—প্রতীকী ছবি
নতুন বছরের গোড়াতেই শান্তিপুরের বিভিন্ন অংশে নদী-ভাঙন রোধের কাজ শুরু হবে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকার দরপত্র ডাকা ও সংস্থা বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। জানুয়ারি মাসেই কাজ শুরু করতে চাইছেন সেচকর্তারা।
শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর সাড়াগড়, স্টিমার ঘাট সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া, গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর, বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিহারিয়ার মতো এলাকা সাম্প্রতিককালে একধিক বার ভাঙনের কবলে পড়েছে। চাষের জমি, ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন- সঙ্কটের মুখে শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসভার জল প্রকল্পের ইনটেক পয়েন্টও। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি ভাঙনের জেরে একাধিক বাড়ি তলিয়ে গিয়েথে নদীগর্ভে।
গ্রামীণ শান্তিপুর এবং শহরাঞ্চলে ভাঙন-কবলিত এলাকায় সেচ দফতরের তরফে বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ভাঙন আটকানোর কাজ করা হয়েছে। তবে তাতে ফল হয়নি। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন বারবার। মাস কয়েক আগে শান্তিপুরের ভাঙন-কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন জেলা সভাধিপতি এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই সময়েই ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, শান্তিপুরের ভাঙন-কবলিত এলাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন রোধের কাজ করা হবে। তা হবে পরিকল্পনামাফিক স্থায়ী কাজ। দু’টি পর্যায়ে এই কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ে নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় নদী গর্ভে যে সব এলাকায় বড়-বড় গহ্বর তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করে ভরাট করার ব্যবস্থা করা হবে। তার পরে নদী পাড়ের এলাকা বাঁধানোর কাজ হবে।
বোল্ডারের পাশাপাশি হাই ডেনসিটি পলিব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে এই কাজে। নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, “ভাঙন রোধের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেখানে কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy