—প্রতীকী চিত্র।
যৌথ উদ্যোগে রাজ্যে চারটি নতুন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বাজেটে ঘোষণা করেছেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পগুলি গড়বে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম (পিডিসিএল)। তিন-চার মাসে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরির লক্ষ্য। তারপরে চাওয়া হবে আগ্রহপত্র। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) প্রকল্পগুলি তৈরির কথা বলেছেন চন্দ্রিমা। তবে সূত্রের খবর, শর্ত পূরণ করলে ভিন্ রাজ্যের সরকারি বা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে পিডিসিএল জোট বাঁধতে পারে। উল্লেখ্য, এই প্রথম যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়বে নিগম।
মাস কয়েক আগে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সে কথা বলেন। বাজেটে বরাদ্দ ঘোষণার পরে তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এ ভাবেই উন্নত হচ্ছে।
বাজেটে চন্দ্রিমার প্রস্তাব, চার বছরে মোট ২৯২০ মেগাওয়াটের চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে খরচ হবে ২৩,৩৬০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে সাঁওতালডিহিতে ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি, বক্রেশ্বরে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি এবং ডিপিএলে ৬০০ মেগাওয়াটের একটি করে সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। সবগুলিই হবে নিগমের চালু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায়, তাদেরই জমিতে। ফলে সেখানে রাস্তা-সহ আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো তৈরি। দ্রুত এগোবে প্রকল্পের কাজ। নীতিগত ভাবে রাজ্য এগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়ায় তার সম্ভাব্যতার সমীক্ষাও সম্পূর্ণ। এ বার প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরিতে নামবে নিগম।
সংশ্লিষ্ট মহলে অবশ্য চর্চা শুরু হয়েছে যৌথ উদ্যোগ ঘিরে। রিলায়্যান্স, টাটা বা আদানিরা আগ্রহী হবে কি না, সেই জল্পনাও রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের দাবি, এখনই এ নিয়ে বলার মতো সময় আসেনি। বরং যে সব পড়শি রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা-জোগানে ভারসাম্যের অভাব আছে, সেখানকার বিদ্যুৎ সংস্থা আগ্রহী হলে ও শর্ত পূরণ করে যোগ্যতা অর্জন করলে জোটের সম্ভাবনা থাকছে। আসতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে যৌথ সংস্থার রাশ থাকবে নিগমের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy