দিল্লিতে নতুন ইনিংস শুরু জিনি লি-র
রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে নতুন মুখপাত্র হিসাবে সম্প্রতি কাজে যোগ দিলেন জিনি লি। অতি সক্রিয়, বিদূষী এই মহিলা জন্মসূত্রে চিনা। এর আগে তিনি বেজিংয়ে মার্কিন তথ্য বিভাগের মুখপাত্র ছিলেন। এ বার এলেন নয়াদিল্লিতে। ডোকলামের পর চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নতুন কূটনীতি আবিষ্কার চলছে যখন, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চিন-রাশিয়া অক্ষ ভাঙতে ব্যস্ত, তখন ভারতে জিনি লি কি ভারত-চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া ত্রিভুজ রচনার কূটনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা নেবেন? আপাতত সাউথ ব্লকে জিনিকে নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তবে তাঁর অমায়িক ব্যবহারে সবাই খুশি।
দায়িত্বে: জিনি লি
দৌড়ে কে কে
এ বার সিবিআই প্রধান কে হবেন তা নিয়ে মোদী সরকারের ভিতরে গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে। পার্সোনেল মন্ত্রক যেমন সিবিআই প্রধানের নাম শর্টলিস্ট করছে, তেমনই এই মনোনয়নে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকাও এখন অনেকটাই। এনআইএ প্রধান ওয়াই সি মোদী, মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার সুবোধ জয়সওয়াল এবং গুজরাত পুলিশের ডিজি শিবানন্দ ঝা-র নাম অলোক বর্মার জায়গায় শোনা যাচ্ছে। অবশ্য এ সব নাম নিয়ে আলোচনা হলেও জোর গুজব, দিল্লির কোনও ‘ডার্ক হর্স’ও আসলে আছেন এই পদের জন্য। নাগেশ্বর রাওকেই স্থায়ী করে দেওয়া হবে না তো?
বইয়ের পাল্টা বই
বই প্রকাশের অনুষ্ঠান মানেই এখন দিল্লিতে মোদী সরকারকে আক্রমণের মঞ্চ। তা সে শশী তারুরই হোন বা মণীশ তিওয়ারি। একের পর এক কংগ্রেস নেতা, আমলার বই বেরোচ্ছে। সেই মঞ্চ থেকে মোদী সরকারকে নিশানা করা হচ্ছে। কখনও বই উদ্বোধনে যাচ্ছেন মনমোহন সিংহ। কখনও আবার আলোচনাসভায় বিরোধী দলনেতাদের আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপি। বিজেপি সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা এখনও সেই ভাবে রাজনৈতিক স্মৃতিকথা বা প্রবন্ধ সঙ্কলন করে উঠতে পারেননি। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর মতো কয়েক জন ব্যতিক্রম। চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদী সরকারের প্রশাসনিক সাফল্য নিয়ে বই প্রকাশ হল। তাতে অরুণ জেটলি মোদী সরকারের সাফল্যের গুণগান করে কংগ্রেসকেও ঠুকলেন। কিছুটা হলেও গায়ের ঝাল মিটল বিজেপি নেতাদের।
ছোটদের জন্য
ছেলে বই লিখেছেন গ্রামের অর্থনীতি নিয়ে। মা কলম ধরেছেন ছোটদের জন্য। বরুণ গাঁধীর দ্য রুরাল ম্যানিফেস্টো সদ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ বার মেনকা গাঁধীর ছোটদের বই দেয়ার’স আ মনস্টার আন্ডার মাই বেড প্রকাশিত হবে। ছোটবেলার ভূত, পোকামাকড়, ডাক্তারের ইঞ্জেকশনের মতো ভয় নিয়েই গল্প। তাঁর নাতনি, বরুণের চার বছরের কন্যা অনসূয়ার সঙ্গে গল্পগুজবই অনুপ্রেরণা, জানিয়েছেন মেনকা।
মন্ত্রী ও অটো
আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন। এখন বিমানমন্ত্রী, আবার মোদী সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকেরও ভার তাঁর হাতে। সেই সুরেশ প্রভু মুম্বই গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছন্দে অটোয় করে ঘুরে বেড়ান। সঙ্গে না কোনও কনভয়, না কোনও নিরাপত্তা বাহিনী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অটো-সফরের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমনিতেই সহজ সাধারণ পোশাকে অভ্যস্ত সুরেশ প্রভু নতুন করে প্রশংসা নিয়ে একেবারেই বিচলিত নন। বিমানেও খাবার কেনেন নিজের পয়সাতেই!
মাস্টারমশাই
সম্মানিত: সুধীর চন্দ
সেই কবে পাঠভবনের ছাত্র সুধীর চন্দ শান্তিনিকেতন থেকে চলে এসেছিলেন ঊষর আরাবল্লি পর্বতমালার দেশে। ষাট বছর কেটেছে রাজধানীতে। রবীন্দ্রচর্চাই ছিল তাঁর জীবন। গান গেয়েছেন, শিখিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সব গানের রাগ-তালের অভিধানগ্রন্থ রচনা করেছেন যা আজ সঙ্গীতপিপাসুদের হ্যান্ডবুক। সুধীরবাবু সম্প্রতি কলকাতা চলে গিয়েছেন। এক অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লিতে সম্মান জানাল ‘রবিগীতিকা’। স্মরণ করা হল আরও তিন সংস্থার প্রয়াত কর্ণধার সুনন্দা ঘোষ, অরূপ রায় ও সঞ্জয় সরকারকে। সুধীরবাবুর ছাত্রী জয়তী ঘোষ ছিলেন অনুষ্ঠানের নেপথ্যে। ‘উত্তরায়ণ’, ‘রবিমঞ্জুষা’, ‘ভানুতীর্থ’ ও ‘রবিগীতিকা’র ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল দু’দিনের এই অনুষ্ঠান।
ফুলের মুকুট
আজ আবেগতাড়িত হব না। স্ত্রী বলেছেন, আবেগতাড়িত হলে বাড়ি আসবে না। অবসরের দিন বললেন বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ। সুপ্রিম কোর্টে সহাস্য বিচারপতি বলে পরিচিত ছিলেন। আইনজীবীদের মত, ভোটাভুটি হলে তিনিই জনপ্রিয়তম বিচারপতির শিরোপা পাবেন। কেরলে বন্যার সময় ত্রাণ সংগ্রহে নেমে পড়েছিলেন। অবসরের দিন গল্প শোনালেন, বিচারপতি হতে মানা করে স্ত্রী বলেছিলেন, কাঁটার মুকুট পরছ। তাঁর মন্তব্য, বোধ হয় কাঁটার মুকুটকে ফুলের মুকুটে বদলাতে পেরেছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy