অদৃশ্য মুখ্যমন্ত্রী আর ‘সুপার সিএম’
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক লো-প্রোফাইল মানুষ। পারতপক্ষে দিল্লি আসেন না, খুব মেলামেশাও করেন না। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা বাজলেই তিনি সচিবালয় থেকে অদৃশ্য, বাড়ি ফিরে সময় কাটান। কিন্তু ওড়িশায় ‘সুপার সিএম’ বলা হয় যাঁকে, তিনি কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নন। তাঁর নাম ভি কার্তিকেয়ন পান্ডিয়ান। ওড়িশা ক্যাডারের এই অফিসার নবীনের ব্যক্তিগত সচিব, খুবই প্রিয়পাত্র। সচিবালয়ের চার তলায় ওঁর ঘর, তাই সবাই তাঁকে ডাকে ‘থার্ড ফ্লোর ম্যান’ বলে। বছর চুয়াল্লিশের পান্ডিয়ান ২০১১ সাল থেকেই নবীনের কাছে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব এলাকা গঞ্জামে তিনি জেলাশাসক ছিলেন। দারুণ কাজ করে, বিশেষত স্বনিযুক্তি প্রকল্পে গরিব মানুষকে চাকরি দিয়ে নবীনের নজর কাড়েন তিনি। তবে জয় পন্ডার বিদ্রোহের পিছনে পান্ডিয়ানেরও নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, এমন কথা চালু ওড়িশায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হলেও পান্ডিয়ান ওড়িয়া নন, তামিল। দিল্লিতে আপাতত আলোচনা, বিজেপির লোক যে সম্প্রতি পান্ডিয়ানের বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর করেছে, সেটা নাকি নবীনেরই কৌশল। ক্ষোভ বেশি বাড়লে তিনি পান্ডিয়ানকে সরিয়ে দেবেন! নিজে সামনে না এসেও এ এক অদৃশ্য কৌশলী চাল।
কৌশলী: নবীন পট্টনায়েক। ডান দিকে, ভি কে পান্ডিয়ান
এ বার মুক্তি
অবশেষে ১৪ অগস্ট অরুণ জেটলি মুক্তি পেতে চলেছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকদের ফরমান ছিল, তিন মাস ঘরে বিশ্রামে থাকতে হবে, নইলে সংক্রমণের আশঙ্কা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে কোনও ভাবে কমে না যায়, সে জন্যই এই কড়াকড়ি। এমনকি তাঁর মোবাইলটাও রাখা থাকে নার্সের কাছে। দিনে এক বার সব মেসেজ দেখানো হয়। খাওয়া নিয়ে অবশ্য বিধিনিষেধ নেই। চিকেন তন্দুরি অরুণের প্রিয় খাবার, সে-ও খাওয়া যাবে। তবে অতিরিক্ত মশলা দেওয়া খাবার বারণ। সারা দিনে এক জনের সঙ্গে কথা, তা-ও ভিডিয়ো-পর্দায় কথোপকথন। ১৪ অগস্ট দিনটা পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, সে দিনই অরুণেরও মুক্তি। তবে কি ১৫ অগস্ট লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে যাবেন? অরুণের খুব ইচ্ছে, কিন্তু শেষ কথা বলবেন চিকিৎসকরাই।
অচ্ছে দিন কব আয়েঙ্গে
নরেন্দ্র মোদীর প্রিয় স্লোগান ‘অচ্ছে দিন’ এ বার বলিউডের ছবিতে গান হয়ে আসছে| ছবির পরিচালক অতুল মঞ্জরেকর, প্রধান দুই চরিত্রে অনিল কপূর ও ঐশ্বর্য রাই। এ ছবিতে অনিল কপূর এক গরিব ট্যাক্সি ড্রাইভার, নিজের মেয়েকে গায়িকা বানাতে চান। একটি গানের দৃশ্যে অনিল গাইছেন: ‘মেরে অচ্ছে দিন কব আয়েঙ্গে?/ দো রোটি অউর এক লঙ্গোটি, এক লঙ্গোটি অউর উও ভি ছোটি!/ ইসমে কহাঁ বদন ছুপায়েঙ্গে!/ মেরে অচ্ছে দিন কব আয়েঙ্গে?/ অচ্ছে দিন অচ্ছে দিন অচ্ছে দিন, না জানে ওহ্ কব আয়েঙ্গে!’ গান গেয়েছেন ইরশাদ কামিল, ছবিটা মুক্তি পেতে চলেছে খুব শিগগির।
বঙ্গু বিরিয়ানি
সুস্বাদু: বাঁশের পাত্রে বঙ্গু বিরিয়ানি
অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে দু’টুকরো হয়েছে সে অনেক দিন হল। এক দিকে হায়দরাবাদ, অন্য দিকে অমরাবতী। রাজধানীর ইন্ডিয়া গেটের কাছে প্রাসাদোপম ‘অন্ধ্র ভবন’ও দু’ভাগ হয়েছে। সরকারি অতিথিশালাই শুধু নয়, অন্ধ্র ভবনের বিখ্যাত ভোজনালয়টিও মাঝখানে পার্টিশান দিয়ে দু’ভাগ করা হয়েছে। এ দিকে মুশকিল হয়েছে বিরিয়ানির অধিকার নিয়ে। হায়দরাবাদি জাফরানি বিরিয়ানি খুব জনপ্রিয় পদ, সে চলে গিয়েছে তেলঙ্গানার দখলে। তা হলে চন্দ্রবাবু কী করবেন? মুশকিল আসান করতে অন্ধ্র পর্যটন বিভাগ পাল্টা চালু করেছে অমরাবতীর স্পেশ্যাল ‘বঙ্গু বিরিয়ানি’। ওটা আবার কী বস্তু? বেঙ্কাইয়া নায়ডুর প্রশ্ন, ওটা ‘বঙ্গু’, মানে বাংলার বিরিয়ানি নয়? জানা গেল, তেলুগু ভাষায় ‘বঙ্গু’ মানে বাঁশ। বাঁশের লম্বা, মোটা মোটা গেলাস-আকৃতির পাত্রে পরিবেশন করা স্পেশাল বিরিয়ানিই হল বঙ্গু বিরিয়ানি | আপাতত বঙ্গু বিরিয়ানিও সুপারহিট!
কী হবে
রামকিঙ্কর বেজ-এর গড়া আটটি মূর্তি আছে শান্তিনিকেতনে। কয়েকটির মাথার ওপর শেড, কয়েকটিতে নেই। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন গিয়ে সেগুলি দেখেন সংস্কৃতি সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ। ভাস্কর্যগুলি উন্মুক্ত থাকলে দেখতে সুন্দর লাগে, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কমিটির রিপোর্ট, দূষণ, ঝড়-জল রোদ্দুরে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। একটা প্রস্তাব এসেছে, রামকিঙ্করের নামে একটা আলাদা মিউজ়িয়াম হোক, শিল্পীর সব কাজ সেখানে রাখা হোক। প্রস্তাবটি রাঘবেন্দ্রের মনে ধরেছে। আর একটা মত, মূর্তিগুলির ব্রোঞ্জ কাস্টিং হোক, তাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা সারানো যাবে। দিল্লিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে রামকিঙ্করের বানানো যক্ষ-যক্ষীর মূর্তি আছে বাইরেই, কিন্তু দু’টি মূর্তিই খুব যত্নে রাখা।
জয়ন্ত ঘোষাল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy