ইউনাইডেট স্পিরিটসের (ইউএসএল) চেয়ারম্যান এবং নন-এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ ছাড়লেন বিজয় মাল্য। এই পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর ধরা হবে। এর পর থেকে সংস্থাটির সঙ্গে আর কোনও রকম সম্পর্ক থাকবে না মাল্যর। তবে ইউএসএলের ফাউন্ডার এমেরিটাস থাকছেন তিনি। আর মাল্যর জায়গায় ইউএসএলের চেয়ারম্যান হবেন সংস্থার বর্তমান স্বাধীন ডিরেক্টর মহেন্দ্র কুমার শর্মা।
এ দিকে, আগামী দিনে আইপিএল-এ ইউএসএলের ক্রিকেট দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চিফ মেন্টার হিসেবে কাজ করবেন মাল্য। যার পরিচালন পর্ষদে থাকবেন তাঁর ছেলে সিদ্ধার্থ মাল্য। আগামী দু’বছর সিদ্ধার্থকে সেই পদ থেকে সরাতে পারবে না ডিয়াজিও। বৃহস্পতিবার মাল্যর দাবি, আগামী দিনে পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান তিনি। সেই কারণে বেশির ভাগ সময়ই ব্রিটেনে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংফিশার কর্তা। মাল্যর আরও দাবি, ইতিমধ্যেই পদ ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে ইউএসএলের মূল সংস্থা ডিয়াজিও-র সঙ্গে রফা হয়েছে তাঁর। সেই চুক্তি অনুসারে সংস্থা ছাড়ার বদলে মাল্যকে ৭.৫ কোটি ডলার (প্রায় ৫১৫ কোটি টাকা) দেবে ডিয়াজিও।
২০১৪ সালে ইউনাইটেড স্পিরিটস অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করেছে ব্রিটেনের বহুজাতিক ডিয়াজিও। তার পর থেকেই তাদের অভিযোগ ছিল মাল্য চেয়ারম্যান থাকাকালীন বহু অনিয়ম হয়েছে সংস্থায়। সে জন্য গত বছরই তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছিল তারা। ইউএসএলের প্রাক্তন মালিক মাল্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেআইনি ভাবে কিংফিশার এবং ইউবি গোষ্ঠীর অন্যান্য সংস্থায় প্রায় ১৩৩৭ কোটি টাকার তহবিল ঋণ বাবদ পাইয়ে দিয়েছেন। মাল্য অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে নিজের পদ ছাড়তে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘অধিগ্রহণের চুক্তি অনুযায়ী আমাকে ইউনাইটেড স্পিরিটস (ইউএসএল)-এর পরিচালন পর্ষদে ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখতে ডিয়াজিও দায়বদ্ধ।’’ এ দিন ডিয়াজিও জানিয়েছে, আগামী দিনে তদন্তে যা-ই উঠে আসুক না-কেন, বৃহস্পতিবারের চুক্তির পরে তার সঙ্গে মাল্যর কোনও সম্পর্ক থাকবে না।
প্রসঙ্গত, বিজয় মাল্যের সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্স ঘোরতর আর্থিক সঙ্কটে পড়ে শেষ পর্যন্ত ২০১২-র অক্টোবরে বসে যায়। তার জেরেই মাল্যকে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পদ বিক্রি করতে হয়, যার মধ্যেই রয়েছে ইউএসএল-এর মালিকানা ডিয়াজিও-কে বিক্রি করে দেওয়া। ৫৫ শতাংশ শেয়ার কিনে ব্রিটিশ বহুজাতিক ডিয়াজিও ওই মালিকানা হাতে নেয়, যদিও পরিচালন পর্ষদে ডিরেক্টর এবং সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন মাল্যই। এত দিনে মিটল সেই বিতর্ক।
যদিও, কিংফিশার এয়ারলাইন্স নিয়ে সমস্যা মেটেনি মাল্যর। সম্প্রতি বিজয় মাল্য এবং তাঁর সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ হোল্ডিংসকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। কিংফিশারের সম্পদ বিক্রি করে টাকা তোলার কথা ভাবছে স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy