‘খরচ শুনে তারকা ধরছে না বহু পুজো’ (২৩-৯) শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনটিতে পুজো উদ্বোধন করার জন্য ইচ্ছুক নায়ক-নায়িকাদের দরদাম সম্পর্কে জানলাম। শুধু বুঝলাম না, দেবীদর্শন করার আগে নায়িকাদর্শনের প্রয়োজনীয়তাটা কী? এই বিপুল অর্থ তো কত গরিব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার দায়িত্ব নেওয়া যেত, কোনও দুর্মূল্য ওষুধ কিনে মরণাপন্ন রোগীর প্রাণ রক্ষা করা যেত। এই সব পুজো কমিটিকেও রাজ্য সরকার হাত খুলে অনুদান দেয়! এখন সাধারণ মানুষই ভরসা। তাঁরা কবে বলতে পারবেন, এ ভাবে আমরা পুজো দেখতে চাই না।
শাশ্বতী নিয়োগী চৌধুরী
কলকাতা
চাকরি ও বেতন
আমার বয়স ৭৭ বছর। কয়েক দিন ধরে দেখছি সরকারি বিভিন্ন দফতরে চুক্তিতে নিযুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন— পার্শ্বশিক্ষক, ভোকেশনাল শিক্ষক ইত্যাদি। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে বেতনের পরিমাণ দেখে এক জন বয়স্ক ভারতীয় নাগরিক হিসেবে শুধু দুঃখিত নয়, অপমানিত বোধ করছি। যাঁরা বেতন নির্ধারণ করেন, সেই আমলা ও রাজনৈতিক মন্ত্রী-সান্ত্রিরা তাঁরা নিজেদের বেতন, আর চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান, বাজারের সুস্থ ভাবে জীবন নির্বাহের দাম কিছুই কি খেয়াল রাখেন না?
এখানে একটি অভিজ্ঞতার কথা জানাব। আমার মেয়ের বন্ধু পলিটেকনিকের চুক্তিতে নিযুক্ত অধ্যাপক। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের থেকে পাশ করা। অনেক দিন পর দেখা। চেহারাতে বয়সের ছাপ। খুঁটিয়ে প্রশ্ন করতে বেরিয়ে এল, গত ৮ বছর ধরে ওদের মাইনে বাড়েনি। কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই। স্থায়ী অধ্যাপকদের সব কাজ ওরাও করে। কোনও ফারাক নেই। আর ওর পড়াতেই ভাল লাগে। তাই অন্য চাকরিতে যায়নি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল অবধি অধ্যাপক পদে পিএসসি নিয়োগ পলিটেকনিকে হয়নি। ফলে বয়স পেরিয়ে যায়, পিএসসি-র ডাকও পায়নি। ভেবেছিল সরকার নিশ্চয় ভাববে। এখন যা সামান্য বেতন পায়, তাতে সন্তানের পড়াশোনা তো দূরের কথা, খাওয়ার খরচা জোগানোও অসম্ভব। অথচ বাইরে এ কথা বলতেও পারে না। আদালতে মামলা করেছে ২০১৬ সালে। গত দুই বছরে তার কোনও হিয়ারিং নেই। অথচ সুপ্রিম কোর্ট সমকাজে সমবেতন দিতে বলেছে। আদালতেও সুবিচার পেতে তার নিজের জীবনের সেরা সময়টা চলে গিয়েছে। ও কিন্তু একা নয়, এই বঙ্গের ডিপ্লোমা সরকারি কলেজে এ রকম মেধাবী প্রায় ৩০০ জন আছে। কী ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ ভাবুন তো।
জয়ন্তী বিশ্বাস
কলকাতা-২৮
ভোগান্তি
চম্পাহাটি থেকে বারুইপুর যাতায়াতের একমাত্র প্রধান রাস্তার চম্পাহাটি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে সাউথ গড়িয়া মোড় পর্যন্ত নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে, এই স্বল্প দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায় এবং তার উপরে বড় বড় লরি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে।
রজত অধিকারী
নড়িদানা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
সমন্বয়হীন
‘রাজারহাট ও গোপালপুরের সমস্যা শুনলেন কৃষ্ণা’ (১৫-৯) শীর্ষক অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ পড়লাম। মাননীয়া মেয়র যে ভাবে রাজারহাট-গোপালপুর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আগ্ৰহ প্রকাশ করেছেন, তাতে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সবাই জানে বিধাননগর একটা সু’পরিকল্পিত আধুনিক স্যাটেলাইট টাউন। তুলনায় রাজারহাট-গোপালপুর অপরিকল্পিত ভাবে বেড়ে ওঠা অঞ্চল। এখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থান বিধাননগরের পাশে অনেকটাই বেমানান। আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর আগে যেখানে যত্রতত্র জলাশয় ছিল, তা ভরাট হয়ে আজ মিউনিসিপ্যালিটির অনুমোদিত প্ল্যান মোতাবেক সেখানে নতুন নতুন বাড়ি দোকান রাস্তাঘাট বাতিস্তম্ভ বিরাজমান। ভূমি ও সংস্কার দফতরের রেকর্ড কিন্তু আপডেট দেখাচ্ছে না। জলাভূমি সংরক্ষণ বিভাগ বা আন্দোলন সে ভাবে তখন সক্রিয় ছিল না। স্থানীয় দফতর জলাভূমি চরিত্র বদলে অক্ষমতার কথা জানালে, বারাসতে সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করেও সুরাহা করা যায়নি। ব্যক্তিপরিসরে কিছু করা মুশকিল বলে মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য বর্তমান মাননীয় ডেপুটি মেয়র সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্যার চেষ্টা করেছিলেন। একই সরকারের দুই দফতর সমন্বয় সহকারে কাজ করলে একই জমি বা দাগ কারও কাছে বাস্তু তো কারও কাছে পুকুর হিসেবে ধরা দিত না।
অঞ্জন কুমার শেঠ
কলকাতা-১৩৬
ইটভাটা, বাম্প
মহিষাদল বিধানসভার অধীন কাশীনগর অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত একটি রাস্তা কেশবপুর ক্রসিং হয়ে নরঘাটে এসে মিসেছে। এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই রাস্তার উপর দিয়েই হলদিয়া শিল্পাঞ্চল যাওয়া যায়; আবার পূর্ব মেদিনীপুরের গর্ব বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতালও যাওয়া যায়। এই রাস্তার প্রতি পরতে পরতে ইটভাটা আছে। তা না না করে প্রায় ২০টির ও বেশি ইটভাটা আছে। এই ভাটাগুলিতে যাওয়ার জন্য কাতারে কাতারে লরি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করে। ফলে রাস্তা সারানো হলে ও দু’দিন অন্তর খারাপ হয়ে যায়। এতে সরকারের দোষ দেওয়ার মতো কিছু না হলে ও ইটভাটাগুলোকে এর জন্য রাস্তার কিছু ট্যাক্স দিতে হবে। তা না হলে এই রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোগীদের নন্দকুমার হয়ে ঘুরে আসতে হয়। এই রাস্তাটিতে আবার বাম্প-এর রেকর্ড।
সুজিত কুমার ভৌমিক
চণ্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর
শব্দদূষণ
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরে বিদ্যুতের খুঁটি ইত্যাদিতে বহু লাউড স্পিকার বাঁধা আছে স্থায়ী ভাবে। এই মাইক পুরসভার তরফ থেকে লটকানো হয়েছে। প্রতি দিন সেই মাইকে কিছু না কিছু বেজেই চলে, সহনশীল মাত্রার শব্দ থেকেও জোরে। অধিকাংশ দিনই নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গান-বাজনা বাজে। এই শব্দদূষণে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এই শব্দের মধ্যেই চলছে স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত পুলিশ-প্রশাসন, দূষণ-নিমন্ত্রণ-পর্ষদ নির্বিকার। পুরসভার এ কেমন ‘ব্যবহার’! এটা কি প্রশাসনিক কর্ম? ইদানীং এই শব্দের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ দুর্গাপুজো যে সমাগত! তার স্ফূর্তির মাত্রাই আলাদা।
সাধন বিশ্বাস
অম্বরপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
তৎকাল টিকিট
2 আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে তৎকাল টিকিট বুকিং-এর ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বার অসুবিধার সম্মুখীন হতে হল। নির্দিষ্ট দিনে সকাল ১১টা থেকে এসি টিকিট বুকিং শুরু হতেই আমিও অনলাইন বুকিং শুরু করে দিই। অথচ ‘জ্যাম’-এর কারণে বুকিং সম্পূর্ণ হতে বেশ কয়েক মিনিট লেগে যায়। বুকিং সম্পূর্ণ হলে দেখা যায়, আমার স্টেটাস ‘ওয়েটিং লিস্টেড’ হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে ‘কনফার্মড’ টিকিটের নিশ্চয়তা না থাকায়, বুকিং ক্যানসেল করতে বাধ্য হই এবং প্রতিটা ক্যানসেলেশনের ক্ষেত্রে বেশ আর্থিক ক্ষতি হয়। প্রযুক্তি যখন দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে, আশা করব আইআরসিটিসি-র সফটওয়্যারও এমন হোক, যাতে বুকিং সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই টিকিট এর স্টেটাস অনুযায়ী বুকিং ক্যানসেল হয়ে যায়।
শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল
কৃষ্ণনগর, নদিয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy