খাতায় কলমে সে দিন ছিল কর্মজীবনের শেষ দিন। কাজ শেষ করে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসেছিল স্নিফার ডগ জস্সি। প্রশিক্ষকের সঙ্গে এ বার চিরদিনের মতো ঘরে ফেরার পালা। কিন্তু বিমানবন্দরের বাইরের লনে একটি ব্যাগ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে এক পা নড়তে চায়নি জস্সি।
বিস্তর ধমকেও কাজ না হওয়ায় সন্দেহ জাগে প্রশিক্ষকের। ডাক পড়ে বম্ব স্কোয়াডের। মালিকানাহীন ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় বিস্ফোরক। গোয়েন্দাদের ধারণা, দিল্লি বিমানবন্দর উড়িয়ে দিতেই তা আনা হয়েছিল। কমর্জীবন শেষ করার পরেও জস্সির ওই নিষ্ঠা এনে দেয় সরকারি পুরস্কার। পরের দিন খবরের কাগজে জস্সির কাণ্ডকারখানা মনোযোগ দিয়েই পড়ছিলেন সারমেয়প্রেমী তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
জস্সির অবসর নেওয়ার কথা জেনেই ছোটেন সিআইএসএফ ক্যাম্পে। বিস্তর লেখালিখির পরে জস্সির মালিকানা হাতে পান তিনি। সংসদের অধিবেশন থাকলে এখন জস্সিই তৃণমূল সাংসদের অবসর কাটানোর সেরা সঙ্গী।
ভোটের রেসিপি?
তামিলনাড়ুর গ্রামের পরিবেশে জনা ছয় মিলে যত্ন করে রান্নাবান্না করছেন। গরিবদের বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখার জন্য ইউটিউবে ‘ভিলেজ কুকিং চ্যানেল’-এর ভক্ত কম নয়। তামিলনাড়ুতে ভোটের প্রচারের ফাঁকে রাহুল এই চ্যানেলের অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছেন। রান্নায় সাহায্য করেছেন। পেঁয়াজ, দইকে তামিলে কী বলে, শিখে নিয়েছেন। পাত পেড়ে বসে মাশরুম বিরিয়ানি খেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের তরুণ সাংসদ জ্যোতিমণি। তিনি দোভাষীর কাজও করেছেন। রাহুল জানিয়েছেন, তিনি সময় পেলেই এই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়ো দেখেন। রাহুলের সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, সবটাই রাজনৈতিক প্রচারের অঙ্গ।
আদা-দুধ খেয়ে
খাওয়ানোর ব্যাপারে বেঙ্কাইয়া নায়ডু-র সুনাম রাজধানীবিদিত। মন্ত্রী থাকার সময় বছরে এক বার অন্তত তাঁর বাংলোয় অন্ধ্রের বিশেষ ঘরানায় তৈরি চিংড়ি খেয়ে তারিফ করেননি এমন কোনও সমসাময়িক আমিষাশী নেতা বোধ হয় নেই! সম্প্রতি রাজ্যসভার সর্বদলীয় নেতাদের বৈঠকে বেঙ্কাইয়া নায়ডু আমদানি করলেন আদা দেওয়া গরম দুধ। তাতে গুড় বা চিনি— যার যেমনটা পছন্দ, তিনি তেমনটা মিশিয়ে পান করবেন। এর পর বাড়িতে তৈরি পিঠে পকৌড়া, সঙ্গে দক্ষিণ ভারতীয় অন্যান্য প্রাতরাশ। করোনার কারণে সাংসদরা এখন নতুন করে স্বাস্থ্যসচেতন হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই এই আদা-দুধ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁদের মধ্যে।
কোহালির দেখাদেখি
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ়ের মাঝেই বিরাট কোহালি দেশে ফিরেছিলেন। টেলিভিশন পর্দার কমেডিয়ান কপিল শর্মাও কাজ থেকে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন। ক্রিকেটার, বিনোদন জগতের তারকারা পিতৃত্বকালীন ছুটি নিলে রাজনীতিকরাই বা পিছিয়ে থাকেন কেন! সংসদের বাজেট অধিবেশন থেকে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন তেলুগু দেশমের লোকসভার দলনেতা রাম মোহন নায়ডু। স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন, সন্তান প্রসবের সময় স্ত্রী-র পাশে থাকতে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিচ্ছেন। অধিবেশন শুরুর পর দিনই ৩৩ বছরের রাম মোহন সুসংবাদ জানিয়েছেন। কন্যার বাবা হয়েছেন তিনি।
নতুন ভূমিকায়
তাঁর আগে কোনও মুসলিম আমলা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বসেননি। অবসরের দীর্ঘ দিন পরে কলম ধরেছেন এস ওয়াই কুরেশি। নরেন্দ্র মোদী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন জারি নিয়ে সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিলেন। সমাজের একাংশ পরিবার পরিকল্পনার ধার ধারেন না বলে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ। এই ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা, দেশের রাজনীতি ও জনসংখ্যার ‘মিথ’ নিয়েই কুরেশির বই। মুসলিমদের বিরুদ্ধে যত খুশি সন্তানের জন্ম দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও, আসলে ইসলামেই প্রথম ছোট পরিবারের কথা বলা হয়েছিল বলেও যুক্তি দিয়েছেন বইতে। বন্ধুমতে, রাজনৈতিক বিতর্কে তাঁর কলম রসদ জোগাবে।
যেতে পারি, কিন্তু...
কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা না করার প্রতিবাদে সম্প্রতি রাজ্যসভা থেকে গোটা বিরোধীপক্ষ কক্ষত্যাগ করলেন। কিন্তু নিজের আসনে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। সাংবাদিক গ্যালারিতে গুঞ্জন, পশ্চিমবঙ্গের ‘শুধু যাওয়া আসা’ সিরিজ়ে তবে কি নতুন সংযোজন হবে? পরে বোঝা গেল, তা নয়। প্রশ্নোত্তর তালিকায় দ্বিতীয় নামটিই তাঁর। এক সময়ে যা সামলেছেন, তাঁর সেই প্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংক্রান্ত প্রশ্ন। প্রশ্ন সেরে উত্তর পাওয়ার পরই দ্রুত কক্ষত্যাগ করলেন তিনি।
প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়, অনমিত্র সেনগুপ্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy