বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জোর খবর, এবি ডি ভিলিয়ার্স অবসর ভেঙে বিশ্বকাপের জাতীয় দলে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দক্ষিণ অাফ্রিকার নির্বাচকেরা তাঁকে নিতে চাননি। নীতিগত ভাবে, নির্বাচকেরা অবশ্যই ঠিক কাজ করেছেন। এক জন ক্রিকেটার অবসর নিয়ে নেওয়ার পরে, হঠাৎ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টা আগে ‘অবসর ভাঙছি’ বললেই যদি তাঁকে দলে ফেরত নেওয়া হয় এবং দলে অন্তর্ভুক্ত কাউকে সে কারণে বাদ দেওয়া হয়, তা হলে একটি সুসংবদ্ধ সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা চলতে পারে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যিনি এই প্রস্তাব দিচ্ছেন, তিনি সম্ভবত বিশ্বের সর্ব কালের সবচেয়ে বড় ওয়ান-ডে খেলোয়াড়। তাঁর ক্ষেত্রেও যদি ব্যতিক্রম না করা যায়, তা হলে কার ক্ষেত্রে করা হবে! তাঁকে নিলে, বিশ্বের সব ক্রিকেটানুরাগী দু’হাত তুলে এই বেনিয়মকে স্বাগত জানাতেন, হয়তো বিশ্বকাপে তাঁর দলও ভাল খেলত!
অভিজিৎ ঘোষ
কলকাতা-৩৩
রাস্তা বন্ধ
আমরা নদিয়া জেলার ৭৭নং করিমপুর বিধানসভার অন্তর্গত ১১৩ ও ১১৪ নং পার্টের রামকৃষ্ণপল্লি (হাসপাতালপাড়া)-র বাসিন্দা। এই পার্ট দু’টির ভৌগোলিক অবস্থান এমনই যে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালকে ছুঁয়ে রয়েছে। হাসপাতালের জমির ওপর দিয়ে যে রাস্তাটি ছিল, তা দিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই যাতায়াত করি। তাতে অসুস্থ মানুষদের রিকশা/টোটো করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বিশেষ সুবিধা ছিল। কিন্তু করিমপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই রাস্তাটি পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে, আজ আমাদের সাধারণ জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ:
১) উক্ত পার্ট দু’টির আনুমানিক ৩০০-৩৫০ ঘরের প্রায় ৫০০০ জন মানুষ বিগত ৬০-৬৫ বছর ধরে হাঁটাচলার জন্য যে পথটি ব্যবহার করে আসছিলেন, সেটি করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের মধ্য দিয়ে একটা সংযোগকারী রাস্তা (১০০-১৫০ মিটার)।
২) উক্ত রাস্তাটি শুধুমাত্র হাসপাতালপাড়া বা রামকৃষ্ণপল্লি নিবাসী মানুষই নন, এলাকার অন্যান্য মানুষরাও বিভিন্ন ধরনের বিশেষ কাজেই ব্যবহার করেন। যেমন—
ক) এই পার্টে রয়েছে প্রাইমারি স্কুল, রয়েছে সর্বসাধারণের এমনকি সমগ্র করিমপুরবাসীদের শরীরচর্চা বা হাঁটাচলা করার জন্য একমাত্র ফাঁকা রেগুলেটিং মার্কেটের মাঠ।
খ) রয়েছে একটি পার্ক যেখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করত।
গ) করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের যাতায়াতের ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক শিশুদের জন্য বিনামূল্যে যে টিকা প্রদান করা হয়, সেই টিকা নিতে যাওয়ার রাস্তা।
ঘ) এই পার্টে রয়েছে দু’টি ভোটকেন্দ্র। ভোটকর্মীদের ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।
ঙ) সর্বোপরি রয়েছে করিমপুরে চিকিৎসার একমাত্র ভরসা— করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। যেখানে আজ কোনও মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে যেতে গেলে অনেকটা পথ উজিয়ে তবেই হাসপাতালে পৌঁছনো যাবে, সে ক্ষেত্রে হয়তো প্রাণহানিও ঘটতে পারে!
মিঠুন মুখোপাধ্যায়
করিমপুর, নদিয়া
অবিচার
কর্ড লাইনে পাল্লারোড শেষ স্টেশন। এখানকার যাত্রীদের প্রতি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের অবিচার বছরের পর বছর চলে আসছে। অবিচারটি হল: হাওড়া থেকে বিকেল ৩:৩৫ মিনিটের আপ লোকালের পর ২ ঘণ্টা কোনও ট্রেন নেই, যা পাল্লারোড পর্যন্ত আসে বা দাঁড়ায়। বিকেল ৪:৩০ মিনিটে একটি ট্রেন হাওড়া ছাড়ে, কিন্তু মশাগ্রাম পর্যন্ত আসে। এই ট্রেনকে পাল্লারোড পর্যন্ত টানা হোক।
আনন্দ মোহন ঘোষ
পাল্লারোড, বর্ধমান
ফার্মাসিস্ট
আমি ষাটোর্ধ্ব, ডি শ্রেণির ফার্মাসিস্ট। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ৩১ মার্চের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রিনিউ করতে হয়। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রিনিউ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর পূর্ত ভবনে অবস্থিত ফার্মেসি কাউন্সিলে সবাইকে গিয়ে রিনিউ করতে হয়েছে। বিভিন্ন জেলার মোট ৮৬ হাজার ফার্মাসিস্টের মধ্যে প্রায় ৪০-৪২ হাজারকে কাউন্সিলে দূর-দূরান্ত থেকে গিয়ে রাত থেকে লাইন দিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে রিনিউ করতে হয়েছে। তাই ৩১ মার্চের মধ্যে সকলে রিনিউ করতে পারেননি। বিভিন্ন জেলা থেকে সকলের, বিশেষত বৃদ্ধদের পক্ষে অন্যের সাহায্য ব্যতিরেকে যাওয়া অসম্ভব। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, প্রত্যেক জেলায় ফার্মাসিস্টদের রিনিউ করার ব্যবস্থা করুন।
সবুজ অধিকারী
দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর
ভুল দাম
হাওড়া থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে গুয়াহাটি যাচ্ছি। ট্রেনে ‘রেল নীর’ জলের বোতল এবং অন্যান্য খাবার প্যান্ট্রি কার থেকে আইআরসিটিসি-র লোকেরা বিক্রি করছেন। এক লিটারের একটা রেল নীর নিয়ে দাম জানতে চাইলাম, বললেন ২০ টাকা। অথচ বোতলের গায়ে লেখা আছে ১৫ টাকা। পরে খেয়াল করে দেখি, প্রতিটা জিনিসের দাম, গায়ে লেখা দামের থেকে পাঁচ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করায় এক জন বললেন, ‘‘ভাঙানি না থাকায় পাঁচ টাকা বেশি নিচ্ছি। আপনি ঠিক দামটাই দিন।’’ বেশির ভাগ যাত্রী খেয়াল না করে অতিরিক্ত অর্থ দিচ্ছেন।
পিন্টু ভট্টাচার্য
বহিরগাছি, নদিয়া
জল দূষিত
আমাদের অঞ্চলের একটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ পুকুর হল সাঁতরা দিঘি। এক সময় এই পুকুরের জল এই অঞ্চলের বহু পরিবার পান করতেন ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতেন। বেশ কিছু দিন ধরে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ের কিছু বাড়ির বাথরুম ও পায়খানার জল নর্দমা দিয়ে এই পুকুরে এসে পড়ছে, ফলে পুকুরের জল দূষিত হচ্ছে ও স্নানের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
কাঞ্চন কুমার গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা-১১৮
যানজট
বর্তমানে উত্তরপাড়া রেলগেটে যানজট একটি নিত্য সমস্যা। দিনের ব্যস্ত সময়ে স্কুলের বাস, গাড়ি ইত্যাদির লম্বা লাইন প্রায় তিন মাথার মোড় অবধি চলে যায়। তার উপর এখন অসংখ্য টোটো স্টেশন রোডের উপর দু’দিকে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রী তোলার জন্য।
অর্ণব ঘোষ
উত্তরপাড়া, হুগলি
জলাধার
পুরুলিয়ার মুরগুমা পর্যটন কেন্দ্রটির জলাশয় অবলুপ্তির পথে পা বাড়িয়েছে। এক দিকে অঞ্চলবাসীর ও মহকুমা শহর ঝালদাবাসীর পানীয় জল সরবরাহ এবং অপর দিকে বিস্তৃত এলাকার চাষিদের সেচজল সরবরাহের ফলে, গ্রীষ্ম পড়তে না পড়তেই জলাশয়ের জল নিঃশেষিত হয়ে আজ কঙ্কালসার ডাঙায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ৫৫ বছর আগে খনন করা এই জলাধারটির কোনও সংস্কার না হওয়ায়, দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড় গড়া নদীর পলিমাটি ভরাট হয়ে, আজ জলাশয়টি বুজে যেতে বসেছে। আর বছর দুই এই ভাবে চললে, জলাধারটি খেলার মাঠ হয়ে দাঁড়াবে। অথচ জলহীন জলাধার থেকে সেচ প্রকল্পে জল সরবরাহ করার জন্য সেচ নালাগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাথর বসানো হচ্ছে। এ রাজ্যের পর্যটন বিভাগ, জলাধারের বুকে স্পিডবোটে ভ্রমণের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তা হলে জলাধারটির সংস্কারের ব্যবস্থা করছেন না কেন? স্পিডবোট কি ডাঙায় চলবে?
তপন কুমার বিদ
বেগুনকোদর, পুরুলিয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy