Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

বালুচরি: বাংলার গৌরবময় বস্ত্রশিল্প

বইয়ে এ দেশের ব্যক্তিগত সংগ্রহের কয়েকটি ছবি রয়েছে। তাই কী নেই ভেবে আপশোস না করে কত কী পেলাম তার জন্য তাঁদের অকুণ্ঠ সাধুবাদ।

অদ্বিতীয়: বালুচরি শাড়িতে নকশা। কৃষ্ণা রিব্যু সংগ্রহ, মুজ়ে গিমে, প্যারিস

অদ্বিতীয়: বালুচরি শাড়িতে নকশা। কৃষ্ণা রিব্যু সংগ্রহ, মুজ়ে গিমে, প্যারিস

শ্যামলী দাস
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫২
Share: Save:

বালুচর, বালুচরি বা বালুচরি বুটিদার— যে নামেই ডাকা হোক, চোখের সামনে ভেসে উঠবে মুর্শিদাবাদের এক অভিনব ধরনের রেশমি শাড়ি। তার চওড়া আঁচলায় রকমারি নকশায় বাদশা-বেগম, সাহেব-মেম, হাতি ও ঘোড়ায় চড়া দেশি ও বিদেশি নারীপুরুষ। আলবোলার নল মুখে বা ফুল হাতে নিয়ে নবাব ও বেগম, রেলগাড়ি, পেডাল স্টিমার, ঘোড়ার গাড়ি, শিকার ইত্যাদি নানা ধরনের ছবি। মুঘল যুগে মখমল বা কিংখাপে, পরে বেনারসি, গুজরাতি বা পৈঠানি শাড়িতে কখনওসখনও মানুষজন, পশুপাখি বা শিকারের নকশা দেখা গেলেও তা একান্তই ব্যতিক্রমী। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত, কমবেশি দেড়শো বছর ধরে মুর্শিদাবাদের নকশাকার ও বয়নশিল্পীরা একের পর এক যত ধরনের নকশা তৈরি করেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর। অথচ আমরা বাংলার এই গৌরবশালী বস্ত্রশিল্প সম্পর্কে কতটুকু জানি?

১৮৯৪ সালে ‘জার্নাল অব ইন্ডিয়ান আর্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এ একটি প্রবন্ধ ও ১৯০৩ সালে প্রকাশিত একটি মনোগ্রাফে বাবু নিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় যা লিখে গিয়েছেন, আমাদের জ্ঞান বাস্তবপক্ষে তার চেয়ে খুব বেশি দূর এগোয়নি। উনি যখন মুর্শিদাবাদের রেশম শিল্প নিয়ে বিস্তারে ফিল্ড-সার্ভে করছেন, তখনই বালুচরির অন্তিম দশা— মাত্র একজন বয়নশিল্পী, দুবরাজ দাস তখনও লড়ে যাচ্ছেন। অত পরিশ্রম করার লোক নেই, তৈরি করার মেহনতের দাম দেওয়ার বাজার নেই, মানুষজন সস্তার চোখ ধাঁধানো বেনারসিতে খুশি। দুবরাজের মৃত্যুর পর মুর্শিদাবাদের বালুচরিতে যবনিকা পড়ে যায়।

অনেক কাল আগে মিউজ়িয়োলজি পড়ার সময় আশুতোষ মিউজ়িয়মে বালুচরি শাড়ির ডিজ়াইন দেখে যেমন আশ্চর্য হয়েছিলাম, মনের কোণে প্রশ্নও জমেছিল অনেক। পরে, দেশে ও বিদেশে গালিচা ও বস্ত্রশিল্পের ভাণ্ডার দেখতে গিয়ে লন্ডন, প্যারিস, বাজ়েল (সুইৎজ়ারল্যান্ড), নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস-এর মিউজ়িয়মে ও ব্যক্তিসংগ্রহে বালুচরি দেখে আরও আগ্রহ বেড়েছে। প্রশ্নের বোঝা জমেছে। তাই অল্প ক’বছরের ব্যবধানে বালুচর নিয়ে দুটি প্রদর্শনী ও তিনটে বই চিন্তার রসদ জুগিয়েছে। বিশেষ করে প্রফুল্ল ও শিল্পা শাহের ‘তাপি’ কালেকশনের ৩৪টি বাছাই করা বালুচরির প্রদর্শনী— মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি সংগ্রহালয়ে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ও তার ক্যাটালগ— ‘সাহেব, বিবি, নবাব: বালুচর সিল্কস অব বেঙ্গল ১৭৫০-১৯০০’।

বালুচর্‌স্‌/ দি উভ্‌ন ন্যারেটিভ সিল্কস অব বেঙ্গল
জসলিন ধমিজা
২৫০০.০০
উইভার্স স্টুডিয়ো রিসোর্স সেন্টার ও নিয়োগী বুকস

আলোচ্য বইয়ের মুখবন্ধে জেএনইউ-এর অধ্যাপিকা কবিতা সিংহ একটি সময়োপযোগী প্রশ্ন তুলেছেন যে, আমাদের গৌরবান্বিত বস্ত্রশিল্পকে কেন শিল্পতাত্ত্বিকরা ‘কারুশিল্প’ বলে দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত করেছেন। যে শিল্পের জন্য আমাদের এ রকম দুনিয়াজোড়া খ্যাতি; নান্দনিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক ও ক্রিয়া-পার্বণের সঙ্গে যুক্ত ও একেবারে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত; যাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রূপের, রুচির ও উপাদানের বস্ত্রসম্ভার নির্মাণ করেন, তাঁরা কি সত্যিকার শিল্পী হিসাবে পরিগণিত হতে পারেন না? তিনি প্রশ্ন করেছেন— এই দৃষ্টিভঙ্গি কি আমাদের সাম্রাজ্যবাদী চিন্তার অন্ধ অনুসরণের ফল? কই জাপানে তো এরকম হয় না! তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলা যায়, চিন দেশে ও ইসলামিক দুনিয়ায় কিন্তু লিপি শিল্প (ক্যালিগ্রাফি), জেড পাথর বা পোর্সেলিনের কদর যেমন বেশি, সে সবের নির্মাতাদেরও সে রকমই।

জসলিন প্রথম অধ্যায়ে বালুচর নিয়ে তাঁর দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ইতিহাস ও মুর্শিদাবাদের রেশম শিল্পের খ্যাতি, চাহিদা ও উৎপাদনের কথাও লিখেছেন। দর্শন শাহ বালুচরিতে যে অগণিত বৈচিত্রপূর্ণ নকশা দেখা যায় তার কথা লিখেছেন। এভা মারিয়া রাকব হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষার ছাত্রী হিসাবে অধ্যাপক বিএন গোস্বামীর পরামর্শে বালুচরি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ও দুনিয়ার বিভিন্ন সংগ্রহ খুঁজে, মুর্শিদাবাদের গ্রামেগঞ্জে ঘোরাঘুরি করে তাঁর পিএইচ ডি-র গবেষণাপত্র লেখেন। দুঃখের বিষয়, তিনি সেটি প্রকাশ করেননি। রাস্তা বদল করে আইটিতে চলে যান। এত দিন পরে শিল্পা শাহ ও জসলিনের পাল্লায় পড়ে তিনি আবার পুরনো রাস্তায় ফিরে আসেন। এই বইয়ে তাঁর দুটি প্রবন্ধ— একটি তাঁর গবেষণার পদ্ধতিগত বিন্যাস যা অনুসরণ করে বালুচরির ক্রমবিবর্তনের একটা ধারণা পাওয়া যায়; অন্যটি বালুচরির অন্তিম পর্বে দুবরাজ দাস যেমন নিজের নামটি আঁচলার শেষ ভাগে বুনেছেন ও তাঁর অনুসরণে আরও যাঁদের নাম দেখতে পাওয়া যায় তা নিয়ে। আমি খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে আরও কিছু নাম দেখতে পেয়েছি, তা ছাড়া যে সব সংগ্রহের উপাদান দেখার সুযোগ পাওয়া যায়নি, সেগুলি থেকে হয়তো আরও কিছু বয়নশিল্পীর নাম-ঠিকানা জানা যাবে।

রাধিকা লালভাই বালুচরির সঙ্গে আমদাবাদের ‘আশাবলী’ শাড়ির মিল ও অমিল নিয়ে লিখেছেন। মনীষা আহমেদ কী ভাবে কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বেনারসের প্রবাদপ্রতিম ঝালা শিল্পী কালু হাফিজ বেশ কয়েকটি বালুচরির ডিজ়াইনের মোটিফের পুনর্নির্মাণ করেছিলেন, তার বিবরণ দিয়েছেন। বি বি পল বালুচরির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে মতামত ব্যক্ত করেছেন, কম সময়ে ও অল্প আয়াসে তৈরি করে উচিত দামে বিক্রির সুযোগ নিতে পারলে এই ঘরানা টিকে থাকতে পারবে। অবশ্য জরি দেওয়া ‘স্বর্ণচরি’-র বা রাম-সীতা, রাধা-কৃষ্ণ, চন্দ্রাবতীর মতো বলিউড মার্কা ডিজ়াইনের মতো তা একটা খিচুড়ি জিনিস হবে, বালুচরি নয়। রিতু শেঠি আরও এগিয়ে ফ্যাশন বাজার কী করে ধরা যায় সে কথা লিখেছেন। যদিও নামী বনেদি ফ্যাশনিস্টরা কিন্তু সাবেকি নকশার বেশি দাম দেন।

শেষ তিনটি লেখা তিন প্রবাদপ্রতিম সংগ্রাহককে নিয়ে: সিদ্ধার্থ ঠাকুর তাঁর ‘মাভেরিক’ লেখক, ডিজ়াইনার, শিল্পী ও সংগ্রাহক পিতা সুভো ঠাকুরকে নিয়ে; রুবি পাল চৌধুরী স্বনামধন্যা শিল্প সংগ্রাহক লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে, আর সম্পাদিকা তাঁর বহুকালের বন্ধু বস্ত্রবিশেষজ্ঞ ও সংগ্রাহক কৃষ্ণা রিব্যু (ঠাকুর) সম্বন্ধে লিখেছেন। সুভো ঠাকুর নাকি ১৫০টি বালুচরি সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৫০ সালে চৌরঙ্গির ধারে জাঁকজমকের সঙ্গে নামী ডিজ়াইনারদের দিয়ে নকশা করানো যে বালুচরির প্রদর্শন করেছিলেন (যার কথা সিদ্ধার্থ বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন), আমি হাজার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যে ব্রোশিয়োর ছাপা হয়েছিল সেটি জোগাড় করতে পারিনি। শুধু মালবিকা কার্লেকরের সৌজন্যে তার সঙ্গে শিল্পবেত্তা অশোক মিত্রের মূল্যবান ভূমিকাটি দেখেছি। কোথায় গেল সেই দুর্লভ রত্নরাজি? সিদ্ধার্থ দুটি বালুচরির তিনটি ছবি ছাপিয়েছেন। আহা, কী অপূর্ব ডিজ়াইন! একটিতে আবার বয়নশিল্পীর নাম লেখা। বহু কাল আগে চিত্রা দেব বালুচরি নিয়ে একটি অনবদ্য প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তাতে সুভো ঠাকুরের সংগ্রহের কয়েকটি নিদর্শন ছাপা হয়েছিল। রুবি পালচৌধুরী নিজে সমঝদার সংগ্রাহক, বাংলার বস্ত্রশিল্পের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য সারা জীবন কাজ করে যাচ্ছেন। লেডি রাণুর বালুচর সংগ্রহ নিয়ে ‘অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’-এ ১৯৬১-র জুলাই মাসে যে প্রদর্শনী হয়েছিল, তাতে ৭৩টি বালুচরি দেখানো হয়েছিল। প্রদর্শনীর সঙ্গে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তার ভূমিকা লিখেছিলেন সরসীকুমার সরস্বতী। রুবি পালচৌধুরীর লেখার সঙ্গে যে চারটি ছবি দেওয়া আছে, সেগুলি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত শুক্লা দাসের অত্যন্ত মূল্যবান বই ‘ফ্যাব্রিক হেরিটেজ অব ইন্ডিয়া’ থেকে পুনর্মুদ্রিত। অ্যাকাডেমির গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহটি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকায় চিন্তা হয়, কলকাতার জলহাওয়ায় পুরনো কাপড়, বিশেষ করে বালুচরির মতো নরম হালকা রেশমে বোনা শাড়িকে বাঁচিয়ে রাখা সহজ নয়। এই চিন্তা দেবপ্রসাদ ঘোষের সংগ্রহ করা আশুতোষ মিউজ়িয়মের বস্ত্রসম্ভার দেখেও হয়। এই ক্ষণভঙ্গুর সম্পদের ডিজিটাল ছবি তোলা ও পঞ্জিকরণ, রক্ষা করা অবশ্য প্রয়োজনীয়। জসলিন কৃষ্ণা রিব্যুর বস্ত্রশিল্পের প্রতি গভীর আগ্রহ ও যত্ন করে গড়ে তোলা সংগ্রহের কথা লিখেছেন। সঙ্গে যে ক’টি দুপাতা জোড়া চমৎকার ছবি দিয়েছেন— আমাদের তাতে মন ভরল না। কারণ, ৬২টি বালুচরির এই বিশিষ্ট সংগ্রহে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর নকশার উপকরণ আছে যেগুলি প্রকাশিত হলে আমরা লাভবান হতাম।

শিল্পা শাহ তাঁর সংগ্রহের (‘তাপি’) কথা লিখেছেন, সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিদর্শনের ছবি। রাকব-ও তাঁর প্রবন্ধে ক্রাফট মিউজ়িয়ম, দিল্লির অনেকগুলি ভাল ভাল ডিজ়াইনের ছবি দিয়েছেন। তবে, সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আমাদের দেশের তিনটি ও বিদেশের একটি মিউজ়িয়ামের বালুচরি সংগ্রহ নিয়ে লেখাগুলি দেখে। যাঁদের তত্ত্বাবধানে কোনও দুর্লভ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকে, তাঁরাই সর্বসাধারণকে যথাযথ বিবরণ দেবেন— এটাই স্বাভাবিক। আর একটি কারণ হল, নিদর্শনের ছবি প্রকাশ করা তাঁদের পক্ষে সহজ। আমাদের দেশে বাইরের কোনও গবেষক বা জিজ্ঞাসু ব্যক্তির পক্ষে মিউজ়িয়ম থেকে ভাল ছবি জোগাড় করা একেবারে দুঃসাধ্য।

ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজ়িয়ম, লন্ডনের বালুচরির সংখ্যা মাত্র আটটি— ছয়টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের, একটি অসম্পূর্ণ ও একটির কেবল আঁচলাটুকু। কিন্তু গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত মূল্যবান এগুলি। অনিতা নাথওয়ানি তাঁর লেখায় পুরনো নথিপত্র ঘেঁটে প্রত্যেকটি বালুচরির পুরো ইতিহাস জানিয়েছেন। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি সংগ্রহালয়ের মনীষা নেনের দায়িত্বে মোট ১৭টি বালুচরি রয়েছে, তার তিনটি আধুনিক। বাকি ১৪টি নানা কারণে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একটি শাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম— সেটি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনীর। মনীষা তিনটি স্বাক্ষরিত বালুচরির কথা লিখেছেন, দুটির ছবিও দিয়েছেন। কিন্তু ১৪৪ নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে শাড়িটির নির্মাতার নাম— বাহাদুরপুরের ‘বিদুভূসন বিশ্বাস’— তাঁর নামের আগে স্বর্গত দুবরাজ দাসের নাম দেখে বোঝা যায় তিনি দুবরাজের সহকারী বা শিষ্য।

নীতা সেনগুপ্ত ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়মের বালুচরিগুলি নিয়ে লিখেছেন। সঙ্গে এগারোটি উঁচু মানের ছবি। দেবযানী মিত্র ঘোষের আগের একটি লেখা থেকে জানা যায় যে, এই মিউজ়িয়মে বালুচরির সংখ্যা ২১। তার মধ্যে চারটি আধুনিক বালুচরি আর দুটি বিষ্ণুপুরের অক্ষয় কুমার দাসের বোনা। লেখক শাড়ির বা শাড়ির অংশের মাপ ও অ্যাকসেসন নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করলে পাঠক আরও উপকৃত হতেন। দিল্লির ন্যাশনাল মিউজ়িয়মের অনামিকা পাঠক ও জাহিদ আলি আনসারির লেখা বইয়ের বিষয়বস্তুর সঙ্গে পুরো খাপ খায় না। নামাবলি মুর্শিদাবাদের বয়নশিল্পীরা নির্মাণ করেছেন, কিন্তু বালুচরের ‘ফিগার্ড’ বস্ত্রের সঙ্গে এগুলি ঠিক এক গোত্রের নয়। অথচ ন্যাশনাল মিউজ়িয়মের বালুচরির সংখ্যা ঈর্ষাজনক।

দর্শন শাহ ও জসলিন ধমিজা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ সম্বন্ধে কিছু তথ্য বা প্রতিলিপি দিতে পারলে বইয়ের মূল্য আরও অনেক বেড়ে যেত— আমদাবাদের ক্যালিকো মিউজ়িয়ম অব টেক্সটাইলস, ফিলাডেলফিয়া মিউজ়িয়ম অব আর্ট (স্টেলা ক্র্যামরিশের সংগ্রহ) ও সুইৎজ়ারল্যান্ডের ব্যক্তি সংগ্রহ। বইয়ে এ দেশের ব্যক্তিগত সংগ্রহের কয়েকটি ছবি রয়েছে। তাই কী নেই ভেবে আপশোস না করে কত কী পেলাম তার জন্য তাঁদের অকুণ্ঠ সাধুবাদ।

অন্য বিষয়গুলি:

Books Review
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy