প্রতীকী ছবি।
চিঠি ১: না খেতে পেয়ে মারা যাব, আমাদের বাঁচান
•আমি সৌমাল্য রায়। বর্তমানে আমদাবাদে রয়েছি। আমার বাড়ি পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরে। বাড়ি ফিরতে চাই আমি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
চিঠি ২: বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন প্লিজ
• আমার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর। কর্মসূত্রে আমি মুম্বই থাকি। কিন্তু এই মুহূর্তে কোম্পানি বন্ধ রয়েছে। আমাদের অনেকেই বাড়ি চলে গেছে। ভেবেছিলাম ২৩ মার্চ যাব। কিন্তু লকডাউন হওয়ায় আটকে গিয়েছি। যে ভাবেই হোক বাড়ি ফিরতে চাইছি। বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন প্লিজ।
চিঠি ৩: ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে ভেলোরে আটকে
আমার বাড়ি নদিয়া জেলার রানাঘাটের ধানতলা এলাকায়। আমি ভেলোরে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসছিলাম। আমার ২৩ মার্চ বাড়ি ফেরার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু ফিরতে পারিনি। এখানে রয়েছি দেড় মাস হয়ে গিয়েছে। যা টাকা ছিল শেষ হয়ে গেছে। সরকারের কাছে আবেদন দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।
চিঠি ৪: মাকে দেখতে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরে এসে আটকে পড়েছি
২১ মার্চ আমি আমার স্বামী, কন্যাকে নিয়ে মাকে দেখতে দুর্গাপুর আসি। কিন্তু লকডাউন হওয়ার আটকে গিয়েছি। প্রাইভেট গাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু তা নিয়েও বেরোতে পারছি না। আমিও চাই, লকডাউন হোক। কিন্তু যাতে নিজেদের গাড়ি করেই বাড়ি পৌঁছতে পারি, দয়া করে সেই ব্যবস্থা করুন। মেয়ের এখানে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। ওর বই খাতা সব বাড়িতে। আমরা যে ফ্ল্যাটে থাকি সেটিও সে ভাবে সুরক্ষিত করে আসা হয়নি। লকডাউন খোলার অপেক্ষায় রয়েছি।
চিঠি ৫: আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না
আমাদের সংসারে আমার স্বামীই একমাত্র রোজগেরে। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। কিন্তু মার্চ মাস থেকে তিনি মাইনে পাচ্ছেন না। ঘরে যা আছে তাতে আর দু’ দিন চলবে। আমাদের একটি তিন বছরের বাচ্চা রয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যদি কিছু ব্যবস্থা না করলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
সুপর্ণা সেন
7278894431
চিঠি ৬: কলকাতায় কাজে ফিরতে চাই
আমার বাবা -মা কোচবিহার থাকে। আমি কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকি। বাবা হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় আমি একাই বাড়িতে চলে আসি ১৮ মার্চ। বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।বাবার চিকিৎসা চলে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ। ভেবেছিলাম দু’দিন শারীরিক অবস্থা দেখে কলকাতা ফিরে যাব। কিন্তু লকডাউনের জন্য পারিনি।
কলকাতায় আমার স্ত্রী ও চার বছরের বাচ্চা আছে। ওরা খুব টেনশন করছে। বাচ্চা আমার জন্য কান্নাকাটি করছে। আজ ২১ দিন কেটে গেল, কলকাতা যেতে পারছি না। খুব চিন্তায় আছি। প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাইছি, যাতে আমি কলকাতা যেতে পারি।
রাজু পাল
9007774210
চিঠি ৭: বাড়িপদায় আটকে আমরা ১৩ জন শ্রমিক, মুর্শিদাবাদে ফেরার ব্যবস্থা করুন
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনার কাছে আমাদের ১৩ জন শ্রমিকের আবেদন যে, আমরা ওড়িশার বারিপদায় আটকে পড়েছি লকডাউন এর মধ্যে। খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, আমাদের ১৪ এপ্রিলের পর বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন। না হলে আমরা না খেতে পেয়ে মারা যাব। আমাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায়।
সাইফুল ইসলাম
Mo- 8918865931
চিঠি ৮: ভেলোরে আধপেটা খেয়ে দিন কাটছে আমাদের
আমি, আমার মা, জেঠু-সহ ৫ জন বর্তমানে ভেলোরে চিকিৎসার জন্য এসে গত ১৬ মার্চ থেকে আটকে পড়েছি। আমাদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি থানার কাল্লাপুর গ্রামে। বাড়িতে বাবা, ছোট বোন ও অসুস্থ ঠাকুমা খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাই ১৪ এপ্রিলের পর যদি লকডাউন শিথিল করে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন, তা হলে এই আধপেটা অবস্থায় আর্থিক কষ্টের থেকে বাঁচতে পারব।
মৃন্ময় মান
৭৯০৮০৯৭০৬৭
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy