রঙিন: হিমাচলি টুপি পরে বৈঠকে এসেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক। বিষয় কোভিড। সেখানে হাজির ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় হিমাচল প্রদেশের টুপি কেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। হিমাচলি টুপি পরে বঘেল কি মোদীকে কোনও বার্তা দিলেন? বৈঠকের আগেই হিমাচলের উপনির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে। সেখানে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন বঘেল। প্রধানমন্ত্রীকে তা মনে করিয়ে অস্বস্তিতে ফেলতেই কি বঘেলের মাথায় হিমাচলি টুপি? বঘেল মুচকি হেসে বলছেন, তিনি এমনিতেই হিমাচলি টুপি ভালবেসে পরেন— তা সে বাড়ির দীপাবলির অনুষ্ঠানেই হোক বা জনসভায়। বিজেপি নেতাদের সন্দেহ অবশ্য এখনও যায়নি।
যোগীর বীরগাথা
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে আকাশ থেকে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বেলা একটা নাগাদ। সকাল থেকেই মঞ্চে চলছে প্রচারসঙ্গীত। তাতে মোদীর জয়গানের পাশাপাশি একটি চেনা সুর। “ধম ধম ধড়াম ধারাইয়া রে/ সব সে বড়ে লড়াইয়া রে...!” ওমকারা ছবির গানের সুর ব্যবহার করছে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি, যোগী আদিত্যনাথের পরাক্রম বর্ণনার জন্য! উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভোট প্রচারের থিম করা হয়েছে দুর্নীতি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াকু যোগীর ভাবমূর্তি। তাঁদের মতে, এই জনপ্রিয় গানটির সুর মানুষকে উজ্জীবিত করবে। ওমকারা-র শুটিং হয়েছিল উত্তরপ্রদেশেরই মেরঠে।
সোনোয়ালের গুরুভক্তি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হয়েছে পাঁচ মাস আগে। কিন্তু এখনও সেই সময়ের জন্য নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া পথনির্দেশিকার বাইরে যেতে পারেননি জল পরিবহণ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। মোদী নতুন মন্ত্রীদের বলেছিলেন, পূর্বসূরির কাছ থেকে মন্ত্রকের কাজ ভাল করে বুঝে নিতে। আলাপ আলোচনা করতে। জুলাইয়ে রদবদলের পর মাসখানেক সবাই তাই করেছেন। কিন্তু মন্ত্রকসূত্রের খবর, এখনও নিয়মিত সোনোয়াল মন্ত্রকের যে কোনও সমস্যায় পূর্বসূরি মনসুখ মাণ্ডবিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। মাণ্ডবিয়া চলে গিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকে, কিন্তু ছ’মাস পরেও পুরনো অভিজ্ঞতা তিনি অকাতরে বিলিয়ে চলেছেন সোনোয়ালকে! মন্ত্রকের অনেকেই আড়ালে রসিকতা করছেন, এমন গুরুভক্তি সচরাচর দেখা যায় না রাজধানীর অন্দরমহলে!
কোন পথে যে চলি
দূষণের ঠেলায় রাজধানীর অবস্থা গ্যাস চেম্বারের মতো। কেন্দ্রীয় সরকার নোটিস জারি করে কর্মীদের নিজের বা সরকারি গাড়ি যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির বক্তব্য, “হয় কয়েক জন মিলে একটি গাড়ি ভাগাভাগি করে অফিস আসুন। নয়তো গণপরিবহণ ব্যবহার করুন।” উদ্দেশ্য, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা যথাসম্ভব কমানো। আরও বলা হয়েছে, ভাগাভাগি করে চড়লেও, গাড়িতে কোভিড প্রোটোকল বজায় রাখতে হবে! স্বাভাবিক ভাবেই, অফিসারেরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। সচিব পর্যায়ের অফিসারেরা এই নয়া নির্দেশিকা কতটা মানবেন, এখন সেটাই দেখার!
বহু দিন পরে দেখা
বিদায়ী মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন আইআইএম-কলকাতার ছাত্র ছিলেন। সে সময় তাঁর স্ট্যাটিসটিক্সের শিক্ষক ছিলেন অধ্যাপক রাহুল মুখোপাধ্যায়। সুব্রহ্মণ্যনের পিএইচ ডি-র জন্য লেটার অব রেকমেন্ডেশন লিখেছিলেন এই বাঙালি পরিসংখ্যানবিদ। বহু দিন পরে সুব্রহ্মণ্যনের সঙ্গে ফের দেখা তাঁর অধ্যাপকের। প্রাক্তন ছাত্রের পাশে তাঁর স্ত্রী-সন্তান। রাহুলবাবু বললেন, সুব্বুকে কত্তটুকু দেখেছেন, আর সে এখন কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। গুরুর চোখে জল। চোখ ভিজে এল ছাত্রেরও। সুব্রহ্মণ্যন বললেন, শিক্ষকের আনন্দ দেখে বুঝলেন, তাঁর প্রয়াত বাবাও এমনই গর্বিত হতেন।
গুরুত্বহীন জন্মদিন
দিনটা ১১ নভেম্বর। রোজকার মতোই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় মামলা শুনছেন। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি বললেন, “শুনলাম, আপনার আজ জন্মদিন!” বিচারপতি বললেন, “জীবনে একটা সময় আসে, যখন জন্মদিনের আর গুরুত্ব থাকে না। আজ সকালে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার বয়স আজ এক দিন বাড়ল, না কি এক বছর?” স্ত্রী উত্তর দিলেন, “সবটাই মনের ব্যাপার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy