প্রতীকী ছবি।
দিন বদলায়, মাস গড়ায়, বছর ঘুরে যায়, সরকার পড়ে যায়— দিল্লি থাকে দিল্লিতেই। নির্ভয়া কাণ্ডের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে দিল্লিকে। ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে আন্দোলন। লাখো কণ্ঠস্বর, হাজারো প্রতিশ্রুতি, শয়ে শয়ে আশ্বাস— তা সত্ত্বেও বার বার ফিরে আসছে কলঙ্কিত স্মৃতি, বার বার সীমাহীন লজ্জার মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে দেশের রাজধানী শহরকে। নানা প্রান্তে, নানা রূপে, নানা উপায়ে নির্যাতন চলছে নির্ভয়াদের উপর। নতুন উপসর্গ— দিল্লি এ বার সংবেদনশীলতা এবং সহানুভূতিও হারাচ্ছে ধীরে ধীরে।
তরুণীকে ফাঁদে ফেলে বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর পাঁচ বন্ধুর নারকীয় উল্লাস। খোলা বারান্দা থেকে তার পর গণধর্ষিতা তরুণীর অসহায় ঝাঁপ। আহত, বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত, বিবস্ত্র তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেও পাশ কাটিয়ে যাওয়া পথচারীদের। ঘটনার বীভৎসতা এবং বীভৎস ঔদাসীন্য পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই শুরু করেছে যেন!
নির্ভয়া কাণ্ডের পর এই প্রথম এমন ঘটল দিল্লিতে, তা কিন্তু নয়। নিয়মিত সামনে আসছে বীভৎসতার নতুন নতুন আখ্যান। আর এ বার যেন সেই বীভৎসতা দেখে দিল্লি চমকে উঠতেও ভুলে যাচ্ছে!
বার বার আঘাত যদি হয় একই স্নায়ুতে, ক্রমে অকেজো, নিরুত্তর হয়ে আসে সে স্নায়ু, সংবেদনশীলতা হারায় সে ধীরে ধীরে। দিল্লিরও আজ সেই দশাই কি?
কবে সুস্থ হবে রাজধানী? কবে সারবে এই বিষম অসুখ? উত্তর খুঁজছে গোটা গোটা দেশ, জবাব চাইছে সমগ্র জাতি। দিল্লি কলঙ্কিত হলে শুধু দিল্লি কিন্তু কলঙ্কিত হয় না, গোটা ভারতের মুখটা কালিমলিপ্ত হয়। নিত্য এই কলঙ্কলেপন আর কত দিন? কেনই বা? উত্তর পথ হারিয়েছে ভুলভুলাইয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy