Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
book review

মননের আশ্চর্য রসদ

বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ তৈরিতে বঙ্গ-ভারতীয় সাহিত্যে আগ্রহী জন বিমসের ভাবনাটি কী ভাবে কাজ করেছিল, তাঁর সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের যোগাযোগের সূত্রটিই বা কী, এমন নানা তথ্যের হদিস মিলবে এই সংখ্যায়।

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২৮
Share: Save:

পরিচয়

শারদ ১৪২৯

সম্পা: অভ্র ঘোষ

২৫০.০০

অরিন্দম চক্রবর্তীর কবিতা ‘দুটি দার্শনিক অক্ষরবৃত্ত’, সৌরীন ভট্টাচার্যর ‘রূপনারাণের খেয়া’, সুদীপ্ত কবিরাজের ‘রবীন্দ্রনাথের দুঃখের দর্শন: দুঃখ, করুণা, বিশ্রান্তি’, দীপেশ চক্রবর্তীর ‘গ্লোবায়ন ও ইতিহাসভাবনার বর্তমান সংকট’, শোভনলাল দত্তগুপ্তর ‘গণতন্ত্র এই সময়ে: প্রহেলিকা না প্রহসন?’ এই সব প্রবন্ধ যদি কোনও পত্রিকা-সংখ্যার দুই মলাটে ধরা থাকে, তবে তা অবশ্যপাঠ্য তালিকায় ঢুকে পড়বেই। দুঃখকে রেটরিক বা দেখবার ভঙ্গি বলে রবীন্দ্রভাবনার পুনর্মূল্যায়ন, রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবাদ ও আধ্যাত্মিক ভাবনার কাব্যপথ পরিক্রমা, মানুষের ইতিহাসবোধের সঙ্কীর্ণ বর্তমান-মনস্কতা— অত্যন্ত বিশেষ প্রাপ্তি। এর সঙ্গে আশীষ লাহিড়ীর ‘ধর্ম, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, চীন’, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজা থেকে নাগরিক: বামপন্থী রাজনীতির পুনরুদ্ধার’, সোমেশ্বর ভৌমিকের (মান্টো-র) ‘অবহেলিত খোলা চিঠির গুচ্ছ’, কুমার রাণার ‘খাণ্ডবদহনের সর্বনাশ থেকে প্রকৃতিস্থ হওয়ার পথ’— মননশীল প্রবন্ধগুলি পাঠককে সমৃদ্ধ করে। কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্তর ‘নিশিকান্ত রায়চৌধুরীর জীবন ও গানের এক পর্ব’ নিয়ে আসে এক অজানা ইতিহাস। অমর মিত্র, ভগীরথ মিশ্র, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়, সাধন চট্টোপাধ্যায়, সেলিনা হোসেন এবং আরও অনেকের গল্প এই সংখ্যায়। বেশ কিছু কবিতাও।

বঙ্গদর্শন

বিংশতিতম সংখ্যা

সম্পা: রতনকুমার নন্দী

২৫০.০০

বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ তৈরিতে বঙ্গ-ভারতীয় সাহিত্যে আগ্রহী জন বিমসের ভাবনাটি কী ভাবে কাজ করেছিল, তাঁর সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের যোগাযোগের সূত্রটিই বা কী, এমন নানা তথ্যের হদিস মিলবে এই সংখ্যায়। বঙ্কিম-জীবন ও সাহিত্যের অনুবাদ নিয়ে মনোজ্ঞ প্রবন্ধ, পাশাপাশি লোকশিল্প, মতুয়া আন্দোলন-সহ নানা বিষয়ে প্রবন্ধ রয়েছে। পুনর্মুদ্রিত হয়েছে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত রেজাউল করিমের ‘বঙ্কিমচন্দ্র ও মুসলমান সমাজ’ প্রবন্ধটিও। ‘প্রয়াণলেখ’ বিভাগে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শঙ্খ ঘোষকে।

অনুষ্টুপ

শারদীয় ২০২২

সম্পা: অনিল আচার্য

৫০০.০০

“কী নবীন মার্কস আর কী প্রবীণ মার্কস কেউই শিল্প-সাহিত্যের নামে খেলো জিনিসের কদর করতেন না। প্রাকৃতিক বস্তু ও মানুষের সৃষ্টি— দু-এর ক্ষেত্রেই মার্কস চাইতেন চর্চিত রুচি।” ‘মার্কস-এর সংস্কৃতি-ভাবনা’ নিবন্ধে লিখেছেন রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। মার্ক্স-ভাবনার সে কাল ও এ কাল সম্বন্ধে লিখেছেন শোভনলাল দত্তগুপ্ত। ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি ও অসাম্য বিষয়ে মৈত্রীশ ঘটক, নৃশংসতা প্রসঙ্গে অরিন্দম চক্রবর্তী, সমাজমাধ্যম ও গণতন্ত্রের সম্পর্ক নিয়ে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়, পপুলিজ়ম বা জনবাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক বিষয়ে শিবাজীপ্রতিম বসু, হিন্দুত্বের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে রংগন চক্রবর্তী, দুর্নীতির অর্থনীতি বিষয়ে অচিন চক্রবর্তী প্রমুখের লেখা উল্লেখযোগ্য। অনিতা অগ্নিহোত্রী লিখেছেন নর্মদা আন্দোলনের কথা, প্রকাশিত হয়েছে দীপেশ চক্রবর্তীর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার।

এবং মুশায়েরা

বৈশাখ-আষাঢ় ১৪২৯

সম্পা: সুবল সামন্ত

৫৫০.০০

বিমল করকে নিয়ে ক্রোড়পত্র, তাতে ছোটগল্পের নতুন রীতি আর উপন্যাস-ভাবনা নিয়ে বিমল করের পুরনো রচনার উজ্জ্বল উদ্ধার। তাঁর ব্যক্তিজীবন, সাহিত্যিক ও সম্পাদক সত্তা, গল্প-উপন্যাসের আলোচনা উজ্জ্বলকুমার মজুমদার, পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়, বাণীব্রত চক্রবর্তী, অহনা বিশ্বাস, শুভ্রা চৌধুরী, স্বস্তি মণ্ডল প্রমুখের কলমে। “দেওয়াল-কে সবদিক থেকেই... মহাকাব্যিক উপন্যাস বলে মনে হয়েছে,” লিখেছেন গোপা দত্ত ভৌমিক। বিশিষ্ট কবিদের কবিতা-আলোচনার ক্রোড়পত্র এ সংখ্যায়, এ ছাড়া প্রবন্ধে নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ছোটগল্প নিয়ে আলোচনা রবিন পালের কলমে, আলোচনা ননী ভৌমিক, সুবোধ ঘোষ, গৌরকিশোর ঘোষের কথাসাহিত্য নিয়েও।

ভূমধ্যসাগর

শ্রাবণ ১৪২৯

সম্পা: জয়া মিত্র

১৫০.০০

বন্ধুবর প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে গিয়েছেন শিবরাম চক্রবর্তী। পাথরে পা কেটে রক্তারক্তি। তার পর, সেই পাথর থেকেই তৈরি হল গল্প ‘দেবতার জন্ম’। সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ‘প্রকৃত মিত্র-সংবাদ’ নিবন্ধে শিবরাম-‘পেমেন’ বন্ধুত্বের কথা লিখেছেন। কল্লোল লাহিড়ীর কলমে কোভিডে মা-মরা এক ছেলের সত্যি অভিনয়ের গল্প ‘এক্সট্রা’। পাবলো নেরুদা ও গৌরকিশোর ঘোষকে নিয়ে রয়েছে দু’টি ক্রোড়পত্র— নাজেস আফরোজের লেখায় সাংবাদিক গৌরকিশোর, মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করেছেন ভাগলপুর-দাঙ্গার পরে গৌরকিশোরের ভূমিকার। সম্পাদকীয় নিবন্ধে উঠে এসেছে জমি-জল-জঙ্গল দখল করে নেওয়ার ধনতান্ত্রিক প্রবণতার বিপদের কথা।

১৭৭৮ গ্রন্থচর্চা

নবপর্যায় ১

সম্পা: অশোক উপাধ্যায়

৫০০.০০

বই চিনি কী প্রকারে? সরু বই, মোটা বই, বেঁটে বই, লম্বু বই, চামড়া-বাঁধানো কিংবা চটি বই, ছবিওলা বা নীরস অক্ষর-সাজানো বই, কত যে তরিকা তার অন্ত নেই। অধিকাংশ মানুষই অল্প কয়েক ধরনের বই নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেন। অথচ সারা পৃথিবীর বই-সংসারের হাজারো খুঁটিনাটি জানতে অনেকেরই ইচ্ছে করে। সে সব জানার উপায় কী? ইংরেজিতে বই-চর্চার কত না বই-পত্রিকা, বাংলাতেও তেমন উদ্যোগ ১৭৭৮ গ্রন্থচর্চা (চার্বাক প্রকাশনী)। নীরদ সি চৌধুরী থেকে স্বপনকুমার, রবীন্দ্রনাথের দুর্লভ সচিত্র জার্মান অনুবাদ থেকে সঙ্গীততরঙ্গের অদেখা ছবি— বই-রসিকের আনন্দযজ্ঞ।

ধ্রুপদী এষণা

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত বিশেষ সংখ্যা

সম্পা: সৌরেন সমাজদার

৬০০.০০

ধর্মজীবন-দর্শন-তত্ত্বের নির্যাসই নয় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, গৃহস্থ থেকে জীবনজিজ্ঞাসু সকলের ব্যবহারিক গ্রন্থও। ভক্তি ও যুক্তির দুই পরিসর থেকে কথামৃতের নানা দিক-আঙ্গিক আলোচ্য হয়ে উঠেছে এ পত্রিকায়। উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত কথামৃত-বিষয়ক ‘দুষ্প্রাপ্য’ নিবন্ধের পুনর্মুদ্রণ— কথামৃত নিয়ে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী ও আশাপূর্ণা দেবী, রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখার পাশাপাশি এ কালের কথামৃত-মূল্যায়ন: রামকৃষ্ণ-পার্ষদদের দৃষ্টিতে কথামৃত, পাশ্চাত্যে কথামৃত চর্চা, অস্তিত্ববাদ ও মরমিয়াবাদ; খ্রিস্টের শৈলোপদেশ, সূত্রপিটক, গীতা কোরানের আলোয় ফিরে দেখা।

কোরক

শারদীয় ২০২২, ভ্রমণ ও ভ্রমণসাহিত্য

সম্পা: তাপস ভৌমিক

২৫০.০০

বাঙালির ভ্রমণ ও ভ্রমণসাহিত্যের আলোচনায় সেজে ওঠা এই শারদ সংখ্যায় চারটি বিভাগ: ভ্রমণসাহিত্যের গোড়ার উপাদান, বাংলা ভ্রমণসাহিত্যে হিমালয়/তীর্থভূমি, রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ এবং বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের চিরায়ত সম্ভার। ভাবনা ও রোমাঞ্চের অঢেল রসদ, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় জলধর সেন প্রবোধকুমার সান্যাল উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সৈয়দ মুজতবা আলী এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ, সবাইকে ছুঁয়ে যাওয়া। পুনর্মুদ্রণে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আমার ভ্রমণ’, রমাপদ চৌধুরীর ‘কৈশোরের ভ্রমণ: বিষ্ণুপুর’ ফিরে পড়তে ভাল লাগে।

সাহিত্যমেলা

বিভাগোত্তর পূর্ব-পশ্চিম বাংলা সাহিত্য, ১৩৫৪-১৩৫৯

সংগ্রহ ও ভূমিকা: অভীক মজুমদার

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি

২০০.০০

শান্তিনিকেতন থেকে ১৮৭৯ শকাব্দে প্রকাশিত সাহিত্যমেলা, সেই সমগ্র সঙ্কলনটিরই পুনর্মুদ্রিত সংস্করণ, “যেখানে সংকলিত হয়েছে দেশবিভাগ-সহ আমাদের যে-স্বাধীনতা, তার পরবর্তী পাঁচ বছরের দু-পার বাংলার সাহিত্যের দিকে ফিরে দেখা অনুভব ও বিস্তার।” জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু, আকাদেমির সভাপতি। অভীক মজুমদারের ভূমিকা: “১৯৪৭, ১৯৭১ আর ২০২২ একটি অচ্ছেদ্য সূত্রে গ্রথিত হল।” এই প্রতিলিপি সংস্করণটিতে যেন হীরকদ্যুতি— লোকসাহিত্য, শিশুসাহিত্য, কাব্য ও নাট্যসাহিত্য, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধসাহিত্য নিয়ে লিখেছেন দুই বাংলার মনস্বীরা।

কবিতীর্থ

আশ্বিন ১৪২৯

সম্পা: অমলকুমার মণ্ডল

৫৫০.০০

গত বছর প্রয়াত, সম্পাদক উৎপল ভট্টাচার্য স্মরণে শ্রদ্ধালেখ প্রকাশ করেছে কবিতীর্থ, পত্রিকার চল্লিশ বছরে। তিনটি বিশেষ ক্রোড়পত্র, প্রধান আকর্ষণ দ্বিশতবর্ষে ফিয়োদর দস্তয়েভস্কি— তাঁর উপন্যাস পুওর ফোক, উপন্যাসিকা হোয়াইট নাইটস ছাড়াও উপন্যাসাংশ ছোটগল্প প্রবন্ধ ডায়েরি এবং স্ত্রী আনা গ্রেগোরেভনার স্মৃতিচারণের অনুবাদ, সঙ্গে একগুচ্ছ মৌলিক ও অনুবাদ-নিবন্ধে বিশ্ববিশ্রুত লেখকের মূল্যায়ন। জন্মশতবর্ষে আলোচিত হোসে সারামাগোর সাহিত্যকৃতি, এবং কবি রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরীও: দশটি নির্বাচিত কবিতা, এবং নিবন্ধে। মণীন্দ্র গুপ্তের ‘রমেন্দ্রকুমার ও আমরা’— অপূর্ব।

সংবর্তক

ভাষাতত্ত্ব বিশেষ সংখ্যা-১

সম্পা: সৌরভ রঞ্জন ঘোষ

২৫০.০০

সময়ের সঙ্গে বদলেছে মানুষের ভাষাচিন্তার মেথডলজি; ফিললজি থেকে লিঙ্গুয়িস্টিক্স, বা আজকের ভাষাবিজ্ঞানের বহুবিস্তারী শাখাগুলি তারই চিহ্নবহ। ভাষাতত্ত্বের গণ-চর্চার দিকটিও জরুরি— ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক, রাজনীতির নিরিখে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ভাষার বিজ্ঞান তত্ত্ব দর্শন নিয়ে প্রবন্ধগুচ্ছ: রবীন্দ্রনাথ, দীনেশ সেন, সুনীতিকুমার, সুকুমার সেনের ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব-ভাবনা, ‘মেয়েদের’ ভাষা, পাণিনির ব্যাকরণ-ঐতিহ্য থেকে আজকের ‘নেটনিবাসী বঙ্গভাষী’, বাংলা স্বরোচ্চতাসাম্য, বিদেশি নামের প্রতিবর্ণীকরণে বানান উচ্চারণ ও যতিচিহ্নের ভূমিকা, বিপন্ন ভাষা, ভাষামিশ্রণ, স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান ও মনোভাষাবিজ্ঞানের আলোচনা। অন্তে সাময়িকপত্রে ভাষা ও ভাষাতত্ত্বচর্চার খসড়া-পঞ্জিটি খুবই কাজের।

বইকথা

বৈশাখ ১৪২৯

সম্পা: অনিতা অগ্নিহোত্রী

২০০.০০

শুধু বই নিয়েই একটি পত্রিকা কেন? সম্পাদকীয় নিবন্ধ বলছে, এমন একটি পরিসরের আশায়, “যেখানে ৪০০ পাতার উপন্যাসের আলোচনা লিখতে হবে না ৩৫০ শব্দে... সাতটা কবিতার বই তাওয়ার উপর রাখা পরোটার গোছার মতো করে সেঁকা হবে না।” সত্যিই অনেকখানি জায়গা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন বইয়ের, যার মধ্যে যেমন আছে সদ্যপ্রকাশিত উপন্যাস, গবেষণাধর্মী গ্রন্থ বা কাব্যগ্রন্থ, তেমনই আছে পুরনো প্রিয় বই বিষয়ে লেখাও। রয়েছে তিনটি অনুবাদের সমালোচনাও। শুধু বাংলা বইয়ের আলোচনাই কি থাকবে ভবিষ্যতেও, না কি যুক্ত হবে অন্য ভাষার বইয়ের কথা?

কথা সোপান

শারদ সংখ্যা ১৪২৯

সম্পা: সুস্মিতা জোয়ারদার মুখোপাধ্যায়

৫০০.০০

নদী, ফিয়োদর দস্তয়েভস্কি এবং হারিয়ে যাওয়া পেশা— এই তিনটি শীর্ষকের ক্রোড়পত্র নিয়ে সংখ্যাটি। সেই সঙ্গে, প্রবন্ধ বিভাগটি রাজেন্দ্রলাল মিত্র, সরলাদেবী চৌধুরানীর মতো ব্যক্তিত্বের আলোচনার পাশাপাশি, ‘জেলের ডায়েরি’ বা ‘সেলেব-সংযোগ’-এর মতো ব্যক্তিগত নানা অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজানো। এ সবের পাশাপাশি, ‘বিশেষ প্রবন্ধ’ বিভাগটিতে সাম্প্রতিক সময়ের শ্রীলঙ্কা, ইউক্রেন-সঙ্কটকে অন্য ভাবে দেখার চেষ্টা রয়েছে। রয়েছে গল্প, কবিতা, গুচ্ছ কবিতার মতো বিভাগও।

গহন

তত্ত্ব ও বাংলা সাহিত্য

সম্পা: মোস্তাক আহমেদ

৫০০.০০

“বাংলা তত্ত্বসাহিত্য বিকশিত হয়েছে কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও শঙ্খ ঘোষের অবদানে। আর সব্যসাচী কথাকার দেবেশ রায়ের চিন্তাপ্রসূ বয়ানের অজস্রতায়...” লিখেছেন তপোধীর ভট্টাচার্য। তত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা, মার্ক্স থেকে বাখতিনের তত্ত্বের উৎস ও ভিত্তি, বাংলা সাহিত্যে তত্ত্বের ব্যবহার, তত্ত্বের নানা দিক আবিষ্কার... এমন বিবিধ ভাবনায় ঋদ্ধ পত্রিকাটি। পবিত্র সরকার, স্বপন চক্রবর্তী, আবুল বাশার, শিবাজীপ্রতিম বসু, শাহযাদ ফিরদাউস, সৌমিত্র বসু, সুমন গুণ, অরূপকুমার দাস, সুমিত চক্রবর্তী, শেখ মকবুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, শহীদ ইকবাল প্রমুখ লিখেছেন সাহিত্য সমালোচনার তত্ত্ব ও প্রয়োগ নিয়ে।

পরম্পরা

উৎসব ১৪২৯

সম্পা: গৌতম দাশ

৪০০.০০

‘রবীন্দ্র জিজ্ঞাসুর ডায়ারি’ লিখেছেন তপোব্রত ঘোষ, রবীন্দ্র-সৃষ্টিবিশ্ব ছেনে কখনও গানের পাঠান্তর, কবিতা বা চিঠির অংশ ছুঁয়ে ভাবনার উড়ান, তথ্য পেশ। ইটালীয় চিত্রগ্রাহক ভাস্কো আস্কোলিনির ছবির সঙ্গতে চিন্ময় গুহের লেখা ‘আজি বিজন ঘরে, মৃত্যুকুয়াশায়’, ভবেশ দাশের স্মৃতিচারণে শঙ্খ ঘোষ, মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন ‘আমি, আমরা এবং রবীন্দ্রনাথ’। প্রবন্ধের সুখপাঠের অনুভব কবিতা অনুবাদ-কবিতা উপন্যাস গল্প নাটকে, ভ্রমণ বিজ্ঞান শিল্প-বিষয়ক একগুচ্ছ নিবন্ধেও।

পাঠকই কবিতা

মুখোমুখি শঙ্খ ঘোষ, অগ্রন্থিত অপ্রকাশিত

সম্পা: সন্দীপন চক্রবর্তী

৫০০.০০

তাঁর লেখা এবং তাঁকে নিয়ে লেখা বইয়ে, পত্রিকায় ছড়িয়ে আছে শঙ্খ ঘোষের বেশ কিছু সাক্ষাৎকার, যার আয়নায় ভেসে ওঠে তাঁর মননের অবয়ব। আবার তাঁর নিজের বইয়ে নয়, অন্য কোনও সঙ্কলনগ্রন্থ, পুরনো পত্রিকার পাতা বা আন্তর্জালে ছড়িয়ে আছে কিছু। সেগুলি থেকেই মোট পঁয়ত্রিশটি সাক্ষাৎকার বেছেছেন সম্পাদক। অধিকাংশই পুনর্মুদ্রণ, কিন্তু নির্বাচন ও গ্রন্থনার দুরূহ কাজটি করে বাঙালি পাঠকের হাতে দুই মলাটে তুলে দেওয়ার কাজটি কম নয়: শঙ্খ ঘোষের নেওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার (রবীন্দ্রনাথের কাল্পনিক সাক্ষাৎকার-সহ), রবীন্দ্রনাথ ও অন্য নানা বিষয়েও শঙ্খ ঘোষের সাক্ষাৎকার, ইংরেজিতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার রয়েছে। সেই সঙ্গে সম্পাদকের নেওয়া, এ-যাবৎ অপ্রকাশিত একটি বড় সাক্ষাৎকারও, অসমাপ্ত। এই সবই তাঁর ‘চিন্তার একটা সামগ্রিক মানচিত্র’ ছোঁয়ার প্রয়াস।

অন্য বিষয়গুলি:

book review Book
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy