Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: পৌরুষের ঔদ্ধত্য

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

‘‘এই ‘পৌরুষ’ই তা হলে জনপ্রিয়?’’ (২৫-৭) নিবন্ধটির জন্য লেখক শ্রীদীপকে ধন্যবাদ। সিনেমাটি আমি দেখেছি। সে দিন প্রায় হাউসফুল প্রেক্ষাগৃহে অধিকাংশ দর্শকই ছিলেন নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়ে। সিনেমায় বারে বারে যখন কবীর সিংয়ের নির্লজ্জ অসভ্যতা দেখানো হয়েছে, তত বারই যুবক-যুবতী দর্শকদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস দেখেছি, তাতে লজ্জিত হয়েছি, ভয়ও পেয়েছি। সিনেমাটিতে নারীচরিত্র যেন বীরভোগ্যা, সেখানে পিতা বা পতিই যেন নারীর আশ্রয়। নারী সেখানে উদ্ধত পুরুষের কণ্ঠলগ্না।

আমাদের নবীন প্রজন্ম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যখন এই নির্লজ্জ মধ্যযুগীয় পিতৃতান্ত্রিক ঔদ্ধত্য মাখানো নায়ককে দেখে প্রবল উচ্ছ্বসিত হয়, তখন আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্যই চিন্তার কারণ থাকে।

শৌভিক মজুমদার

কলকাতা-৫৫

ই-ভোগান্তি

ইনকাম ট্যাক্স ই-রিটার্ন ফিল আপ করতে গিয়ে ভোগান্তির আর শেষ নেই। প্রথমে মিনিটে মিনিটে সেশন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই বার বার সাইন ইন করতে হচ্ছে। অথচ ফর্ম ভরতে হাজারো হ্যাপা। এ বার যোগ হয়েছে ব্যাঙ্ক ইনকাম। হয়তো দেখা গেল, আপনার দু’টি ব্যাঙ্কে ইন্টারেস্ট আর্নিং হয়, অথচ একটি দিয়েছে। এমনকি ট্রেসেস, যারা ২৬এএস স্টেটমেন্ট তৈরি করে, তারাও এগুলো আপটুডেট রাখেনি। অথচ এগুলো ঠিক দেওয়া না থাকলে আপনি কিছুতেই রিটার্ন কমপ্লিট করতে পারবেন না। ও দিকে রোজ এসএমএস-এ আপনাকে হুমকি চিঠি দেবে, ঠিক সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে এত টাকা ফাইন। নিজেরা আগে ঘরটা গোছাক, তার পর তো বড় বড় কথা।

মৃণাল মুখোপাধ্যায়

কসবা, কলকাতা

নেই নেই

বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে তারাপীঠের কল্যাণে এবং তার নিজস্ব গরিমায়, রামপুরহাট স্টেশনটি এখন মডেল স্টেশন। সর্বসুবিধাযুক্ত। অথচ সেই স্টেশনে পৌঁছতে ৩১ কিমি দূরের মুরারই স্টেশন থেকে যে কোনও লোকাল ট্রেন (হাতে-গোনা) দু’ঘণ্টা সময় নেয় অবিশ্বাস্য ভাবে। মুরারই স্টেশনে প্রতি দিন বহু টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অথচ এই স্টেশনে জল নেই, শেড নেই, ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা নেই, কোনও অভিযোগের উত্তর নেই। কিন্তু এত সব নেই-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালে আরপিএফ-এর ডান্ডা আছে, ‘কেস খাওয়ানো’র ভয় আছে।

অনিন্দ্যকান্তি সিংহ

মুরারই, বীরভূম

কার্ডে টিকিট

অনেক কাঠখড় পোড়াবার পর পুরো রেল ব্যবস্থায় যা চালু হয়েছিল, কলকাতা মেট্রোয় তা আজ প্রায় উঠে যাওয়ার অবস্থায়। স্টেশনে স্টেশনে কার্ডে মাসিক টিকিট কাটার জন্য খোঁজ নিয়ে নিরাশ হতে হল। বাধ্য হয়ে ক্যাশে মাসিক টিকিট কাটতে হয়েছে। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ভদ্রলোক এবং স্টেশন মাস্টারের বয়ান অনুযায়ী, কার্ডে পেমেন্ট করার মেশিন সব সময় অচল অবস্থায় পড়ে থাকার দোষ সার্ভিস প্রোভাইডারের। মেট্রো কর্তৃপক্ষের নয়।

রামেশ্বর দত্ত

কলকাতা-৭৪

আগাছায় স্প্রে

আমাদের এখানে পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক মাস হল কাঁচা ড্রেন সাফাই করতে, ড্রেনের পাশে গজিয়ে ওঠা সবুজ আগাছায় এক ধরনের তেল স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু দিন পর আগাছাগুলি হলুদ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাতে কি গাছের চারা রোপণের পাশাপাশি এ ভাবে আগাছা নিধন প্রয়োজন?

দেবব্রত সেনগুপ্ত

কোন্নগর, হুগলি

ছোঁ মেরে

আমি রানাঘাট রেলওয়ে জংশন স্টেশন হয়ে প্রতি দিন যাতায়াত করি ও রানাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নামতে হয়। প্রতি দিন দেখতে পাই, ব্যস্ত যাত্রিগণ ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে, ডাউন রানাঘাট লোকাল ধরার জন্য ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম হয়ে, ৫ নম্বর বা ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বা ছেড়ে যাওয়া গাড়ি ধরতে, রেল লাইনের উপর লাফ মেরে, ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে কিছু সিভিল মানুষ (হয়তো বা সরকারি) ওই ‘উঠতি’ মানুষদের মাছরাঙা পাখির মতো ছোঁ মেরে ধরে টেনে নিয়ে যান আন্ডারপাসের সিঁড়ির দেওয়ালের ও-পাশে।

আবার আপ রানাঘাট লোকাল যখন ৫ নম্বর বা ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে, তখন হুড়মুড়িয়ে যাত্রীরা ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা আপ লালগোলা বা গেদে যাওয়ার গাড়ি ধরার জন্য, ওই একই ভাবে লাইন পার হয়ে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠতেই, চলে ধরাধরি ও আন্ডারপাসের সিঁড়ির দেওয়ালের আড়ালে নিয়ে যাওয়া। পরে অনেক জনকে আন্ডারপাসের সিঁড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, বোধ হয় তাঁদের জোটে তিরস্কার, জরিমানা।

আমার মনে হয়, অবৈজ্ঞানিক ভাবে আন্ডারপাস তৈরি করার জন্যই এই দুর্ভোগ। আন্ডারপাস লাগে না কোনও কাজে। তাই রেল কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ, নতুন করে সিঁড়ির মুখ বার করা হোক ওই আন্ডারপাসের এবং মাইকে সারা দিন বারংবার জনগণকে রেললাইন পার হতে নিষেধ করা হোক।

বৃন্দাবন মণ্ডল

দত্তপুলিয়া, নদিয়া

আপ ডাউন

বিবাদী বাগ, টালা, প্রিন্সেপ ঘাট— চক্ররেলের এই সব স্টেশনে অনেক ট্রেনই সিগনাল না পেয়ে বহু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। তাই এই অঞ্চলে সিঙ্গল লাইনের বদলে পাশাপাশি আপ ও ডাউন লাইনে রেল পরিষেবা চালু করা হোক।

সৌম্যদীপ ঘোষ

বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা

অ্যাকাউন্ট

ঘাটাল মহকুমার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খেপুত পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এলাকার ব্যাঙ্কগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে না! তাই তারা ‘মাইনরিটি স্কলারশিপ’ থেকে বঞ্চিত। অভিভাবক, শিক্ষক সবাই উদ্বিগ্ন।

আনসার আলাম

গোপীগঞ্জ বাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর

তোলাবাজি

আমার প্রাত্যহিক কর্মস্থল পূর্ব বর্ধমানের জিটি রোড বাইপাসের সংযোগস্থল— উল্লাস মোড়। এখানে রোজ দেখি, কিছু খাকি উর্দিধারী পুলিশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাণিজ্যিক চার-চাকা গাড়ি থেকে ‘তোলা’ তোলায়। তারা হাতে মোটা পিভিসি পাইপের লাঠি নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে, সিগনাল লাল হলেই, গাড়ির চালকের কেবিনের দরজায় ঘা মেরে মেরে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ও বয়স্ক চালককেও অনেক ক্ষেত্রে তুইতোকারি করে টাকা তোলে। কাউকে রেহাই দেয় না। জানি না এই তোলাবাজির ভাগ কত দূর পৌঁছয়।

বাপি ঘোষ

পূর্ব বর্ধমান

কাটা রুট

অফিস টাইমে কোনও অটো একটানা গড়িয়া থেকে বারুইপুর, বারুইপুর থেকে গড়িয়া যায় না। কাটা রুটে যাবে। একই রুটে তিন বার বা চার বার ভেঙে যাবে। যেমন গড়িয়া থেকে কামালগাজি-নরেন্দ্রপুর-রাজপুর-বারুইপুর। উল্টো দিক থেকেও একই ভাবে যাতায়াত করে।

প্রিয়দর্শিনী সেনগুপ্ত

রাজপুর, হরিনাভি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

অন্য বিষয়গুলি:

Kabir Singh Film Bollywood Shadid Kapoor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy