আইনি জটিলতায় নিজেদের খনি থেকে আকরিক লোহা উত্তোলন বন্ধ। তাই শতাব্দী প্রাচীন টাটা স্টিলকে জামশেদপুরের কারখানায় ইস্পাত তৈরির জন্য এই প্রথম বাইরে থেকে কাঁচামাল হিসেবে আকরিক লোহা কিনতে হচ্ছে। সংস্থার এমডি টি ভি নরেন্দ্রন বলেন, “এই প্রথম আমাদের বাইরে থেকে আকরিক লোহা কিনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। রাঁচি ও কটক হাইকোর্টে মামলাও চলছে।”
দেশের অন্যতম প্রাচীন ওই কারখানাটি চালু হয়েছিল ১৯০৭-এ। টাটা স্টিল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেল-এরই শুধুমাত্র নিজেদের আকরিক লোহার খনি রয়েছে। বাকিদের বাজারের উপর নির্ভর করতেই হয়।
গত জুলাইতে মিনারেল কনসেশন রুলস ১৯৬০-এর সংশোধন নিয়ে খনি মন্ত্রকের একটি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যার সূত্রপাত। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের ৪০টিরও বেশি খনি বন্ধ হয়ে যায়। ওই দুই রাজ্যে টাটা স্টিলের মোট উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ২.২ কোটি টন।
জামশেদপুরে সংস্থার বার্ষিক ৯৭ লক্ষ টনের কারখানাটির জন্য আপাতত ২৩ লক্ষ টন আকরিক লোহা বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে তাদের। সংস্থার বক্তব্য, যদি বন্ধ খনি চালু না-হয় তা হলে তা আরও বাড়বে।
চলতি অর্থবর্ষে তাঁরা এ ভাবে কত আকরিক লোহা কিনবেন, সেই প্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্রন বলেন, “আমরা দৈনিক ভিত্তিতে কিনছি। যদি খনি চালু হয়ে যায়, তা হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।” রাষ্ট্রায়ত্ত এনএমডিসি-র কাছ থেকে তাঁরা ৮ লক্ষ টন আকরিক লোহা কিনেছেন। বাকিটা আমদানি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে।
আর এক ইস্পাত সংস্থা জে এস ডব্লিউ স্টিল-ও একই পথে হাঁটছে বলে খবর। দেশের বাজারে সরবরাহে ঘাটতির জন্য তারা ৫ লক্ষ টন আকরিক লোহা আমদানি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy