—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
টোটোচালকদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই এই নীতি প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। চালকদের লাইসেন্স এবং টোটোর রেজিস্ট্রেশন চালু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে পরিবহণ দফতর সূত্রে। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে টোটো সংক্রান্ত নীতি তৈরির কথা বলেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা টোটোর উপর নির্ভরশীল। মফস্সল এলাকাগুলিতে কর্মসংস্থানের একটি পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে টোটো। তবে টোটোর চলাচল নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল পরিবহণ দফতরে। জাতীয় সড়কে তা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার একটি সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরি করতে চায়, যাতে চালকদের স্বার্থরক্ষা হয় এবং সড়ক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায়। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নীতি প্রণয়নের আগে সমস্ত পুরসভা এবং পুলিশ- প্রশাসনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। টোটোর জন্য নির্দিষ্ট রুট, চালকদের প্রশিক্ষণ এবং যাত্রী সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলিও নীতির আওতায় আনা হবে।
পরিবহণ দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় সব জেলাতেই টোটোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই পরিবহণ দফতর মনে করছে, এখনই তাদের একটি নিয়মনীতির মধ্যে বাঁধা উচিত। তার ফলে এক দিকে টোটো পরিষেবার রাশ যেমন দফতরের হাতে থাকবে, তেমনই সুষ্ঠু নীতি তৈরি হলে টোটোচালকদের আর সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের যত্রতত্র বেআইনি ভাবে টোটো তৈরি হচ্ছে বলে পরিবহণমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। জেলার বিভিন্ন লেদ কারখানায় অবৈধ ভাবে এই টোটো তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে দিয়ে এ রকম বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সংক্রান্ত নীতি তৈরি হয়ে গেলে টোটো তৈরির জন্য পরিকাঠামোও তৈরি করার দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্য সরকারের উপরে। তাই নীতি প্রণয়নের পর টোটো তৈরির জন্য কারখানা কী ভাবে করা যায়, তা নিয়েও ভাবতে হবে রাজ্য সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy