ভারতের বাজারে ছোট যাত্রী গাড়ির (হ্যাচব্যাক) দাপট দীর্ঘদিন ধরেই। এখন ছোট ‘স্পোটর্স ইউটিলিটি ভেহিকল’ (কমপ্যাক্ট এসইউভি)-এর বাজারও বাড়ছে। নতুন কিছু গাড়ি আনলেও ওই দু’ধরনের গাড়ি এখনও নেই জাপানি বহুজাতিক হোন্ডার ভারতীয় শাখার ভাঁড়ারে। সেই বাজারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। যদিও সে রকম গাড়ি তৈরির ব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নেননি বলে দাবি সংস্থাটির কর্তাদের।
সোমবার কলকাতার বাজারে নতুন ‘মাল্টি পারপাস ভেহিকল’ (এমপিভি) মোবিলো আনল হোন্ডা। সেই অনুষ্ঠানে সংস্থার সিনিয়র ভিপি (বিপণন) জ্ঞানেশ্বর সেন জানান, ২০১৬-’১৭-তে দেশে তিন লক্ষ গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, অনেক সংস্থার মতোই ছোট সেডান তৈরির ব্যাপারে হোন্ডাও আগ্রহী বলে জল্পনা চলছে। তবে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে এ ধরনের গাড়ি আনবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে নারাজ জ্ঞানেশ্বরবাবু। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ব্রিও-র চেয়েও কম দামি গাড়ি তৈরির আগে সব দিক ভাল করে খতিয়ে দেখবে জাপানি সংস্থাটি। কারণ নির্দিষ্ট গুণমান ধরে রাখার ব্যাপারে সংস্থার পরিচিতি বিশ্ব জোড়া।
তবে আগামী বছরের গোড়ার দিকে তাদের জ্যাজ গাড়িটি নতুন করে দেশের বাজারে আনবে সংস্থা। ভারতের মতো স্পর্শকাতর বাজারে ২০০৯-এ জ্যাজ তারা যে-দামে এনেছিল, তা সাধারণ ভাবে ছোট গাড়ির (হ্যাচব্যাক) চেয়ে অনেক বেশি। ফলে সাফল্য মেলেনি। নতুন জ্যাজের দাম কতটা কমবে, এ নিয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে নারাজ জ্ঞানেশ্বরবাবু। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মোবিলো-র দশ হাজার বুকিং হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় পেট্রোলচালিত মোবিলো-র দাম পড়বে ৬.৮৬-৯.১৫ লক্ষ, ডিজেল গাড়িটির দাম ৮.৩৩-১০.২৭ লক্ষ টাকা।
পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসার সম্ভাবনার ব্যাপারে আশাবাদী জ্ঞানেশ্বরবাবু। এমনকী সর্বভারতীয় বাজারের ক্ষেত্রে ব্রিও-র অংশীদারির চেয়ে এ রাজ্যে তা বেশি। উল্লেখ্য, কলকাতায় এত দিন সংস্থাটির দুটি ডিলার ছিল পিনাক্ল ও ইস্টার্ন। এ বার রাজারহাটে আরও একটি ডিলার শ্রী হোন্ডা চালু হচ্ছে এ মাসের শেষেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy