বড় ‘কাট আউট’, ছোট-বড় জনসভায় গলা তুলে বক্তৃতা বা পায়ে হেঁটে অলিগলি চষে ফেলে মানুষের কাছে পৌঁছনোর দিন শেষের পথে। ফেসবুক-টুইটারে অভ্যস্ত নতুন প্রজন্মের ভোটার টানতে প্রার্থীদের নয়া মঞ্চ এখন ওই সব সোশ্যাল মিডিয়াই। যাকে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগছেন অনেকে। আর এর ফলশ্রুতি হিসেবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসার পথ খুলতে চলেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির সামনে, জানাচ্ছে বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সমীক্ষা।
মোবাইল ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হয়েছে। বহু নেতা-মন্ত্রীই জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে মোবাইলের ব্যবহার করছেন। কিন্তু সমস্যা হল, মোবাইল ফোনের ব্যবহার যতটা বেড়েছে, ততটা ছড়ায়নি ইন্টারনেট পরিষেবা। তবুও যেনতেন প্রকারে নবীন প্রজন্মের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে নেটকে উপেক্ষা করতে চাইছেন না ভোটপ্রার্থীরা।
সমীক্ষায় দাবি, ভোটারদের অন্তত ৩০ শতাংশের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছেছে। সেই অংশকে কাছে টানতে এই পরিষেবাকে হাতিয়ার করা হলে অন্তত ৪০০-৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলি। অ্যাসোচ্যাম মনে করছে, এ বার ভোটে প্রার্থীদের খরচ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ছোঁবে। এর মধ্যে বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাবদ খরচ ৩০%। বণিকসভাটির সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত জানান, প্রচার-খরচের আবার ১৫-২০% সোশ্যাল মিডিয়ায় হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। কারণ শুধু কংগ্রেস, বিজেপি বা আপ-এর মতো দল নয়, এই মঞ্চে প্রচারের কৌশল নিয়েছে আঞ্চলিক দলগুলিও। আর শুধু মেট্রো শহর নয়, তা জনপ্রিয়তা কুড়োচ্ছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির শহরেও।
এই সুযোগে নানান পরিষেবাও এনেছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি। ফেসবুক এনেছে ‘রেজিস্টার টু ভোট’, ফেসবুক পেজ-এ কোন ভোটপ্রার্থী এগিয়ে, তা মাপার সুযোগ। টুইটার এনেছে ‘মিসড কল’ বা এসএমএসে ‘ফলো’ করার সুযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy