টেলিকম পরিষেবার বাজারে দাদার পা রাখা ঘুম কেড়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের। আর এ বার ভাইয়ের সংস্থার টুজি পরিষেবা বন্ধ করার খবরে তার গ্রাহকদের টানতে কাড়াকাড়ি ওই সংস্থাগুলির মধ্যে। দৌড়ে সামিল দাদা মুকেশ অম্বানীর সংস্থাও।
ডিসেম্বর থেকে টুজি পরিষেবা বন্ধ করছে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স-কমিউনিকেশন্স (আর-কম)। এই ঘোষণার পরেই টেলি পরিষেবার বাজারে শুরু হয়েছে নতুন প্রতিযোগিতা। লক্ষ্য, আর-কমের প্রায় চার কোটি গ্রাহক।
বিজ্ঞাপন মারফত প্রকাশ্যেই ওই গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভোডাফোন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, বার্তা পাঠাচ্ছে বাকিরাও। তবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি এয়ারটেল, আইডিয়া, জিও। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম এস পি ত্রিপাঠি অবশ্য জানান, বন্ধ হওয়ার পরে ওই সংস্থার গ্রাহকদের বিএসএনএলের আওতায় আনতে পারলে সহযোগীদের বাড়তি সুবিধা দেবেন তাঁরা।
আর-কম সূত্রের খবর, মূলত কথা বলার জন্য টুজি-তে মাসে গড়ে ৫০-৬০ টাকা খরচ করেন তাঁদের চার কোটির কিছু বেশি গ্রাহক। কিন্তু সংস্থাটির মাথাপিছু খরচ হয় প্রায় ১৫০-১৬০ টাকা। এই কারণেই ওই পরিষেবা বন্ধ করছে বিপুল ধারের বোঝায় বিপর্যস্ত আর-কম। পাখির চোখ করছে ফোরজি পরিষেবাকে।
তা হলে কেন এই প্রতিযোগিতা?
প্রথমত, সংস্থাগুলি ওই গ্রাহকদের টানতে পারলে বাড়তি খরচ ছাড়াই আয় বাড়বে। ভোডাফোনের মুখপাত্রের যুক্তি, ‘‘আমরা বসে থাকলে ওঁরা অন্য সংস্থায় যাবেন।’’
দ্বিতীয়ত, এখনই টানতে পারলে ভবিষ্যতে ওই গ্রাহকদের সহজে থ্রিজি বা ফোরজি-তে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে। টেলি শিল্পের এক কর্তার মতে, নতুন গ্রাহক পাওয়ার থেকে এঁদের ফোরজি-তে আনা সহজ। জিও-র মতো সংস্থা আবার চাইছে, ওই গ্রাহকদের ডেটা পরিষেবা চাখারও সুযোগ দিয়ে ব্যবসা বাড়াতে।
টেলিনর, লুপ বা ভিডিওকনের মতো সংস্থাগুলির পরিষেবা বন্ধের সময়ও তাদের গ্রাহক টানতে প্রতিযোগিতা হয়েছে। কিন্তু অনেকের মতে, এ বার তার মাত্রা অন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy