দিল্লি ডায়েরি।
নয়ডার টুইন টাওয়ার ভাঙার প্রস্তুতি তখন চূড়ান্ত। বিস্ফোরকের বোতাম টিপতে বাকি কেবল ঘড়ি ধরে পাঁচ মিনিট। তার মধ্যেই টুইন টাওয়ারের আকাশসীমায় উদয় এক যাত্রিবাহী বিমানের। দিল্লিতে নামার প্রস্তুতি নেওয়া বিমান বিস্ফোরণের অভিঘাতে সমস্যায় পড়বে কি না, তা নিয়ে তখন জোর আলোচনা। তার মধ্যেই হঠাৎ টুইন টাওয়ারকে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খেতে দেখা গেল একটি ড্রোনকে। টুইন টাওয়ারের ছাদের উচ্চতায় ওই ড্রোনকে দেখেই হইচই শুরু হয়ে যায় পুলিশ কর্তাদের মধ্যে। বিস্ফোরণ দেখতে উপস্থিত ভিড়কে জনে জনে প্রশ্ন করতে শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা। শেষে এগিয়ে আসেন এক ইউটিউবার। ড্রোনটি তাঁর শুনে তাঁকে প্রায় মারতে তেড়ে যান পুলিশ কর্মীরা। কার্যত মারের ভয় দেখিয়ে বিস্ফোরণের মিনিট খানেক আগে নামিয়ে আনা হয় ড্রোন। হাঁপ ছাড়েন উপস্থিত পুলিশ কর্তারা।
বাংলার শিল্প প্রদর্শনী
দক্ষিণ দিল্লির গ্যালারিতে হয়ে গেল ‘আর্ট অব বেঙ্গল’ শীর্ষক যৌথ প্রদর্শনী। যোগ দিলেন বাংলার প্রখ্যাত শিল্পীরা। ছিলেন যোগেন চৌধুরী, সনৎ কর, গণেশ হালুই, সমীর আইচ, সুনীল দে, গৌতম চৌধুরী, শমীন্দ্রনাথ মজুমদার, অমিতাভ ধর প্রমুখ। শিল্পী যোগেন চৌধুরীর কথায়, “দিল্লিতে সমসাময়িক বাংলার এত শিল্পী এবং তাঁদের কাজ এক সঙ্গে দেখার সুযোগ আগে কখনও হয়েছে বলে জানি না। শিল্পপ্রেমী দিল্লিবাসীর কাছে এই প্রদর্শনী যথেষ্ট আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে।”
গডকড়ীর স্বপ্নভঙ্গ?
নরেন্দ্র মোদীকে বিরোধীরা ঝুটো স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বলেন। সেই তুলনায় কংগ্রেসের অনেকেরই নিতিন গডকড়ীকে পছন্দ। স্বপ্ন ফেরিতে গডকড়ীও কম যান না। বলেন, দিল্লি থেকে মুম্বই ইলেকট্রিক হাইওয়ে তৈরি করবেন। ট্রামের মতো মাথার উপরের বিদ্যুৎবাহী তার থেকে আসা বিদ্যুতে সেই হাইওয়ে ধরে ট্রলিবাস, বিদ্যুৎচালিত ট্রাক ছুটবে। হাইড্রোজেনের জ্বালানিতেই গাড়ি, বাস চালানোর স্বপ্নও দেখান। যানজট কাটাতে বহুতল সড়ক বা রোপওয়ে করে বাস, ট্রাক তুলে নিয়ে যাওয়ারও দাবি করেন। অনেকেই মনে করেন, মোদীর মন্ত্রিসভায় সেরা মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। দ্রুত গতিতে জাতীয় সড়ক তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সেই নিতিন গডকড়ী সম্প্রতি বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন। কিছু দিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। নিতিন মোদীর মন্ত্রিসভা থেকেও বাদ যাবেন না তো! তা হলে ইলেকট্রিক হাইওয়ের স্বপ্ন দেখাবেন কে!
তাঁর বাংলোটি অক্ষত
রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পরে ছেলে চিরাগকে সরকারি বাংলো থেকে উৎখাত করা হয়েছে। অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর মন্ত্রিপদ ছাড়ায় তাঁকেও বড় বাংলো ছাড়তে হয়েছে। গুলাম নবি আজাদ গত বছর রাজ্যসভা থেকে অবসর নিলেও তাঁর বাংলো ও বাংলোর ভিতরে গোলাপবাগান অক্ষত। সেই বাংলোর বাইরে হাজির জম্মু-কাশ্মীরের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ রসুল ওয়ানি। নতুন দায়িত্ব পেয়ে গুলাম নবিকে মিষ্টি খাওয়াতে এসেছেন। কিন্তু বাংলোর গেট খুলল না। গুলাম নবি ও মিষ্টি খেতে চান না। কারণ, তাঁর পছন্দের নেতার বদলে রসুলকে সভাপতি করাতেই গুলাম নবির রাগ হয়েছিল। রসুল মিষ্টি নিয়েই ফিরে গেলেন। গুলাম নবিও কিছু দিনেই কংগ্রেস ছাড়লেন। কিন্তু বাংলো তাঁকে এখনও ছাড়তে হয়নি। সরকারি বাংলোতে বসেই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে গোপন মন্ত্রণা করে চলেছেন।
কৃষ্ণা বসুর প্রবন্ধমালা
কৃষ্ণা বসুর নেতাজিকে নিয়ে বাংলায় লেখা ১৮টি প্রবন্ধের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হল দিল্লিতে। প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ তথা কৃষ্ণা বসুর পুত্র সুগত বসু, অনুবাদক তথা কৃষ্ণা বসুর কনিষ্ঠ পুত্র সুমন্ত্র বসু। প্রবন্ধগুলিতে রয়েছে, নেতাজির সঙ্গে সমসাময়িক রাজনীতিবিদ নেহরু, গান্ধী থেকে তোজো এবং হিটলারের সঙ্গে সম্পর্ক, তাঁর জীবনে প্রভাববিস্তারী নারীদের কথা, আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সেনাদের কাহিনি।
বিচারকের প্রেম-কাহিনি
প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরের পরে এন ভি রমণা কী করবেন? সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কোনও গোপন সূত্রে সে খবর পেয়ে গিয়েছিলেন। রমণার বিদায় সংবর্ধনায় মেহতা রহস্য ফাঁস করে বললেন, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়ে রমণা তাঁর মাতৃভাষা তেলুগুতে রোম্যান্টিক উপন্যাস লিখতে চলেছেন। বিচারপতি রমণা মুচকি হেসে জানালেন, এই খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্টের মতোই ভুল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy