ছবি সংগৃহীত।
শিল্পের জন্য জমি নিয়ে তা ফেলে রাখায় এ বার বেসরকারি সংস্থা সিমেন্সকে তলব করতে চলেছে রাজ্য।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে জার্মান বহুজাতিক সিমেন্সের ১১ একর জমি ফাঁকা পড়ে। সরকারি সূত্রে খবর, চুক্তি অনুযায়ী সেখানে নিজেদের বাণিজ্যিক কাজকর্মের পাশাপাশি একটি তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো তৈরি করার কথা সংস্থার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কাগজে-কলমেই থেকে গিয়েছে। তাই ওই জমি নিয়ে সংস্থার কী পরিকল্পনা, তা জানতে চায় রাজ্য। সংস্থা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
সেক্টর ফাইভে ফাঁকা জমি প্রায় নেই বললেই চলে। কাঠা প্রতি দর ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের দাবি, সিমেন্সের ফেলে রাখা জমির দাম অন্তত ৩৫০ কোটি টাকা। সেখানে চুক্তিমতো তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক হলে, কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের। এই পরিস্থিতিতে সংস্থাকে পুরনো প্রতিশ্রুতি মনে করাতে রাজ্যও নড়েচড়ে বসেছে বলে মনে করছে তারা।
আরও পড়ুন: কেয়ার্নের বকেয়া কর আদায়ে উদ্যোগ
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে জলের দরে রাজ্যের কাছে জমি পায় সিমেন্স। তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সরকার সিমেন্স-ইন্ডিয়াকে ১১ একর জমি দেয়। পরে সিমেন্সের সঙ্গে যুক্ত হয় রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেল। গাঁটছড়া বেঁধে টেলিপ্রিন্টার, ইপিবিএএক্স-এর মতো যন্ত্র তৈরি শুরু হয়। পরে ওয়েবেল সরে যায়।
২০০০ সালে কারখানার মালিকানা সিমেন্স-ইন্ডিয়ার থেকে সরাসরি মূল সংস্থা সিমেন্সের কাছে যায়। সংস্থার নাম হয় সিমেন্স পাবলিক কমিউনিকেশন্স। ২০০৭-এ ফের বদলায় মালিকানার কাঠামো। সিমেন্স ও নোকিয়ার যৌথ সংস্থা তৈরি হয়। তবে ১১ একরের মালিকানা থাকে সিমেন্সের হাতেই। ২০১৩ সালে বন্ধ হয় নোকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কের সল্টলেক কারখানা। জমির লিজও ছেড়ে দেয় নোকিয়া। সেই থেকে ওই ১১ একর জমি কার্যত পড়েই আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy