কোনও মাজার নয়। নয় কোনও কারবালা। আমতার খোড়প জমিদার বাড়ি। ‘বসু’ বাড়ি নামে খ্যাত। বাড়ির সম্মুখে দশ ফুট ব্যাসার্ধের গোলাকার কংক্রিকেটের চাতাল। এই চাতালে মিলিত হয় খোড়প বালিপোতা, খোড়প বটতলা, খোড়প দক্ষিণপাড়া ও ধাঁইপুর মহরম কমিটির সুদৃশ্য তাজিয়ার শোভাযাত্রা। এখানেই হয় মহরমের ‘মাতম’ ও জারিগান। ‘বসু’ বাড়ি করে আপ্যায়ন। দেয় জল-বাতাসা-শরবত। দেয় কিছু সাধ্যমতো নগদ মান্যতা। মহরম কমিটিগুলি ‘বসু’ বাড়ির করে শুভ কামনা। সম্প্রীতির এই রীতি চলে আসছে গত দেড় শতাধিক বছর ধরে। ‘বসু’দের আজ জমিদারি নেই। নাই পাইক-পেয়াদা-বরকন্দাজ। বাড়িঘর ভাঙাচোরা। আগলে রেখেছে সম্প্রীতির ‘চাতাল’। মানবিক ‘বসু’রা বেঁচে থাক। এই বিরল সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক বাংলার গ্রামে গ্রামে।
দীপংকর মান্না
আমতা, হাওড়া
একটি আবেদন
‘মুজফ্ফরপুরের জেলখানা আজও তাঁকে মনে রেখেছে’ (রবিবাসরীয়, ১-৯) পড়ে এককথায় আমি অভিভূত। প্রসঙ্গত জানাই যে, আমার পিতামহ ডা. আশুতোষ দত্তের ছোটভাই বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ১০ নভেম্বর, ১৯০৮ সালে ফাঁসি হয়েছিল আলিপুর জেলে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেল)।
আমার প্রশ্নসূচক বিষয়টি হল, কারাগার কর্তৃপক্ষ কানাইলাল দত্তের স্মরণে ওই দিনটিতে এমন কোনও শ্রদ্ধানুষ্ঠান করেন কি না, আমি ঠিক জানি না। আর যদি এমন কোনও অনুষ্ঠান করা হয়েও থাকে,
সে ক্ষেত্রে শহিদ পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের জেলে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
আমরা চাই, বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত যে সেলে বন্দি ছিলেন, সেই সেলটিকে যেন যথোপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়। এই ব্যাপারে পরিবারের তরফ থেকে জেল কর্তৃপক্ষকে আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
শর্বরী বসু
চন্দননগর, হুগলি
ভ্রমণে বঞ্চিত
মাননীয় রেলমন্ত্রী ও রেল দফতরের নিকট একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ভ্রমণপিপাসু বাঙালি দুর্গা পুজোর ছুটির সময় ভাইজাগ বেড়াতে গিয়ে আরাকু যাওয়ার জন্য ট্রেনযাত্রাকে বিশেষ ভাবে পছন্দ করেন— টানেল ও পাহাড়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ওই বিশেষ সময়ে মাত্র একটি ট্রেন অল্প সংখ্যক কোচ নিয়ে ভাইজাগ থেকে আরাকু যায়। ফলে অনেক ভ্রমণার্থী রেলের নিয়মানুযায়ী ভ্রমণ তারিখের চার মাস পূর্বে রিজ়ার্ভেশন শুরুর প্রথম দিনে বা এক দু’দিনের মধ্যে টিকিট কাটতে না পারলে ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হন। সাধারণ অসংরক্ষিত কামরায় প্রচুর যাত্রী হওয়ার ফলে ভ্রমণার্থীরা ট্রেনে যাওয়ার আনন্দ ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তা ছাড়া জানা গেল অন্ধ্রপ্রদেশ টুরিজ়ম আগের মতো ওই ট্রেনের সঙ্গে তাদের যাত্রীদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত কোচের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে।
এ অবস্থায় আমার অনুরোধ, শারদীয় উৎসবের ছুটির সময় অক্টোবর মাসে ভাইজাগ-কিরনদুল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে আরাকু পর্যন্ত অতিরিক্ত সংরক্ষিত কোচ সংযুক্ত করে অধিক সংখ্যক ভ্রমণার্থীদের রিজ়ার্ভেশন করার ব্যবস্থা করলে রেলের অধিক আর্থিক আয়-সহ ইচ্ছুক ভ্রমণার্থীদের ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ ও সুবিধা হবে।
দুলাল চন্দ্র মাল
মেদিনীপুর
টাকাই কি সব?
‘‘সবাই ক্রিকেট খেলবে না, সচিনও হবে না’’— খুবই উল্লেখযোগ্য ও অত্যন্ত দামি কথা বলেছেন ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ পঙ্কজ আডবাণী (১১-৯)। শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের খেলার চিত্রেও পঙ্কজ আডবাণীর ন্যায় খেলোয়াড়েরা বিরল প্রতিভার। যাঁরা খেলাধুলার শৌর্যে, গরিমায় যে কোনও দেশের অমূল্য সম্পদ। কী অসাধারণ কীর্তি এই খেলোয়াড়টির। বিলিয়ার্ডস ও স্নুকারে বিশ্ব খেতাব ২২টি, এশীয় খেতাব ১০টি, এশিয়ান গেমসে সোনা ২টি ও জাতীয় খেতাব ৩২টি, যার তুলনা মেলা ভার এ দেশের অপরাপর কোনও খেলার খেলোয়াড়দের খেলার ক্রম-ধারাবাহিকতার সঙ্গে।
এই জীবন্ত কিংবদন্তি খেলোয়াড়টি সম্প্রতি এক আলোচনায় জানিয়েছেন, এ দেশের কয়েকটি খেলা, যেমন ক্রিকেট, কবাডি প্রভৃতি, টেলিভিশনে বহুলাংশে প্রচার করা হয়, এই কারণে যে এই খেলাগুলি টেলিভিশনে দেখতে দর্শকরা অধিক পছন্দ করেন ও তার ফলে এই খেলাগুলি দেখিয়ে ক্রীড়া চ্যানেলগুলির আর্থিক লাভও হয়। এই বিশ্ববরেণ্য খেলোয়াড়ের অভিমত, ক্রিকেটের পাশাপাশি কবাডি খেলাটি সম্পূর্ণ নতুন মোড়কে ঝাঁ-চকচকে চেহারায় সমস্ত ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমী যেমন বর্তমানে দারুণ ভাবে উদ্বেল ও একেবারে মজে গিয়েছেন, এ রকম ভাবেই দেখা যেতে পারে বিলিয়ার্ডস ও স্নুকারকে টিভির পর্দায় দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারলে। এ ভাবেই ভারতের অন্য উল্লেখযোগ্য খেলাগুলি টিভিতে আরও অধিক সম্প্রচার পেলে সেগুলিও কবাডি, ক্রিকেটের মতোই যে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, সে ব্যাপারে তাঁর কোনও সংশয় নেই। এ ছাড়াও ভারতে অপর খেলাগুলির কদর ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে হলে তাঁর পরামর্শ, প্রতি বছরে যে খেলার উপর তিনটি জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয় তার মধ্যে অন্তত দু’টি খেলাকে অলিম্পিক্স স্পোর্টসের বাইরের খেলার খেলোয়াড়দের দেওয়া উচিত, যা সেই খেলাগুলি সম্বন্ধে উৎসাহিত করবে শিশু ও কিশোরদের।
মাননীয় এই খেলোয়াড়ের কথাতেই প্রমাণিত যে ক্রিকেট, কবাডি প্রভৃতি খেলাগুলি দূরদর্শনের বেশির ভাগ খেলার চ্যানেলগুলি প্রায় সব সময়ই দেখায় এই কারণে যে, খেলাগুলি দর্শকরা দেখতে বেশি পছন্দ করেন ও তার ফলে অর্থোপার্জনও অন্য খেলাগুলির থেকে অনেক অনেক বেশি। শুধু পঙ্কজ আডবাণীর কথার যুক্তিতেই নয়, আমারও একই অভিমত যে অর্থই কি সব কথা? অর্থ দিয়ে কি কখনও বিচার করা সম্ভব, দুরন্ত চেহারার ক্রিকেটের আইপিএল, কবাডি ইত্যাদি খেলাগুলিই এ দেশের উল্লেখযোগ্য খেলা? এই খেলাগুলি হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে দর্শকরা দেখতে, উপভোগ করতে অধিক বেশি পছন্দ করেন বলে টোলিভিশনের খেলার চ্যানেলগুলি খুব লাভজনক বলে দেখায়, কিন্তু তাই বলে কি এরা কেড়ে নিতে পারে বিলিয়ার্ডস ও স্নুকারের ন্যায় অপর অলিম্পিক্সভুক্ত বা অলিম্পিক্সভুক্তহীন খেলাগুলির ভাগ্য?
এ দেশের ক্রীড়া চ্যানেলগুলি আর কত কাল ক্রিকেট, কবাডি প্রভৃতি অর্থসর্বস্ব খেলাগুলি সমানে দেখিয়ে দেশের ক্রীড়ামোদী জনগণের চোখে ঠুলি পরিয়ে রাখবে, কিছুতেই বুজতে দেবে না অন্য খেলাগুলির ও সেই সব খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের খেলার কদর শুধু এ দেশেই নহে বহির্বিশ্বেও কতটা? এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কি কিছুই করার নেই?
তাপস সাহা
শেওড়াফুলি, হুগলি
ধন্যবাদ
আমার মোবাইলে সম্প্রতি ভারতীয় ডাক বিভাগ একটা এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়েছে যে গত ১ জানুয়ারি ২০০০-এ আমি নাকি কোনও ব্যক্তিকে স্পিড পোস্টে (নম্বর ৩৩৪১৭৯৭০৯) কিছু পাঠিয়েছিলাম। সেটি প্রাপকের হাতে গত ৩০ অগস্ট ২০১৯-এ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমি এখনও স্মরণ করতে পারছি না যে কাকে ওই স্পিড পোস্টটি পাঠিয়েছিলাম। তবে ডাক কর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। কারণ, অতি দ্রুততা ও সততার সঙ্গে তারা তাদের কর্তব্য পালন করেছেন বলে!
রাধিকানাথ মল্লিক
কলকাতা-৭
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy