্ধার হওয়া টাকার কানাকড়িও ফেরত পাননি।
২০১৮ সালে এই গরু পাচার চক্রের সন্ধানে সিবিআই তদন্ত শুরু করে এক বিএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত ঝিমিয়ে পড়ে। কয়লা পাচার, অবৈধ বালি খাদান নিয়ে চলা বৃহত্তর দুর্নীতির তদন্তগুলিও নির্বাচনের সময়ই বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ায় প্রচলিত জল্পনাগুলি জোরদার হয়েছে।
সুদীপ সোম
হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
ঝুঁকি
কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খুলতে দেওয়ার বিষয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন যথার্থ কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (‘কর্পোরেটরা ব্যাঙ্ক খুললে তছনছ হবে সব: রাজন’, ২৪-১১)। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিশেষ অভ্যন্তরীণ কমিটি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খুলতে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এমনিতেই কর্পোরেট সংস্থাগুলি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বসে আছে। শোধ দেওয়া তো দূর, ঋণের সুদও তারা ঠিক মতো পরিশোধ করে না। ফলে ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যাঙ্কগুলি রুগ্ণ হয়ে পড়ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে দুর্বল করে তুলছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে সরকার হয় কর্পোরেট সংস্থাগুলির বিরাট অঙ্কের ঋণ মকুব করে দিচ্ছে, নইলে সুদে ছাড় দিচ্ছে। ফলে ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতি বেড়েই চলেছে।
এ-ও শোনা যাচ্ছে যে, ব্যাঙ্কের ক্ষতি হলে সেই ক্ষতি পূরণ করা হবে গ্রাহকদের জমা টাকা থেকে। এমতাবস্থায় যদি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে নিজেদের ব্যাঙ্ক খোলার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে যে সমস্ত সংস্থার রাজনৈতিক যোগাযোগ ভাল, তারা সহজেই ব্যাঙ্ক ব্যবসার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। এ ছাড়া যেখানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়া এবং তা আদায় করার ক্ষেত্রে সরকারের তেমন নজরদারি তথা নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে, সেখানে কর্পোরেট সংস্থার তথাকথিত ব্যাঙ্কগুলির উপর সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে? নিজেদের ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত তো তারা নিজেদের স্বার্থে নেবে। আমানতকারীদের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে। জনগণের জমা টাকা তারা যে আত্মসাৎ করবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা আছে কি?
কুমার শেখর সেনগুপ্ত
কোন্নগর, হুগলি
জেলার ছবি
‘চাহিলেই করা যায়’ (সম্পাদকীয়, ২৩-১১) নিবন্ধে সম্পাদক যে প্রশংসা ছটপুজো নিয়ে করেছেন, তা কলকাতার ক্ষেত্রে অনেকটা সত্যি হলেও জেলার ক্ষেত্রে তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়। কলকাতায় ছটপুজো আর বাকি জেলার ছটপুজো উদ্যাপন একই পথে হাঁটেনি। সেখানে মাস্ক লাগানো তো দূরে থাক, সামান্য দূরত্ববিধিও মানা হয়নি। কলকাতায় পুলিশ ও প্রশাসন যত সক্রিয় ছিল, জেলায় ছিল ততটাই শিথিল। এমনকি ছটপুজোর দিন ভোরবেলায় শব্দবাজি ফাটানোর হিড়িক ছিল চোখ ও কানের ক্ষেত্রে রীতিমতো পীড়াদায়ক। গঙ্গার ঘাটে পুলিশের অভাবও ছিল চোখে পড়ার মতো। আদালতের রায় কি সারা রাজ্যের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য ছিল না?
দেবাশিস চক্রবর্তী
মাহেশ, হুগলি
মাস্কহীন
জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে খড়্গপুর এলাম সম্প্রতি। অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল! বিধিনিষেধ মেনে চলার কোনও বালাই নেই! হাওড়া স্টেশনে প্রবেশের সময় কোনও রকমে থার্মাল চেকিং, তার পর বিশৃঙ্খলার প্রদর্শনী! ফিজ়িক্যাল ডিসট্যান্সিং-এর চিহ্নমাত্র নেই! ট্রেনে ওঠার পর অবাক হওয়ার পালা! যাত্রিসাধারণের বসার মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব নেই, তিন জনের বসার আসনে গা ঘেঁষে ধাক্কাধাক্কি! অনেকে মাস্ক ছাড়াই আসনে বসে যাত্রাসুখ উপভোগ করছেন, প্রতিবাদ করে উত্তর পেলাম, “আর কত মাস্ক পরব!” টিকিট পরীক্ষককেও দেখলাম, মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে কর্তব্য পালন করছেন! কামরায় আইআরসিটিসি-র কর্মীরা ছাড়াও সাধারণ হকারদের অবাধ যাতায়াত!
বিশ্বজিৎ কর
কলকাতা-১০৩
শূন্যে বিপদ
আজকাল অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের কাজ বেড়েছে। সাধারণ গ্রাহককে প্রায়ই আইএফসি কোড ব্যবহার করতে হয়, আর সেটা করতে গিয়ে ইংরেজি অক্ষর ‘ও’ এবং গণিতের শূন্য নিয়ে বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। যদিও দু’টির মধ্যে ইংরেজি হরফে সামান্য পার্থক্য আছে, তবুও দ্রুত কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বিশেষত ক্ষীণ দৃষ্টির প্রবীণ মানুষদের অত্যন্ত অসুবিধায় পড়তে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অমিতাভ সরকার
কলকাতা-৩৬
বিসর্জন
বিভিন্ন পুজোর প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন পরিবেশ দূষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। জনগণের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ও প্রথা বদলে ফেলা সহজ নয়। এর মধ্যেই এ বছরে একটা নতুন এবং চমৎকার সিদ্ধান্ত দেখে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ পাওয়া গেল। পরিবেশ রক্ষা ও সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেল। এলাকায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে সেখানেই বিসর্জন সম্পন্ন করাতে একাধারে রাস্তায় ভিড় ও গোলমালের আশঙ্কা এড়ানো গেল, নিরাপত্তার ব্যাপক ব্যবস্থারও দরকার হল না। রাজ্যের সব এলাকায় এই উদ্যোগ করলে অযথা হয়রানি, খরচ কমবে, শান্তি-শৃঙ্খলারও উন্নতি হতে পারে।
আশিস ভট্টাচার্য
বারুইপুর পশ্চিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
মেলা নয়
এখনও সারা দেশে অতিমারি চলছে। এ অবস্থায় জনস্বার্থের তোয়াক্কা না করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৬১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করতে। গত বছর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য খরচ হয়েছিল ৩৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বজায় রাখতে লক্ষ লক্ষ মানুষের এই মেলায় আসা বন্ধ করতেই হবে।
কুম্ভমেলার মতো কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করে না। রাজস্থান সরকার জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজ্যে বাজি নিষিদ্ধ করেছিল। আদালতকে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দিতে হয়নি। রাজস্থান সরকার ইতিমধ্যেই পুষ্কর মেলা বন্ধ করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই।
সুজাতা গোস্বামী
কলকাতা-২৭
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy