রবীন্দ্রনাথের পাহাড়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তাঁর জীবনের শেষ প্রান্তে, কালিম্পঙের দিনগুলি খুবই সুন্দর ভাবে কেটেছিল। কালিম্পঙে ১৯৩৮ ও ১৯৪০ সালের মধ্যে চার বার এসেছেন এবং গৌরীপুর ভবনে থেকেছেন। এই ভবনটি ছিল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর। তিনি তখন জীবিত।
বাড়িটি অনেকখানি জায়গা নিয়ে। চারিদিকে বড় বড় গাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। বারান্দা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, নাথুলা পাহাড় চোখে পড়ে। এখানে বসে কবি কবিতা, চিঠিপত্র ও গদ্য রচনা করেছেন। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে ২৫ বৈশাখ কবির জন্মদিন এখানে খুব সুন্দর ভাবে পালিত হয়।
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি দীর্ঘ কাল সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায়। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটি অধিগ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে রাজ্য সরকার ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে। কিন্তু অদ্যাবধি জীর্ণ ভবনটির কোনও সংস্কার হল না।
রতন বিশ্বাস
হাকিমপাড়া, শিলিগুড়ি
জুবিলি ব্রিজ
নৈহাটি এবং ব্যান্ডেল স্টেশনের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগের জন্য গঙ্গার ওপর একটা ব্রিজ তৈরি হয়েছিল রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে। রানি ভিক্টোরিয়ার পঞ্চাশ বছর রাজত্বের পূর্তি উপলক্ষে এই ব্রিজ জনসাধারণকে উৎসর্গ করা হয় ১৮৮৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এবং রানির জুবিলি বছর বলে এই ব্রিজের নাম দেওয়া হয় জুবিলি ব্রিজ। ২০১৬-তে এরই পাশাপাশি আর একটা নতুন রেলসেতু তৈরি হয় এবং রেল চলাচল শুরু হয়। এই ব্রিজের নাম সম্প্রীতি সেতু। ২০১৬ এপ্রিল মাস পর্যন্ত জুবিলি ব্রিজ দিয়েই ট্রেন চলাচল করত। শেষ ট্রেন চলেছে তিস্তা-তোর্সা। ২০১৮ সালে ১২ মার্চ একটি বাংলা দৈনিকে রেলের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছিলেন, জুবিলি ব্রিজকে হেরিটেজের তকমা দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। এর মধ্যে ২০১৮ ডিসেম্বর মাসে তিনি অবসর নিয়েছেন। আমি তথ্যের অধিকার আইন ব্যবহার করে জানতে পারলাম, এই সেতুকে ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে। পূর্ব রেলের চিঠির তারিখ ১৮-৩। জুবিলি ব্রিজ ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং টেকনোলজির বিস্ময়। এই সেতু জাতীয় সম্পদ। এই ব্রিজকে হেরিটেজের তকমা দেওয়া জরুরি।
প্রশান্ত বসু রায়
চন্দননগর, হুগলি
বাদু রোড
বাদু রোডটি মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে সোজা চলে গিয়েছে খড়িবাড়ি পর্যন্ত। রাস্তাটির অনেক অংশ মধ্যমগ্রাম পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, আর বাকি অংশ গ্রামীণ অঞ্চল। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে। দীর্ঘ দিন রাস্তাটির আমূল সারাই করা হয়নি। ফি বছর উৎসব মরসুম এলে জোড়াতাপ্পির কাজ করা হয়। তার পর বর্ষার আগে থাকতেই হাজার হাজার গাড়ি যাওয়া তো দূরে থাক, ঠিকমতো সাইকেলে বা হেঁটে যাওয়া যায় না। গত উৎসব মরসুমে আব্দালপুরের কাছাকাছি একশো থেকে দুশো মিটার (আনুমানিক) রাস্তা নতুন ধরনের ইট দিয়ে সারাই করা হয়। ভেবেছিলাম পরীক্ষামূলক ভাবে করা হচ্ছে, পরে অন্তত আব্দালপুর থেকে চৌমাথা সওয়া এক কিলোমিটার বাদু রোডটি ভাল ভাবে সারাই করা হবে। প্রায় ছ’মাস হয়ে গেল, কিছুই হল না। এখনই প্রায় জায়গায় গর্ত, খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। যা আগামী বর্ষায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে।
তারক চন্দ্র দাস
কলকাতা-১৫৫
পারাপার ঝুঁকির
আমি সল্টলেকের বাসিন্দা। ফার্স্ট অ্যাভেনিউ এখানকার ব্যস্ত রাস্তা। প্রচুর অটো, গাড়ি, বাস চলাচল করে। যে হেতু আইটি হাব, বহু সরকারি অফিসে যাওয়ার প্রধান রাস্তা এটি, সন্ধ্যার পর অফিসপাড়া থেকে বোঝাই হয়ে গাড়ি, অটো প্রচণ্ড বেগে উল্টোডাঙার দিকে ছোটে। অন্ধকার নামলে রাস্তা পারাপার বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, কারণ বাস ছাড়া আর সব যান আলো না জ্বালিয়েই ছোটে।
দীপক দত্ত
কলকাতা-৬৪
সমাধান হয়নি
আমি এক জন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। অবসর নেওয়ার পর পাওয়া টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার চেষ্টা করি। ফ্ল্যাটের জন্য ২০১৪ সালের মধ্যে ১৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিই। ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল ১৫ এপ্রিল ২০১৫। আজ পর্যন্ত বাড়ির শুধুমাত্র একটা কাঠামো তৈরি হয়েছে। আমি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে যোগাযোগ করি ১৬-০২-২০১৬ তারিখে। ওই দফতরের ব্যবস্থাপনায় ৮ এপ্রিল থেকে ২২ জুলাই, ২০১৬ আমি চারটি ত্রিপক্ষীয় সভায় যাই, কিন্তু একটি পয়সাও পাইনি। সভার শেষ দিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, কনজ়িউমার অ্যাফেয়ার ও এফবিপি ওঁর অক্ষমতার কথা স্বীকার করেন ও আমাদের স্টেট কনজ়িউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনের দ্বারস্থ হতে বলেন। সেই মতো আমি উপরোক্ত কমিশনে ১৫-৯-২০১৬’তে কেস করি। আজও কেস চলছে।
আমি এক জন লিভারের সিরোসিস রোগী, মৃত্যুর দিন গুনছি। কমিশনের কাছ থেকে কোনও সুরাহা পাইনি।
মিত্রা চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা-১২০
ফার্স্ট এড নেই
গত ১৮-৪ তারিখে সকালে ইস্পাত এক্সপ্রেসে রওনা দিয়েছিলাম ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে। ট্রেন যখন মাঝ রাস্তায়, আমাদের কামরায় হঠাৎ বিকট শব্দ করে আমার সামনের সিটের জানালাটা বন্ধ হয়ে গেল এবং এক ভদ্রমহিলা যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলেন। ওঁর বাঁ হাতের দুটো আঙুলের ওপর সশব্দে জানালাটা পড়ে গিয়েছে। আঙুল দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে ট্রেনের মেঝেটা ভেসে গেল। পাশের ভদ্রলোকের কাছে থাকা ঠান্ডা জলের বোতলের জল রুমালে ভিজিয়ে আঙুলে চেপে রাখা হল কিন্তু রক্ত পড়া বন্ধ করা গেল না তখনকার মতো। আমি এবং কয়েক জন যাত্রী মিলে প্যান্ট্রিকারের ছেলেদের বললাম ফাস্ট এডের ব্যবস্থা করার জন্য, কিন্তু ওঁরা এবং টিটিই-রা জানালেন যে এ রকম কোনও ব্যবস্থা এই গাড়িতে নেই। সৌভাগ্যবশত ওই কামরার অন্য এক সহযাত্রী তাঁর ব্যাগ থেকে ওষুধ বার করে ড্রেসিং করে তখনকার মতো সামাল দিলেন।
সঞ্জীব নাথ
কলকাতা-৫০
চেক ফেরত
১১-৩ তারিখে আমি একটি টিভি চ্যানেল থেকে আমার পারিশ্রমিক বাবদ একটি চেক পাই। ১৩-৩ সেই চেক আমার ব্যাঙ্কে জমা দিই। চেকটা ফেরত আসে এবং আমার কাছে এসএমএস আসে যে আমার ১৭৭ টাকা এই বাবদ কেটে নেওয়া হল। আমার ব্যাঙ্কে গিয়ে রিটার্ন মেমো রিপোর্ট পাই, চেক ফেরত আসার কারণ: ইমেজ নট ক্লিয়ার। এখন, তার জন্য আমি বা ওই চ্যানেলটি, কেউই তো দায়ী নয়। ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার জানালেন, তিনি এ ব্যাপারে কোনও দায়িত্ব নিতে পারছেন না। যে ব্যাঙ্কের চেক, সেখানে অনুসন্ধান করতে পরামর্শ দিলেন। এটা কি প্রতারণা নয়?
সুমিত কুমার রায়
কলকাতা-১০৪
কার্ড মারফত
আমি সব সময় কর্পোরেশন ট্যাক্স কার্ড মারফত জমা দিই। কিন্তু প্রতি বার ট্যাক্স বাবদ টাকার সঙ্গে আরও কিছু টাকা বেশি কাটা হচ্ছে, যা পেমেন্টের বিলে দেখানো হচ্ছে না। বেশি টাকাটা কে নিচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্থা ছাড় দেয় যেমন ইলেকট্রিক সাপ্লাই, গ্যাস সাপ্লাই, পেট্রল পাম্প ইত্যাদি। সে রকম কর্পোরেশনেরও উচিত ব্যাঙ্ক চার্জটা আদায় না করা।
সুব্রত কুমার শীল
কলকাতা-৩৩
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy