বাঁ দিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ডান দিকে জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নিজের দলের অন্দরেই। গত বছরের অগস্টে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে তিনি নিজেই দলের প্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম সুপারিশ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিদায়বেলায় এ বার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা গেল জো বাইডেনের গলায়।
ভোটপর্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তিনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাস্ত করতে পারতেন বলে ৮২ বছরের বাইডেনের দাবি। তবে কমলারও সেই যোগ্যতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ওভাল অফিস থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় উদ্দেশে বিদায়বার্তা দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ বারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘আমি মনে করি ট্রাম্পকে হারাতাম। হ্যাঁ, পারতাম এবং আমি মনে করি কমলাও ট্রাম্পকে হারাতে পারত।’’
যদিও নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বলছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রীকে ইলেক্টোরাল কলেজে বিপুল ব্যবধানে (৩১২-২২৬) পিছনে ফেলেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের দাবি, ভোটের আগে তিনি সরে দাঁড়ানোয় দলের অন্দরে কোনও বিভাজন তৈরি হয়নি। ২০২০ সালে ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া তাঁর কাছে ‘জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান’ বলে জানান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে তাঁর গত বছরের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ‘কারণ’ জানাতে গিয়ে দলের অন্দরে সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘আমি এমন একজন হতে চাইনি যে দলকে একত্রিত করে নির্বাচনে লড়তে পারেনি। আর সেই কারণেই সরে এসেছিলাম।’’ হোয়াইট হাউসের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার ওভাল অফিস থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ বার জাতীয় উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাইডেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy