প্রকাশ্যে থুতু ফেললে জরিমানা ঘোষণা করল রাজ্য আর কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে বহু নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই ছিল। অসংখ্য মানুষ তা মানার ধারকাছ দিয়েই যেতেন না। অনেকে এটাকে নিজেদের জন্মগত অধিকার বলে মনে করেন। থুতু ফেললে অনেক রোগ ছড়াতে পারে, পথঘাট নোংরা হয়, তা ছাড়া এটি দৃশ্যদূষণও ঘটায়। কিন্তু আপনি বারণ করে দেখবেন, যিনি থুতু ফেলছেন তিনি বলবেন, ‘‘আপনার গায়ে তো পড়েনি।’’ যেন গায়ে পড়লে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতেন। আশেপাশের মানুষের হাবভাবে মনে হয়, এত সামান্য ব্যাপারে ঝামেলা না করাই ভাল। বহু বার প্রতিবাদ করেছি, উল্টে আমিই অপমানিত হয়েছি। এক বার তো কোলে মার্কেটে এক মাছ-বিক্রেতা এই রকম প্রতিবাদ শুনে কিছু বললেন না, শুধু এমন ভাবে তাকিয়ে রইলেন, যেন এ রকম বোকা লোক আগে কখনও দেখেননি।
আইন করেও ফল হবে কি না কে জানে। কিছু মানুষ আছে, যারা আইন ভঙ্গ করেই নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করে। এই লকডাউনের সময় কিছু লোক পুলিশ দেখলে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে, আবার পুলিশ চলে গেলে বীরত্ব দেখাতে বাইরে এসে ভিড় করছে। যেন পুলিশকে ফাঁকি দিলেই রোগ থেকে বেঁচে যাবে। থুতু ফেলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, এখন কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, আবার এই জিনিস আরম্ভ হয়ে যাবে।
দ্বীপ দাস, কলকাতা-৬৪
অরবিন্দরা
প্রেমাংশু চৌধুরীর ‘স্বপ্নভঙ্গের সওদাগর’ (১৬-৪) প্রবন্ধে অরবিন্দ কেজরীবালের শাসক-চরিত্রের বিশ্লেষণ যথার্থ। ধরা পড়ে গেছে তাঁর চাতুরি। তাঁর ‘হনুমানজি কি জয়’ বা সময়বিশেষে প্রতিবাদী আন্দোলন বিষয়ে অকর্মক ভূমিকা মানুষের নজর এড়ায়নি। তবে, অরবিন্দ একা নন। অনেক নেতা-নেত্রীই এমন আছেন। তাঁরা জানেন, সাধারণ মানুষের স্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী নয়। গত কালের কথা আগামী কাল তাঁরা ভুলে যান। তাই ভোট-কুশলীর প্রয়োজন পড়ে। তাঁরা কৌশল ‘রচনা’ করে দেন, এক নেতা কী ভাবে একই সঙ্গে ‘আমিই একমাত্র ত্রাতা’ এবং ‘আমি তোমাদেরই লোক’ ইমেজ গড়ে তুলে ভোটে জিতবেন।
রঘুনাথ প্রামাণিক, কালীনগর, হাওড়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy