দিল্লি ডায়েরি।
তাঁর বাবা ছিলেন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের পুরোহিত। দক্ষিণেশ্বরের মেয়ে তথা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে, কালী তথ্যচিত্রের পোস্টার ঘিরে বিতর্ক চলাকালীন হালকা মেজাজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানতে চেয়েছিলেন, বাংলায় ঠিকমতো কালীপুজো হচ্ছে কি না! জবাবে হেসে লকেট বলেছিলেন, বাংলায় কালীপুজো ঠিক মতোই হচ্ছে। ক’দিন বাদেই মহালয়া। তার পরেই উত্তর ভারতে শুরু হয়ে যাচ্ছে নবরাত্রি। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মূর্তির ফ্রেম বাঁধানো ছবি মোদীকে উপহার দিলেন লকেট। পশ্চিমবঙ্গে পুজোর প্রস্তুতি থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হল দু’জনের। লকেট তাঁর সঙ্গে শিল্পী পরেশ মাইতিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। জানালেন, মোদীর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সফরকালে নেতাজির একটি ছবি এঁকেছিলেন পরেশবাবু। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। আগ্রহী হয়ে মোদী এর পর নেতাজি নিয়ে কথা শুরু করলেন। পরেশের দেওয়া ছবিটির প্রশংসাও করলেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লিতে বাউল উৎসব
গ্রামবাংলার বাউল কীর্তনে দু’দিন মুখর রইল শাহি দিল্লি। অনেকের সম্মিলিত চেষ্টায় গত ১০ এবং ১২ সেপ্টেম্বর সঙ্গীত নাটক অকাদেমির মঞ্চ মেঘদূত থিয়েটারে চলে মনের সেই অচিন মানুষটির খোঁজ! ৩৩ জন বিশিষ্ট বাউল ও কীর্তন গায়ক-গায়িকা প্রথম দিন গান শোনান। দ্বিতীয় দিন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের মৃত্যুতে দেশ জুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হওয়ায়, অনুষ্ঠানটিকে গোলমার্কেটের কাছে বঙ্গ সংস্কৃতি ভবনে, মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন বাংলা নাটক ডট কমের সঙ্গে যৌথ ভাবে আয়োজন করল এই বাউল ও কীর্তন মেলা। সঙ্গে সক্রিয় সহায়তায় সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ও দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ি।
অসন্তুষ্ট অজিত পওয়ার
রবিবারের বারবেলায় তালকাটোরা স্টেডিয়ামের শৌচালয়ে কী হয়েছিল? এই প্রশ্ন নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের রাজনীতিতে জোর চর্চা। গত রবিবার তালকাটোরায় এনসিপি-র জাতীয় সম্মেলনের পর থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। পওয়ার ফের এনসিপি-র সভাপতি হয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরি কে— ভাইপো অজিত পওয়ার, না কন্যা সুপ্রিয়া সুলে, তা নিয়ে তিনি নীরব। তাই এনসিপি-র ভবিষ্যৎ কে, ‘অজিত দাদা’ না ‘সুপ্রিয়া তাই’, সে প্রশ্নের সমাধান হয়নি। মহারাষ্ট্রে গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে অজিত বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মধ্যরাতে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়ে ফেলেছিলেন। রবিবার তালকাটোরা স্টেডিয়ামে অজিত বক্তার তালিকায় ছিলেন না। কিন্তু দলের কর্মীরা ‘অজিত দাদা’-কে বক্তৃতা করতে হবে বলে দাবি তোলেন। নাম ঘোষণার সময় দেখা যায়, তিনি স্টেডিয়ামে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তিনি শৌচালয়ে। অজিতের প্রশ্ন, তিনি কি শৌচালয়ে যেতে পারেন না? যেতে তো পারেন, কিন্তু বেরিয়ে এলেন না কেন! শৌচালয়ে বন্দি হয়েই অজিত নিজের অসন্তোষ জানিয়ে রাখলেন!
মিলনোৎসব ওনাম
দু’জনেরই উত্থান হয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে। এক জন কেরলের। এক জন অন্ধ্রের। মার্ক্সবাদী দু’জনেই। কিন্তু দলের মধ্যে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে বিতর্কে অধিকাংশ সময়ই তাঁরা বিপরীত মেরুতে। দু’জনের স্বভাবচরিত্রের মধ্যেও মিলের থেকে অমিল বেশি। অদৃশ্য রেষারেষি রয়েছে। আবার বন্ধুত্বও রয়েছে। সুযোগ পেলে একে অন্যের ‘লেগ পুলিং’ করতেও ছাড়েন না। সিপিএমের প্রাক্তন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট ও সীতারাম ইয়েচুরিকে ‘ওনাম’ উৎসবের সময় দেখা গেল কেরল ভবনে। একই সঙ্গে পঙ্ক্তিভোজনে। সেখানে দুই পুরনো বন্ধু পাশাপাশি বসে ওনাম-এর মধ্যাহ্নভোজন সারলেন।
অনলাইনের ফাঁদে
ছিল ইস্ত্রি। হয়ে গেল... কী যে হয়ে গেল সেটাও বোঝা ভার! তিনি যেমন তেমন লোক নন। এক্কেবারে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। বাঙালি অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায় অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে একটি ইস্ত্রি কিনেছিলেন। বাড়িতে বাক্স বন্দি হয়ে ইস্ত্রি এল। কিন্তু বাক্স খুলে অবাক। তার ভিতরে যে অন্য কিছু! সেটা যে কী, তাও বোঝা মুশকিল। বিবেক তাই এখন নিজেকেই দোষ দিচ্ছেন। মানুষের সমস্যা নিয়ে তিনি আগে লিমেরিক লিখেছেন। এ নিশ্চয়ই তারই কর্মফল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy